তেহরি বাঁধ | |
---|---|
দেশ | ভারত |
অবস্থান | উত্তরাখণ্ড |
স্থানাঙ্ক | ৩০°২২′৪০″ উত্তর ৭৮°২৮′৫০″ পূর্ব / ৩০.৩৭৭৭৮° উত্তর ৭৮.৪৮০৫৬° পূর্ব |
অবস্থা | সক্রিয় |
নির্মাণ শুরু | ১৯৭৮ |
উদ্বোধনের তারিখ | ২০০৬ |
নির্মাণ ব্যয় | $১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার |
মালিক | টিএইচডিসি ইন্ডিয়া লিমিটেডের |
বাঁধ এবং অতিরিক্ত জলনির্গমপথ | |
বাঁধের ধরন | আর্থ-ফিল এমব্যাঙ্কমেন্ট বাঁধ |
আবদ্ধতা | ভাগীরথী নদী |
উচ্চতা | ২৬০.৫ মি (৮৫৫ ফু) |
দৈর্ঘ্য | ৫৭৫ মি (১,৮৮৬ ফু) |
প্রস্থ (চূড়ায়) | ২০ মি (৬৬ ফু) |
প্রস্থ (ভিত্তিতে) | ১,১২৮ মি (৩,৭০১ ফু) |
অতিরিক্ত পানি নির্গমনের পথ | ২ |
অতিরিক্ত জলনির্গমপথের ধরন | গেট কন্ট্রোল্ড |
অতিরিক্ত জলনির্গমপথের ধারণক্ষমতা | ১৫,৫৪০ মি৩/সে (৫,৪৯,০০০ ঘনফুট/সে) |
জলাধার | |
মোট ধারণক্ষমতা | ৪.০ কিমি৩ (৩২,০০,০০০ acre·ft) |
পৃষ্ঠতলের আয়তন | ৫২ কিমি২ (২০ মা২) |
পাওয়ার স্টেশন | |
সম্পাদনের তারিখ | ২০০৬ |
ধরন | পি |
ঘূর্ণযন্ত্র | Vertical Francis turbines |
স্থাপিত ক্ষমতা | ১,০০০ মেওয়াট (১৩,০০,০০০ অশ্বশক্তি) Max. planned: 2,400 MW |
তেহরি বাঁধ ভারতের সর্বোচ্চ বাঁধ এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ বাঁধগুলির মধ্যে একটি। এটি ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের তেহরির কাছে ভাগীরথী নদীর উপর নির্মিত বহুমুখী পাথর এবং মাটি ভরাট কৃত্রিম বাঁধ। এটি টিএইচডিসি ইন্ডিয়া লিমিটেডের এবং তেহরি হাইড্রোইলেক্ট্রিক কমপ্লেক্সয়ের প্রাথমিক বাঁধ। বাঁধের প্রথম পর্যায়ের কাজ ২০০৬ সালে সম্পন্ন হয়েছিল। বাঁধের জলাধারের জল দ্বারা সেচ, পৌর এলাকার জল সরবরাহ এবং ১০০০ মেগাওয়াট (১,৩০০,০০০ এইচপি) জলবিদ্যুতের উৎপাদন করা হয়। এছাড়া বাঁধ প্রকল্পের অংশ হিসাব ১,০০০ মেগাওয়াট ভ্যেরিয়েবল-স্পিড পাম্পড-স্টোরেজ প্রকল্প বর্তমানে মে ২০১৮ সালে প্রত্যাশিত উদ্ভোদনের জন্য নির্মাণাধীন।[১] [২]
তেহরি বাঁধ প্রকল্পের জন্য একটি প্রাথমিক সমীক্ষা ১৯৬১ সালে সম্পূর্ণ হয় এবং ১৯৭২ সালে ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ নির্মাণের জন্য নকশা সম্পূর্ণ করা হয়। কার্যনির্বাহীতার পর ১৯৭৮ সালে নির্মাণ শুরু হয় কিন্তু আর্থিক, পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাবের কারণে নির্মাণ কার্য বিলম্বিত হয়। ১৯৮৬ সালে, ইউএসএসআর কর্তৃক প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নির্মাণ কার্য ব্যাহত হয় পরবর্তী বছরগুলিতে। ভারত সরকার প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ নিতে বাধ্য হয়েছিল এবং প্রথমে বাঁধটি উত্তরপ্রদেশের সেচ বিভাগের নির্দেশে স্থাপিত হয়েছিল। যাইহোক, ১৯৯৮ সালে তেহরি হাইড্র ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন গঠন করা হয় বাঁধটি পরিচালনা করতে এবং বাঁধ প্রকল্পের জন্য অর্থায়নের ৭৫% কেন্দ্রীয় সরকার ও ২৫% রাজ্য সরকার, কর্তৃক প্রদান করা হয়। উত্তরপ্রদেশ সরকার প্রকল্পের সেচ অংশের জন্য অর্থায়ন করে। ১৯৯০ সালে, এই প্রকল্পের পুনর্বিবেচনা করা হয় এবং নকশাটিকে তার বর্তমান বহুমুখী-কার্যে পরিবর্তিত হয়।[৩] তেহরি বাঁধ নির্মাণ ২০০৬ সালে সম্পূর্ণ হয় এবং প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশ, কোটেশ্বর বাঁধ নির্মাণ ২০১২ সালে সম্পন্ন হয়।
বাঁধটি একটি ২৬০.৫ মি (৮৫৫ ফুট) উচু শিলা এবং আর্থ-ফিল এমব্যাঙ্কমেন্ট বাঁধ। বাঁধের দৈর্ঘ্য ৫৭৫ মিটার (১,৮৮৬ ফুট), চূড়ায় প্রসস্ততা ২০ মিটার (৬৬ ফুট) এবং ভূমিতে প্রসস্ততা ১,১২৮ মিটার (৩,৭০১ ফুট)। বাঁধটি ৫০ বর্গ কিলোমিটারের (২২ বর্গ মাইল) একটি পৃষ্ঠতল সহ ৪.০ ঘন কিলোমিটার (৩,২০০,০০০ একরফট) একটি জলাধার তৈরি করে। তেহরি বাঁধের বিদ্যুত কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১০০০ মেগাওয়াট। এছাড় রয়েছে ১০০০ মেগাওয়াটের পাম্প স্টোরেজ হাইড্রোয়েক্ট্রিসিটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। পাম্প-স্টোরেজ প্ল্যান্টের জন্য নিম্ন জলাশয় কটেশ্বর বাঁধ দ্বারা জলকে প্রবাহিত করা হয়।