তেয়াত্রো কোলন কলম্বাস নাট্যশালা | |
---|---|
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | শিল্পকলা সম্পর্কীয় বিভিন্ন অংশ |
স্থাপত্যশৈলী | বিভিন্ন উৎস |
অবস্থান | বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা |
নির্মাণ শুরু | ১৮৮৯ |
সম্পূর্ণ | ১৯০৮ |
উচ্চতা | ২৮ মিটার |
Dimensions | |
ব্যাস | ৫৮ মিটার |
কারিগরী বিবরণ | |
কাঠামো ব্যবস্থা | কনক্রিট |
নকশা ও নির্মাণ | |
স্থপতি | ফ্রান্সেস্কো তাম্বুরিনি |
তেয়াত্রো কোলন (স্পেনীয়: Teatro Colón; অর্থ: কলম্বাস থিয়েটার) আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেসের প্রধান গীতিনাট্যশালা। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের জরিপে এই গীতিনাট্যশালাটি বিশ্বের তৃতীয় সেরা গীতিনাট্যশালা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।[১] শব্দসজ্জার বিচারে এটি বিশ্বের সেরা পাঁচটি সেরা সঙ্গীত অনুষ্ঠানস্থলের একটি।[২] অন্য সেরা সঙ্গীত অনুষ্ঠানস্থলের মধ্যে রয়েছে বার্লিনের কনৎসারহাউস, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা নগরীর মুজিকফেরাইন, নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম নগরীর কনসার্টজবো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন নগরের সিম্ফনি হল।
১৮৫৭ সালে মূল নাট্যমঞ্চ উন্মুক্ত করে দেয়ার পর বর্তমান কোলন এর স্থলাভিষিক্ত হয়। শতাব্দী শেষ হবার পূর্বেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নতুন নাট্যমঞ্চ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ২০-বছর ধরে পরিকল্পনা নেয়ার পর ২৫ মে, ১৯০৮ তারিখে বর্তমান নাট্যমঞ্চটি জনসাধারণের জন্য ইতালীয় সুরকার জুসেপ্পে ভের্দি’র আইদা অপেরা মঞ্চস্থ করার মাধ্যমে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
প্রথিতযশা ও উল্লেখযোগ্য গায়ক এবং অপেরা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়শঃই তেয়াত্রো কোলন পরিদর্শনে আসেন। এরপরই তারা মোন্তেবিদেও, রিউ দি জানেইরু ও সাঁউ পাউলু শহর পরিদর্শন করে থাকেন।
ঐ সময়কালে ব্যাপক আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সফলতা লাভের পর নাট্যমঞ্চটির নতুন করে বৃহৎ আঙ্গিকে পুণর্গঠনের কথা ভাবা হয়। ২০০৫ সালে এ স্থাপনাটি গুছিয়ে নেয়ার পর প্রারম্ভিক কাজ শুরু হয়। অক্টোবর, ২০০৬ সাল থেকে মে, ২০১০ সাল পর্যন্ত নাট্যমঞ্চটি পুণঃসংস্কার করার জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। অতঃপর ২০১০ মৌসুমের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২৪ মে, ২০১০ তারিখে এর পুনরায় উন্মুক্ত করা হয়।[৩]
