প্রাক্তন নাম | তেখনিকুম (১৯১২-১৯১৪) |
---|---|
ধরন | সরকারী প্রযুক্তি গবেষণা |
স্থাপিত | ১১ই এপ্রিল, ১৯১২ |
বৃত্তিদান | ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার[১] |
বাজেট | ৪১ কোটি ৬০ লক্ষ মার্কিন ডলার[২] |
সভাপতি | উরি সিভান |
শিক্ষার্থী | ১৩,৭০৩ (২০১৪)[৩] |
স্নাতক | ৯,২৫১ (২০১৪)[৩] |
স্নাতকোত্তর | ৩,৪৩৫ (২০১৪)[৩] |
১,০০৪ (২০১৪)[৩] | |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | পৌর ১,৩২৫ dunam (৩২৭ একর) |
পোশাকের রঙ | নীল ও সোনালি |
অধিভুক্তি | উচ্চতর প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণার জন্য ইউরোপীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের সভা (CESAER) ম্যাকডনেল আন্তর্জাতিক বিদ্বানদের অ্যাকাডেমি ইউরোটেক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ |
ওয়েবসাইট | technion.ac.il |
তেখনিয়ন – ইসরায়েলের প্রযুক্তি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (হিব্রু ভাষায়: הטכניון – מכון טכנולוגי לישראל Ha-Tekhniyon — Makhon Tekhnologi le-Yisrael; আরবি: التخنيون - معهد إسرائيل للتكنولوجيا; ইংরেজি: Technion — Israel Institute of Technology) মধ্যপ্রাচ্যের ইসরায়েলের হাইফা নগরীতে অবস্থিত একটি সরকারী গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিশ্ববিদ্যালয়)। এটি ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সময়ে, ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠারও ৩৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই এটি দেশটির প্রাচীনতম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।[৪] ২০১৯ সালে প্রকাশিত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উচ্চশিক্ষায়তনিক মর্যাদাক্রম অনুযায়ী তেখনিয়ন শুধু ইসরায়েল নয়, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্বের ৮৫তম সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।[৫] তেখনিয়ন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ক্ষেত্রে, এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্র যেমন স্থাপত্য, চিকিৎসাবিজ্ঞান, শিল্প ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষায় ডিগ্রি বা উপাধি প্রদান করে থাকে। এখানে ১৯টি বিভাগ, ৬০টি গবেষণা কেন্দ্র এবং ১২টি অধিভুক্ত প্রশিক্ষণ হাসপাতাল আছে।[৬] প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি ১ লক্ষেরও বেশি উপাধি বা সনদ প্রদান করেছে।[৭] এখানে ৫৬৫ জন শিক্ষক নিয়োজিত আছেন, যাদের মধ্যে তিনজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। এছাড়া আরও ৪ জন নোবেল বিজয়ী তেখনিয়নের সাথে জড়িত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান প্রধানের নাম উরি সিভান।[৮]
তেখনিয়ন আধুনিক ইসরায়েল রাষ্ট্রের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখানেই আধুনিক হিব্রু ভাষাকে উচ্চশিক্ষার ভাষা-মাধ্যম হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে ভাষার যুদ্ধে জার্মান ভাষার বিপরীতে হিব্রুকেই ভাষা-মাধ্যম হিসেবে বহাল রাখা হয়। এভাবে ভবিষ্যতে ইসরায়েলের সরকারি ভাষা হিসেবে হিব্রু ভাষার প্রতিষ্ঠার ভিত্তি সুসংহত করতে তেখনিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।[৯] অধিকন্তু, তেখনিয়ন ইসরায়েলের উচ্চ-প্রযুক্তির শিল্প ও উদ্ভাবনের প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেছে। এটি দেশটির প্রযুক্তি অঞ্চল সিলিকন ওয়াদি-র (“সিলিকন উপত্যকা”) অন্যতম প্রতীক।[১০][১১]