মুতাওয়াক্কিল তৃতীয় المتوكل على الله الثالث | |||||
---|---|---|---|---|---|
খলিফাতুল মুসলিমিন | |||||
১৭তম কায়রোর খলীফা (প্রথম শাসন) | |||||
খেলাফতকাল | ১৫০৮–১৫১৬ | ||||
পূর্বসূরী খলিফা | মুসতামসিক | ||||
উত্তরসূরী খলিফা | মুসতামসিক | ||||
১৯তম কায়রোর খলীফা (দ্বিতীয় শাসন) | |||||
খেলাফতকাল | ১৫১৭ | ||||
পূবসূরী খলীফা | মুসতামসিক | ||||
উসমানীয় খলিফা | প্রথম সেলিম | ||||
জন্ম | কায়রো, মামলুক সালতানাত, বর্তমানে মিশর | ||||
মৃত্যু | ১৫৩৪ উসমানীয় সাম্রাজ্য | ||||
| |||||
পিতা | মুসতামসিক | ||||
ধর্ম | সুন্নি ইসলাম |
মুতাওয়াক্কিল তৃতীয় (আরবি: المتوكل على الله الثالث) (মৃত্যু ১৫৪৩) ১৫০৮ থেকে ১৫১৬ সাল পর্যন্ত এবং আবার ১৫১৭ সালে মামলুক সালতানাতের অধীনে কায়রোর সপ্তদশ খলিফা ছিলেন।
মুতাওয়াক্কিল তৃতীয় ছিলেন কায়রো ভিত্তিক খেলাফতের শেষ খলিফা। বাগদাদের মঙ্গোল দখলের পর ১২৫৮ খ্রিস্টাব্দে খলিফা মুসতাসিমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর থেকে এই কাহেরিন খলিফাগণ কায়রোতে বসবাস করছিলেন। তারা নামমাত্র শাসক ছিলেন। তাদের মূল কাজ ছিল মামলুক সুলতানদের শাসককে বৈধতা দেওয়া।
মুতাওয়াক্কিল তৃতীয় ১৫১৬ সালে তার পূর্বসূরি মুসতামসিক কর্তৃক সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য পদচ্যুত হন। কিন্তু পরের বছর তাকে পুনরায় দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৫১৭ সালে, উসমানীয় সুলতান সেলিম প্রথম মামলুক সালতানাতকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং মিশরকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের অংশ করেছিলেন। মুতাওয়াক্কিল তৃতীয় তার পরিবারের সাথে বন্দী হন এবং সেলিম তাকে কনস্টান্টিনোপলে নিয়ে যান।
ঐতিহ্যগত ইতিহাস অনুসারে, এই সময়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে খলিফার উপাধি এবং এর বাহ্যিক প্রতীকগুলি- মুহাম্মাদের তলোয়ার এবং চাদরটি অটোমান সুলতান সেলিম প্রথমের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।[১] এই ঘটনাটি ১৭৮০এর দশক পর্যন্ত সাহিত্যচর্চায় উল্লেখ হয়নি। তবে ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে কুচুক কায়নার্সার চুক্তিতে সাম্রাজ্যের বাইরের মুসলমানদের উপর বৈশ্বিক খেলাফতের শক্তি প্রয়োগ করতে এসব দাবি সামনে আনা হয়।[২]
তৃতীয় মুতাওয়াক্কিল জন্ম: ? মৃত্যু: ১৫৪৩
| ||
সুন্নি ইসলাম পদবীসমূহ | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী মুসতামসিক |
খলিফাতুল মুসলিমিন ১৫০৮–১৫১৬ |
উত্তরসূরী মুসতামসিক |
খলিফাতুল মুসলিমিন ১৫১৭ |
অজ্ঞাত কায়রো খেলাফত প্রথম সেলিমের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
|