তেহরি গাড়োয়াল জেলা

তেহরি গাড়োয়াল জেলা
জেলা
দেবপ্রয়াগ, গঙ্গা নদীর উৎপত্তিস্থল
দেবপ্রয়াগ, গঙ্গা নদীর উৎপত্তিস্থল
ভারতের উত্তরাখণ্ডে অবস্থান
ভারতের উত্তরাখণ্ডে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৩০°২৩′ উত্তর ৭৮°২৯′ পূর্ব / ৩০.৩৮° উত্তর ৭৮.৪৮° পূর্ব / 30.38; 78.48
দেশ ভারত
রাজ্যউত্তরাখণ্ড
বিভাগগাড়োয়াল
সদর দপ্তরতেহরি
আয়তন
 • মোট৪,০৮০ বর্গকিমি (১,৫৮০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা
 • মোট৬,০৪,৭৪৭
 • জনঘনত্ব১৪৮/বর্গকিমি (৩৮০/বর্গমাইল)
ভাষাসমূহ
 • সরকারিহিন্দি
 • স্থানীয় ভাষাগাড়োয়ালী
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
যানবাহন নিবন্ধনইউকে ০৯
ওয়েবসাইটtehri.nic.in

তেহরি গাড়োয়াল ভারতের উত্তরাখণ্ড পার্বত্য রাজ্যের একটি জেলা। এর প্রশাসনিক সদর দফতর নতুন তেহরিতে আছে।[] এই জেলার জনসংখ্যা ৬,১৮,৯৩১ (২০১১ আদমশুমারি), আগের দশকের তুলনায় এটি ২.৩৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি পূর্বদিকে রুদ্রপ্রয়াগ জেলা, পশ্চিমে দেরাদুন জেলা, উত্তরে উত্তরকাশি জেলা, এবং দক্ষিণে পৌরি গাড়োয়াল জেলা দ্বারা বেষ্টিত রয়েছে। তেহরি গাড়োয়াল হিমালয়ের একটি অংশ।

ব্যুৎপত্তি

[সম্পাদনা]

তেহরি নামটি ত্রিহরি থেকে এসেছে, এটি এমন একটি স্থান নির্দেশ করে যা তিন ধরনের পাপকে হরণ করে বা ধুয়ে ফেলে – যথাক্রমে মনস, বাচ ও কর্মণ বা যথাক্রমে চিন্তাধারা, শব্দ ও কর্মের দ্বারা জন্মগ্রহণকারী পাপগুলি। হিন্দি ভাষায় যা গড় তার অর্থ দুর্গ।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

প্রাথমিক

[সম্পাদনা]

৮৮৮ খ্রিস্টাব্দের আগে, এই অঞ্চলটি ৫২টি দুর্গে বিভক্ত ছিল যেগুলি স্বাধীন রাজারা শাসন করতেন। এইসব গড়গুলি মালওয়া রাজপুত্র কনকপাল একটি প্রদেশের অধীনে নিয়ে এসেছিলেন। বদ্রীনাথে সফরের সময় কনকপালের সঙ্গে, তৎকালীন সর্বশক্তিমান রাজা, ভানু প্রতাপের দেখা হয়েছিল যিনি পরে তাঁর একমাত্র মেয়েকে রাজপুত্রের সাথে বিবাহ দিয়েছিলেন এবং তাঁর রাজ্য তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কনকপাল সিংহ এবং তাঁর বংশধররা ধীরে ধীরে সমস্ত গড়গুলি জয় করেন এবং পরবর্তী ৯১৫ বছর ধরে, ১৮৫৩ সাল পর্যন্ত পুরো গাড়োয়াল রাজ্য শাসন করেন।

গাড়োয়াল রাজ্য

[সম্পাদনা]
তেহরি গড়ওয়ালের রাজপরিবারের পতাকা।

তেহরি গাড়োয়াল[] বা গাড়োয়াল রাজত্ব ছিল একটি স্বশাসিত রাজ্য, পারমার (শাহ) রাজবংশ দ্বারা শাসিত। পরে এটি ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব পার্বত্য রাজ্য এজেন্সির একটি অংশে পরিণত হয়েছিল,যা বর্তমানে তেহরি গাড়োয়াল জেলা এবং বেশিরভাগ উত্তরকাশি জেলা নিয়ে গঠিত। ১৯০১ সালে, এটি ৪,১৮০ বর্গমাইল (১০,৮০০ কিমি) অঞ্চল নিয়ে বিস্তৃত ছিল এবং জনসংখ্যা ছিল ২৬৮,৮৮৫। শাসককে রাজা উপাধি দেওয়া হয়েছিল, তবে ১৯১৩ সালের পরে, তিনি মহারাজা উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। শাসক ১১টি তোপধ্বনি এবং ৩০০,০০০ টাকা নজরানার অধিকারী ছিলেন। এই রাজ্যটি ১৯৪৭ সালের ১লা আগস্ট ভারতের সাথে যুক্ত হয়ে যায়।

অর্থনীতি

[সম্পাদনা]

২০০৬ সালে পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক, তেহরি গাড়োয়ালকে দেশের ২৫০টি সর্বাধিক পশ্চাৎপদ জেলার মধ্যে একটি (মোট ৬৪০-এর মধ্যে) ঘোষণা করে।[] এটি বর্তমানে পশ্চাৎপদ অঞ্চল অনুদান তহবিল কর্মসূচির (বিআরজিএফ) তহবিল প্রাপ্ত উত্তরাখণ্ডের তিনটি জেলার মধ্যে একটি।[]

শুকনো মরসুমের ফসলের মধ্যে রয়েছে - গম, যব, মসুর, কালো এবং লাল ছোলা, রেপসীড এবং সরিষা এবং মটর। বর্ষার ফসলের মধ্যে রয়েছে চাল, বার্নইয়ার্ড বাজরা, আঙুল বাজরা, কালো ছোলা, তিল এবং সয়াবিন। জেলায় বিভিন্ন ফল ও মশলার চাষও হয়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. http://tehri.nic.in/pages/display/54-location-and-area#
  2. Tehri Garhwal The Imperial Gazetteer of India, 1909, v. 23, p. 269.
  3. Ministry of Panchayati Raj (৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। ৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  4. "Agriculture Contingency Plan for District : Tehri Garhwal" (পিডিএফ)agricoop.nic.in/। ২১ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Tehri Garhwal টেমপ্লেট:Districts of Uttarakhand