তৃতীয় বিশ্বে নারীবাদ ও জাতীয়তাবাদ
| লেখক | কুমারী জয়বর্ধন |
|---|---|
| প্রকাশক | জেড বুকস |
| আইএসবিএন | ৯৭৮-০-৮৬২৩২-২৬৫-৬ |
তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদ ও জাতীয়তাবাদ শ্রীলঙ্কার লেখক কুমারী জয়াবর্ধনের দ্বারা ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত একটি বই। কুমারীর বইটিকে নারীবাদী ক্লাসিক হিসাবে বর্ণনা করা হয় এবং তৃতীয় বিশ্বের নারীবাদের প্রথম পাঠ্যপুস্তক হিসাবে আজ পর্যন্ত লিঙ্গ ও নারী গবেষণায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।[১]
বইটিতে পুর্বের এগারোটি দেশ জুড়ে নারীবাদী, সমাজতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকা নারীদের সম্পর্কে গবেষণায়গুলি অনুসরণ করা হয়েছে: দেশগুলি হল মিশর, ইরান, তুরস্ক, ভারত, শ্রীলঙ্কা, চীন, জাপান, কোরিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া,[২]; সাম্রাজ্যবাদী শাসকগণ পূর্বের অঞ্চলকে পরাধীন করতে আগ্রহী এবং এই শাসন ব্যবস্থার দাসত্ব পরিকল্পনায় পরোক্ষ শোষণের দ্বারা প্রত্যক্ষ আক্রমণ ও শত্রুতার ইতিহাস তুলে ধরে। এই গবেষণায়গুলি ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদের পটভূমির বিপরীতে স্থাপন করা হয়েছে - নিজেদের উপনিবেশবাদীদের থেকে মুক্ত করার জন্য পূর্ব বিশ্বের মুক্তি সংগ্রাম, যা নারীবাদী ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মধ্যে মুক্তির জন্য একটি সাধারণ সংগ্রাম তৈরি করেছিল।
পটভূমি ও প্রকাশনা
[সম্পাদনা]১৯৮০ এর দশকে, কুমারী নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল স্টাডিজ (আইএসএস) -এ ভিজিটিং স্কলার হিসেবে মহিলাদের জন্য শিক্ষণ সামগ্রীর ব্যবস্থা করছিলেন।[১] সেই সময়, তিনি আইএসএস থেকে তার সহকর্মী মারিয়া মিসের সাথে ইউরোপে নারীবাদ: লিবারেল ও সমাজতান্ত্রিক কৌশল[১] নিয়ে কাজ করছিলেন।[৩]
কুমারী 'তৃতীয় বিশ্বের' নারীদের ঐতিহাসিক সংগ্রামের সমান্তরাল হিসাবের অভাব অনুভব করেছিলেন, তার মনে হয়েছিল - "আমাদের বিশ্বের অংশের মধ্যে একটি ফাঁক ছিল"। [১]
তিনি অ্যামস্টারডামে আন্তর্জাতিক আর্কাইভ ফর দ্য উইমেন্স মুভমেন্ট -এ পাওয়া গবেষণাটি তৃতীয় বিশ্বের মহিলাদের ইতিহাস সংক্রান্ত একটি পাণ্ডুলিপিতে সংকলিত করেছেন, যা তিনি হেগ ও ব্রাসেলসের[৩] ট্রেনের যাত্রায় লিখেছিলেন। পাণ্ডুলিপিটি প্রথম ১৯৮২ [৪] প্রকাশিত হয়েছিল এবং যখন কুমারী মূলত ছবি যোগ করতে চেয়েছিলেন, সেই সময় এটি একটি ছোট বই হিসাবে মুদ্রিত হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে, আইএসএস-এ তার ছাত্ররা ব্যবহার করেছিল।[৩] পরবর্তীতে, এটি জেড বুকস গ্রহণ করে, যারা এটিকে ১৯৮৬ সালের ১লা মে একটি পেপারব্যাক ফরম্যাটে সম্প্রসারিত ও প্রকাশ করে। [৫]
বিন্যাস
[সম্পাদনা]বইটি পেপারব্যাক, হার্ডকভার, ই-বুক এবং একটি কিন্ডল সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে। [৫]
উত্তরাধিকার
[সম্পাদনা]তৃতীয় বিশ্বে নারীবাদ ও জাতীয়তাবাদ বইটি যুক্তরাজ্যের নারীবাদী ফোর্টনাইট পুরস্কার অর্জন করে এবং মিস ম্যাগাজিন কর্তৃক শীর্ষ ২০ টি নারীবাদী ক্লাসিকের একটি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ Srinivasan, Meera (২০১৭-০১-০১)। "There was a gap about our part of the world"। The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০২।
- ↑ Jayawardena, Kumari (২০২০-০৯-৩০)। "History of women's movements in Asia and the Middle East"। Verso Blog (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০২।
- ↑ ক খ গ Chhachhi, Amrita (নভেম্বর ২০০৬)। "Kumari Jayawardena: Interview with Kumari Jayawardena" (ইংরেজি ভাষায়): 1335–1346। ডিওআই:10.1111/j.1467-7660.2006.00529.x
।
- ↑ "Feminism and Nationalism in the Third World by Kumari Jayawardena – review"। the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৮-০৯। ২০১৭-০৮-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০২।
- ↑ ক খ "Editions of Feminism and Nationalism in the Third World by Kumari Jayawardena"। www.goodreads.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০২।
- ↑ "Verso"। www.versobooks.com। ২০২০-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০২।
