ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

← ২০২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ - জুন ২০২৬ পরবর্তী →

জাতীয় সংসদে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ৩০০টি আসন
সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ১৫১টি আসন
জনমত জরিপ
 
Sheikh Hasina at Hyderabad House, New Delhi on June 22, 2024 (cropped).jpg
GM Quader 2023.png
Khaleda_Zia_Poses_for_a_Photo_with_Secretary_Kerry_at_U.S._Embassy_Dhaka_(29284522026)_(cropped).jpg
নেতা শেখ হাসিনা জি এম কাদের খালেদা জিয়া
দল আ.লীগ জাপা বিএনপি
জোট মহাজোট
নেতা হন ১৯৮১ ২০১৮ ১৯৮৪
পূর্ববর্তী আসন ২২৪ ১১ বর্জন
আসনের প্রয়োজন অপরিবর্তিত বৃদ্ধি ১৪০ বৃদ্ধি ১৫১

 
Syed Muhammad Rezaul Karim (2019).jpg
Shafiqur Rahman.jpg
Nahid Islam in 2024.jpg
নেতা সৈয়দ রেজাউল করিম শফিকুর রহমান নাহিদ ইসলাম
দল ইসলামী আন্দোলন জামাত এনসিপি
নেতা হন ২০০৬ ২০১৯ ২০২৫
পূর্ববর্তী আসন বর্জন নূতন
আসনের প্রয়োজন বৃদ্ধি ১৫১ বৃদ্ধি ১৫১ বৃদ্ধি ১৫১

অধিষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা

মুহাম্মদ ইউনূস
নির্দলীয় (অন্তর্বর্তী)



ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচনের জন্য আয়োজিত সাধারণ নির্বাচন যেটি ২০২৫ থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে। ৫ই আগস্ট ২০২৪-এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়। অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষাতে সংস্কার বাস্তবায়নের পর একটি সুষ্ঠু ও নিরাপক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

পটভূমি

[সম্পাদনা]

২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি বিতর্কিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার টানা পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় আসে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল এই নির্বাচন বয়কট করে এবং একে ডামি নির্বাচন বলে অভিহিত করে। তারা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করার জন্য আন্দোলন করে।

জুলাই ২০২৪-এ, সরকারি চাকুরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়, যা দীর্ঘ সহিংসতার পর অসহযোগ আন্দোলনে রূপ নেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এক দফা দাবির মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং দেশত্যাগে বাধ্য হন।

নির্বাচনী ব্যবস্থা

[সম্পাদনা]
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন।

জাতীয় সংসদের ৩৫০ জন আসনের মধ্যে ৩০০টি ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয় এবং অতিরিক্ত ৫০টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। সংরক্ষিত আসন আনুপাতিকহারে নির্বাচিত দলসমূহের মাঝে বণ্টন করা হয়। প্রতিটি জাতীয় সংসদ পাঁচ বছরের জন্য বসে। প্রচলিত এই নির্বাচনী ব্যবস্থাকে অসামঞ্জস্যপূর্ণ[][][] এবং দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থার মূল চালক হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে।[] বর্তমান বাংলাদেশের ২য় প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এই পদ্ধতির বিপক্ষে অবস্থান করে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা পদ্ধতিকে সমর্থন জানিয়েছে।

দল ও জোটসমূহ

[সম্পাদনা]

      সম্মিলিত জাতীয় জোট

[সম্পাদনা]
দল[] প্রতীক পতাকা নেতা Contesting Seats
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বেগম খালেদা জিয়া TBD
নাগরিক ঐক্য মাহমুদুর রহমান মান্না TBD
গণসংহতি আন্দোলন জোনায়েদ সাকি TBD
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব) আ স ম আব্দুর রব TBD
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাইফুল হক রুবেল TBD
ভাসানী অনুসারী পরিষদ রফিকুল ইসলাম বাবলু TBD
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন হাসনাত কাইয়ুম TBD

      ইসলামী ঐক্য জোট

[সম্পাদনা]
Party Symbol Flag Leader Contesting Seats
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শফিকুর রহমান TBD
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সৈয়দ রেজাউল করিম TBD

      সংস্কারপন্থী ছাত্র জোট

[সম্পাদনা]
দল [] প্রতীক পতাকা নেতা Contesting Seats
জাতীয় পার্টি (এরশাদ) জি এম কাদের TBD
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নাহিদ ইসলাম
খেলাফত মজলিস আহমদ আব্দুল কাদের TBA
ইসলামী ঐক্যজোট মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন TBA
গণঅধিকার পরিষদ নুরুল হক নুর TBA
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি আন্দালিব রহমান পার্থ TBA
এলডিপি অলি আহমেদ TBA
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মাওলানা এম এ মতিন TBA
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ জয়নুল আবেদীন জুবাইর TBA
জাকের পার্টি মোস্তফা আমীর ফয়সাল TBA
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি সৈয়দ সাইফুদ্দিন মাইজভান্ডারী TBA
তৃণমূল বিএনপি অন্তরা সেলিমা হুদা TBA
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আব্দুল কাদের সিদ্দিকী TBA
বিকল্পধারা বাংলাদেশ মাহি বি চৌধুরী TBA
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম TBD
আমার বাংলাদেশ পার্টি মুজিবুর রহমান মঞ্জু

