তোচিগি প্রশাসনিক অঞ্চল 栃木県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 栃木県 |
• রোমাজি | Tochigi-ken |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | কান্তোও |
দ্বীপ | হোনশু |
রাজধানী | উৎসুনোমিয়া |
আয়তন | |
• মোট | ৬,৪০৮.২৮ বর্গকিমি (২,৪৭৪.২৫ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ২০শ |
জনসংখ্যা (১লা মে, ২০১৬) | |
• মোট | ১৯,৬৯,০৪২ |
• ক্রম | ২০শ |
• জনঘনত্ব | ৩০৭.২৭/বর্গকিমি (৭৯৫.৮/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-09 |
জেলা | ৫ |
পৌরসভা | ২৬ |
ফুল | য়াশিও ৎসুৎসুজি (রোডোডেন্ড্রন অ্যালব্রেখ্টিয়াই) |
গাছ | জাপানি হর্স চেস্টনাট (অ্যাস্কুলাস টার্বিনাটা) |
পাখি | নীল-সাদা ফ্লাইক্যাচার (সায়ানোপ্টিলা সায়ানোমেলানা) |
ওয়েবসাইট | www |
তোচিগি প্রশাসনিক অঞ্চল (栃木県? তোচিগি কেন্) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর কান্তোও অঞ্চলের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[১] এর রাজধানী উৎসুনোমিয়া নগর।[২]
তোচিগির নিক্কো নগরের বৌদ্ধ ও শিন্তো মন্দিরগুলি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা পেয়েছে।[৩] অন্যান্য বিখ্যাত অংশের মধ্যে আছে নাসু ও কিনুগাওয়ার উষ্ণ প্রস্রবণ, স্থানীয় সাকে ও স্কি রিসর্ট। জাপানের রাজপরিবার নাসু অঞ্চলে একটি ভিলার মালিক। নাসু-শিওবারা অন্যতম শিন্কান্সেন স্টেশন।
মেইজি পুনর্গঠনের আগে তোচিগি প্রশাসনিক অঞ্চল শিমোৎসুকে প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল।[৪]
পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে জাপানের উচ্চশিক্ষার প্রাচীন প্রতিষ্ঠান আশিকাগা গাক্কোও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। ষোড়শ শতাব্দী নাগাদ এর মোট ছাত্রসংখ্যা দাঁড়ায় ৩০০০ জনে। সন্ত ফ্রান্সিস জেভিয়ার বিশ্বের কাছে আশিকাগাকে জাপানের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তুলে ধরেন।
সপ্তদশ শতাব্দীতে তোকুগাওয়া ইয়েআসুর মৃত্যুর পর ১৬১৭ খ্রিঃ নিক্কোতে তোওশোও-গু তীর্থ স্থাপন হয়। এই স্থানটিকে শোগুনরা ইয়েআসুর অর্চনাস্থল হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন। এই তীর্থ নিক্কোকে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিণত করে। তোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্র নিক্কো ও এদো নগরের সংযোগকারী সড়ক নিক্কো-কাইদোর (日光街道)অংশবিশেষ নির্মাণ করেন এবং বিশাল শোভাযাত্রা সহকারে তাদের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েআসুর পূজার ব্যবস্থা করেন।
উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে তোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের পতন ও মেইজি পুনর্গঠন সংঘটিত হয়। নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল ব্যবস্থায় ১৮৭৩ খ্রিঃ উৎসুনোমিয়া ও তোচিগি প্রশাসনিক অঞ্চল দুটির সংযুক্তির পর তোচিগি নগরে রাজধানী স্থাপিত হয়। ১৮৮৪ নাগাদ রাজধানী উৎসুনোমিয়ায় স্থানান্তরিত হয়।
২০১১ এর নিউক্লীয় দুর্ঘটনার পর তোচিগির তেজস্ক্রিয় বিকিরণের মাত্রা সাময়িকভাবে স্বাভাবিকের ৩৩ গুণ উপরে উঠে গিয়েছিল।[৫]
স্থলবেষ্টিত তোচিগি প্রশাসনিক অঞ্চলের অবস্থান কান্তোও অঞ্চলের উত্তর ভাগে। এর পার্শ্ববর্তী অন্যান্য প্রশাসনিক অঞ্চলগুলি হল ইবারাকি, গুন্মা, সাইতামা ও ফুকুশিমা।
তোচিগির কেন্দ্রে রয়েছে জাপানের বৃহত্তম সমভূমি কান্তোও সমতলের অংশবিশেষ। উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গগুলি হল শিরানে (২৫৭৮ মি), নান্তাই (২৪৮৪ মি) ও নাসুদাকে (১৯১৭ মি)। এগুলি উত্তরে অবস্থিত। এই অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে কিনুগাওয়া, নাকাগাওয়া ও ওয়াতারাসে নদী দক্ষিণবাহিনী হয়ে কান্তোও সমতলের মধ্য দিয়ে তোচিগির সীমানার বাইরে প্রশান্ত মহাসাগরে মিশেছে।
২০১২ র এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী তোচিগি প্রশাসনিক অঞ্চলের মোট ভূমির ২১ শতাংশ সংরক্ষিত উদ্যান। এর মধ্যে আছে নিক্কো ও ওযে জাতীয় উদ্যান এবং আটটি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৬]
জলবায়ুর বিচারে তোচিগি আর্দ্র নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল, যদিও শীত-গ্রীষ্মে উষ্ণতার পার্থক্য বেশি। শীতকাল অপেক্ষাকৃত শুষ্ক ও গ্রীষ্মকাল ঝঞ্ঝাসঙ্কুল।