চার্লস পেলেগ্রিনি’র নকশায় প্রথম তেয়াত্রো কোলন নির্মিত হয়। পরবর্তী ৩০ বছরেরও অধিক সময় সফলতার সাথে এ স্থানটি তার যথার্থতা প্রমাণ করে। এতে ২,৫০০ আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়। এছাড়াও, স্মরণসভার জন্য পৃথক একটি গ্যালারী রাখা হয়েছে। ১৮৫৬ সালে এর নির্মাণকার্য শুরু হয় ও ১৮৫৭ সালে নির্মাণকার্য শেষ হয়। এ উপলক্ষ্যে ২৭ এপ্রিল, ১৮৫৬ তারিখে শুভ উদ্বোধন করা হয়। ইতালিতে প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত অনুষ্ঠান করার চার বছর পর ভের্দি’র লা ত্রাভিয়াতা উদ্বোধনী দিনে মঞ্চস্থ হয়েছিল। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সোফিয়া ভেলা লরিনি ‘ভায়োলেত্তা’ এবং এনরিকো তাম্বারলিক ‘আলফ্রেদ’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
নাট্যমঞ্চটি প্রস্তাবিত নতুন ভবনে নেয়ার স্বার্থে ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ তারিখে বন্ধ করে দেয়া হয়। বিশ বছর পর লিবার্তাদ স্ট্রিটে খোলা হয় যা প্লাজা ডে মেয়ো থেকে দেখা যায়। ঐ সময়ে ১৮৯০ সালে সঙ্কট দেখা দেয় ও এর প্রভাবে নির্মাণকার্য বিলম্বিত হয়।
বর্তমান তেয়াত্রো কোলনের অবকাঠামোর পূর্বে বেশকিছু নাট্যমঞ্চে অপেরা অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ হতে থাকে। তন্মধ্যে, প্রথম তেয়াত্রো কোলন ও তেয়াত্রো গীতিনাট্যশালা (অপেরা) সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রধান প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তেয়াত্রো অপেরায় অনুষ্ঠান আয়োজনের পর ১৯০৮ সালে তেয়াত্রো কোলনে ফিরে আসে। তবে, প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোও তেয়াত্রো পোলিতেমা ও ১৯০৭ সালে শুরু হওয়া তেয়াত্রো কোলিসেও (Teatro Coliseo) অনুষ্ঠান করতে থাকে।
অবকাঠামো নির্মাণের বিশ বছর পর বর্তমান দ্বিতীয় নাট্যমঞ্চটিও একই নামে রয়েছে যা ২৫ মে, ১৯০৮ তারিখে খোলা হয়।[৪] লুইগি ম্যানসিনেল্লি’র পরিচালনায় ও আমেদিও বাসি’র উপস্থাপনায় ইতালীয় প্রতিষ্ঠান আইদাকে মঞ্চস্থ করান। তিত্তা রাফো’র পরিচালনায় দ্বিতীয় মঞ্চ নাটক টমাস হ্যামলেট মঞ্চস্থ হয়।[৫] উদ্বোধনী মৌসুমে সতেরোটি অপেরা মঞ্চস্থ হয় যাতে রাফো, বৈতো’র মেফস্তোফেলেতে ফিওদর চালিয়াপিন, ভের্দি’র ওতেল্লোয় অ্যান্টোনিও পাওলি’র ন্যায় জনপ্রিয় তারকা অংশ নিয়েছিলেন।
স্থপতি ফ্রান্সেস্কো তাম্বুরিনি’র নির্দেশনায় বর্তমান তেয়াত্রো কোলনের এক প্রান্ত ১৮৮৯ সালে রাখা হয়েছে। তাঁর শিষ্য ভিত্তোরিও মিয়ানো ইতালীয় ঘরানায় নাট্যমঞ্চের নকশা করেন যা অনেকাংশেই ইউরোপের সাথে মিলে যায়। তবে, আর্থিক সঙ্কট, স্থানের সমস্যা, ১৮৯১ সালে তাম্বুরিনির মৃত্যু, ১৯০৪ সালে মিয়ানোকে হত্যা ও নতুন নাট্যমঞ্চ নির্মাণে বিনিয়োগকারী ইতালীয় ব্যবসায়ী অ্যাঞ্জেলো ফেরারি’র মৃত্যুতে এর নির্মাণকার্যে বেশ ব্যাঘাত ঘটে। অবশেষে ১৯০৮ সালে বেলজীয় স্থপতি জুলিও ডরমালের নির্দেশনায় ভবনের নির্মাণ কার্য শেষ হয়। অবশ্য তিনি অবকাঠামোয় সামান্য পরিবর্তন আনেন ও অঙ্গসজ্জ্বায় ফরাসি ধাঁচের ছোঁয়া লাগান।