      মহাজোট

[সম্পাদনা]
দল [] প্রতীক পতাকা নেতা Contesting Seats
আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা TBD
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি রাশেদ খান মেনন TBD
গণতন্ত্রী পার্টি আরশ আলী TBD
জেপি (মঞ্জু) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু TBD
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী TBD
সাম্যবাদী দল (দীলিপ) দীলিপ বড়ুয়া TBD
জাসদ (ইনু) হাসানুল হক ইনু TBD
গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি জাকির হোসেন TBD
শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল অধ্যাপক ইসমত এনামুল TBD
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মোহাম্মদ শাহ আলম TBD
বাংলাদেশ জাসদ (আম্বিয়া) শরীফ নুরুল আম্বিয়া TBD
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল–বাসদ বজলুর রশিদ ফিরোজ TBD
ঐক্য ন্যাপ (পঙ্কজ) পঙ্কজ ভট্টাচার্য TBD
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) মুবিনুল হায়দার চৌধুরী TBD
বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ মোশাররফ নান্নু TBD
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সন্তু লারমা TBD
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (শামসুদ্দিন) শামসুদ্দিন পারভেজ TBD
জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার TBD
বাংলাদেশ এলডিপি শাহাদাত হোসেন সেলিম TBD
ইসলামী ঐক্য জোট(রকিব) মাওলানা আব্দুর রকিব TBD
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (ইকরাম) মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম TBD

জনমত জরিপ

[সম্পাদনা]
ভোট ভাগের অনুমান
জরিপ সংস্থা তথ্য সংগ্রহের
তারিখ
ফলাফল
প্রকাশের তারিখ
নমুনার পরিমাণ ত্রুটির পরিমাণ আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি (এরশাদ) বিএনপি ইসলামী আন্দোলন জামায়াতে ইসলামী জাতীয় নাগরিক পার্টি অন্যান্য স্বতন্ত্র কেউ নয় সিদ্ধান্তহীন উত্তর নেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা (শতকরা)
দৈনিক ইনকিলাব ২০ নভেম্ব — ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ৬,০৩৬ ± ১.২% ৫.৫৮%  — 61.08%  — ১৪.৮২% ৮.১১% ৮.২২%[]  —  —  —  — 46.26
ব্র‍্যাক ১৫ — ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪,১৫৮ ± ১.৫৫% ৯% ১% 16%  — ১১% ২%[] ৯%[]  — ২% ৩৮% ১৩% 5
জাতীয় নাগরিক কমিটি নামে ছাত্র নেতৃত্ব দ্বারা একটি নতুন দল গঠিত হয় ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ স্পিকস ২৯ আগস্ট — ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫,১১৫ (মাঠ) ± ১.৪% ৫% ১% 21% ৩% ১৪% ১০% ১% ৩% ২% ৩৪% ৪% 7
৩,৫৮১ (অনলাইন) ± ১.৬৭% ১০% ০% ১০% ১% ২৫% 35% ১% ৩% ৩% ১১% ০% 10
গড় ৭.৫% ০.৫% ১৫.৫% ২% ১৯.৫% 22.5% ১% 3% ২.৫% ২২.৫% ২% 3
২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচন[] 74.96% 5.22% 11.73% 1.47%  — N/A 1.76% N/A N/A N/A 63.23
২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচন 48.04% 7.04% 32.5% 0.94% 4.7% N/A 2.94% 0.55%[] N/A N/A 15.54

ফলাফল

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]
  1. "অন্যান্য ইসলামিক দলগুলির জন্য ৫.০৫ পিপি, বামপন্থী গোষ্ঠীগুলির জন্য ০.১৯ পিপি এবং অন্যান্যদের জন্য ২.৯৮ পিপি।"
  2. একটি আলাদা প্রশ্নে, ৪০% উত্তরদাতা বলেছেন যে তারা যদি একটি ছাত্র নেতৃত্বাধীন প্ল্যাটফর্ম চালু হয়, তবে তারা তাতে ভোট দেবেন, যখন ৪৪% বলেছেন যে তারা এটি সমর্থন করবেন না। বাকি ৯% অনিশ্চিত ছিলেন এবং ৮% কোনো উত্তর দেননি।
  3. "অন্যান্য ইসলামিক গোষ্ঠীগুলির জন্য ৩%, রাজনীতিবিদদের দ্বারা গঠিত একটি নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য ২%, এবং অন্যান্যদের জন্য ৪%।"
  4. ব্যাপকভাবে কারচুপি হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
  5. "উপরের কোনটিই নয়"

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Katherine L. Ekstrand, No Matter Who Draws the Lines: A Comparative Analysis of the Utility of Independent Redistricting Commissions in First-Past-the-Post Democracies, 45 GJICL (2016).
  2. "4: Persistent Factionalism: Bangladesh, Bolivia, Zimbabwe", Democratization and the Mischief of Faction, Lynne Rienner Publishers, ১ জুলাই ২০১৮, পৃষ্ঠা 85–112, আইএসবিএন 978-1-62637-736-3, ডিওআই:10.1515/9781626377363-006, সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০২৪ 
  3. "Women's Reserved Seats in Bangladesh: A Systemic Analysis of Meaningful Representation"International Foundation for Electoral Systems (ইংরেজি ভাষায়)। জুন ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০২৪ 
  4. https://www.thedailystar.net/news/bangladesh/politics/news/bnp-secures-backing-allies-feb-programmes-3813076
  5. https://www.thedailystar.net/news/bangladesh/politics/news/bnp-secures-backing-allies-feb-programmes-3813076
  6. https://www.thedailystar.net/news/bangladesh/politics/news/bnp-secures-backing-allies-feb-programmes-3813076