২৫ মে তারিখে থিয়েটারের শুভ উদ্বোধনের বিষয়ে আর্জেন্টিনার ‘ডায়া ডে লা পাত্রিয়া’য় আইদা’র ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। এরফলে দ্রুতগতিতে বৈশ্বিকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। লা স্কালা ও মেট্রোপলিটন অপেরার বিপক্ষে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। বিশ্বের সেরা অপেরা গায়ক ও পরিচালনাকারীদের নজর কাড়ে।
ব্যালে তারকারা আর্জেন্টিনীয় নৃত্যশিল্পী ও ধ্রুপদী যন্ত্রশিল্পীদের নিয়ে তাঁদের দক্ষতা প্রদর্শন করতে থাকেন। তন্মধ্যে ব্যালে নৃত্যের পথিকৃৎ লিদা মার্তিনোলি অন্যতম।[৬] নৃত্যকলা থেকে অবসর নিয়ে মার্তিনোলি নৃত্য পরিকল্পনায় অগ্রসর হন। সান্তা ফে এলাকায় তাঁর দেহাবসান ঘটে। ১৯৭১ সালে বিমান দূর্ঘটনায় নর্মা ফন্তেনলা ও হোস নেগলিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যুতে পার্শ্ববর্তী লাভালে স্কয়ারে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আর্জেন্টিনার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক টানাপোড়নে তেয়াত্রো কোলনও উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে অল্প কিছুকাল পরই এর উত্তরণ ঘটতে শুরু করে। নাট্যমঞ্চকে ভিতর ও বাহির - উভয় অংশেই ব্যাপকভাবে পুণর্গঠন করা হয়। চালু অবস্থায় থাকা স্বত্ত্বেও পুরোপুরি নির্মাণের লক্ষ্যে ডিসেম্বর, ২০০৬ সালের শেষদিকে এর কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
নাট্যমঞ্চটি ৯ ডে জুলিও অ্যাভিনিউ (সেরিতো স্ট্রিট), লিবার্তাদ স্ট্রিট (প্রধান প্রবেশদ্বার), আর্তুরো তোসকানিনি স্ট্রিট ও তুকুমান স্ট্রিট দিয়ে ঘেরা।[৭] শহরের প্রাণকেন্দ্র এটি যা একসময় ফেরোকারিল ওয়েস্তে’র ‘প্লাজা পার্ক’ স্টেশনের নিয়ন্ত্রিত ছিল।
মিলনায়তনটি অশ্বক্ষুরাকৃতির। ২,৪৮৭ আসন রয়েছে এতে যা লন্ডনের কনভেন্ট গার্ডেনে অবস্থিত রয়্যাল অপেরা হাউস থেকে কিছুটা বেশি। মঞ্চটি ২০ মিটার প্রশস্ত, ১৫ মিটার উঁচু ও ২০ মিটার গভীর।[৮] কোলনের অঙ্গসজ্জ্বা এতোটাই মনোমুগ্ধকর যে, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সেরা পাঁচটি শৈল্পিক প্রদর্শনকারী অনুষ্ঠানের একটিরূপে বিবেচিত হয়ে আসছে।[২] লুসিয়ানো পাভারোত্তিও একই মতামত ব্যক্ত করেছিলেন।[৯]
শুরুতে ১৮ মাস সময়ের মধ্যে $২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে ৫০০ কর্মী নিয়োগ করা হয়। আইদাকে নিয়ে মে, ২০০৮ সালে পুনরায় উদ্বোধনেরও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৩০জন পেশাদার স্থপতি ও প্রকৌশলীসহ ১,৫০০ কর্মীকে তিন বছরের জন্য $১০০ মিলিয়ন অতিরিক্ত অর্থব্যয়ে সম্পন্ন করতে হয়েছে।[১০] ২০১১ সালে চালু করার পরিকল্পনা নিয়ে বহিরাঙ্গনে উন্মুক্ত মঞ্চ নির্মাণ পরিকল্পনাও এতে যুক্ত করা হয়।[১০] সর্বোপরি ৬০০০০ বর্গমিটার বা ৬৪৫,৮৩৫ বর্গফুট জায়গা এ পরিকল্পনার সাথে জড়িত ছিল।
নাট্যমঞ্চের ভবন বন্ধের পূর্বে ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে সর্বশেষ সোয়ান লেক মঞ্চস্থ হয়। এতে ব্যালে এস্তাবেল ডেল তেয়াত্রো কোলন ও বুয়েন্স আয়ার্স ফিলহারমোনিক অংশ নেয়।[১১] ২৮ অক্টোবর বরিস গদুনভ অপেরা অর্কুয়েস্তা এস্তাবেল দেল তেয়াত্রো কোলনে পরিবেশন করে। [১২]
২৫ মে, ২০০৮ তারিখে শতবার্ষিকী উদযাপনে পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু দেরী করে ফেলায় তা আর সম্ভব হয়নি। অবশেষে গালা কনসার্ট ও থ্রিডি অ্যানিমেশন নিয়ে এর ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও আর্জেন্টিনার দ্বি-শতবার্ষিকী উদযাপনের পূর্বে ২৪ মে, ২০১০ তারিখে উদ্বোধন করা হয়। চাইকোভস্কি’র সোয়ান লেক ও পুসিনি’র এক্ট টু লা বোহেম মঞ্চস্থ করে। অবশ্য এর পূর্বে ৬ মে, ২০১০ তারিখে কর্মী, স্থপতি ও সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।[১৩]
মরিসিও কাগেল, ফ্লোরো মেলিটন ওগার্তে, সেলেস্তিনো পিয়াজ্জিও, গিলার্দো গিলার্দি বিগনেল, সেঙ্কার ইউজেন আর্থার লুজাত্তি ও রবার্ট কিনস্কি।
আর্তুরো তোস্কানিনি, নিনন ভ্যালিন, এনিরকো কারুসো, ক্লদিয়া মুজিও, মিগুয়েল ফ্লেতা, কার্স্টেন ফ্লাগস্তাদ, মার্গারেতে ক্লোজ, বেনিয়ামিনো জিগলি, জর্জেস থিল, কনসুয়েলো রুবিও কাভানিলাস, মারিয়া কালাস, রেজিন ক্রেস্পিন, রেনাতা তেবাল্দি, বিরজিত নিলসন, হ্যান্স হটার, আলিসিয়া নাফে, ভিক্টোরিয়া অ্যাঞ্জেলস, জন ভিকার্স, রেনাতা স্কত্তো, মন্তেসেরাত কাবাল্লে, যোসেপ ক্যারিয়ার্স, প্লাসিদো ডোমিঙ্গো ও লুইসিয়ানো পাভারত্তি।
মার্থা আর্জেরিচ, জিন-মারি বার্থিয়ের, নেলসন ফ্রিয়েরে, ব্রুনো জেলবার, এরিখ ক্লেইবার, আর্থার রুবিনস্টেইন, উইলহেইম ফুর্তওয়াংলার, এদোয়ার্দো দে গুয়ামাইর, স্যার টমাস বিচাম, অটো ক্লেম্পারার, কার্ল বোম, আর্নেস্ট আনসার্মেট, হার্বার্ট ফন কারাজান, লিওনার্দ বার্নস্টেইন, জুবিন মেহতা, রিকার্ড মুটি, বার্নার্ড হাইটিঙ্ক, লরিন মাজেল, ডেভিড অইস্ত্রাচ, প কাসালস, অসভাল্দো পেসিনা ও কার্লোস পেসিনা, ক্লদিও আরাও, ইয়েহুদি মেনুহিন, দানিয়েল বারেনবোম, ক্লদিও আবাদো, ইয়ো-ইয়ো মা, গিডন ক্রেমার, ইয়েভজেনি কিসিন, হোস ফ্রান্সিস্কো বেরিনি, নিকানোর জাবালেতা ও পিঞ্চাস জুকারম্যান।
আন্না পাভলোভা, ভাসল্যাভ নিজিনস্কি, লুসিয়া ফর্নারোলি, রুডল্ফ নুরিয়েভ আলিসিয়া আলোন্সো, মাইয়া প্লিসেতস্কায়া, মার্গত ফন্তেইন, মিখাইল বারিশনিকভ, ভ্লাদিমির ভাসিলিয়েভ, কারিন ওয়েহনার, অ্যান্টোনিও গাদেস ও মারিয়া রুয়ানোভা, ওল্গা ফেরি, মাইকেল বরোভস্কি, হোস নেগলিয়া, নর্মা ফন্তেইনা, ওয়াসিল তুপিন, এস্মারাল্দা আগ্লোগ্লিয়া, জর্জ ডন, জুলিও বোকা, ম্যাক্সিমিলিয়ানো গুয়েরা ও পালোমা হেরেরা, মারিয়া ওলোনেভা।
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)