ডক্টর ত্রিগুণা সেন (২৪ ডিসেম্বর ১৯০৫- ১১ জানুয়ারি ১৯৯৮) ছিলেন ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। ১৯৬৫ সালে তিনি পদ্মভূষণ খেতাব লাভ করেন। ডক্টর ত্রিগুণা সেন ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য (১৯৫৬-১৯৬৬)।[১] [২]১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩][৪]
ত্রিগুণা সেন | |
---|---|
জন্ম | ডিসেম্বর ২৪, ১৯০৫ ইং |
মৃত্যু | জানুয়ারী ১১, ১৯৯৮ ইং |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানি ( পিএইচডি, ১৯৩২) |
পরিচিতির কারণ | রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবীদ, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের কর্মী এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন |
পিতা-মাতা | গোলকচন্দ্র সেন (বাবা) সুশীলাসুন্দরী দেবী (মা) |
সম্মাননা | ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ খেতাব (১৯৬৫) |
ত্রিগুণা সেন ১৯০৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের সিলেট জেলার বীরশ্রী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা গোলকচন্দ্র সেন এবং মা সুশীলাসুন্দরী দেবী। তারঁ পুরো নাম ত্রিগুণাকুমার সেন।
তাঁর মাতামহ প্রতিষ্ঠিত বীরশ্রী এম. ই. স্কুলে নিম্ম মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশুনা করে ১৯২১ সালে শিলচর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন (মাধ্যমিক) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ১৯২৬ সালে তিনি বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিইশন (Bengal Technical Institution) থেকে ডিস্টিংশন সহ ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। ১৯২৯ সালে ড. সেন ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট (Indian Institute) থেকে স্কলারশীপ নিয়ে জার্মানির মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৩২ সালে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে প্রকৌশল বিদ্যায় পি.এইচ.ডি. (PhD) ডিগ্রী অর্জন করেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়ক শক্তি হিসেবে অনেক বিদেশি ব্যক্তিই আন্তরিকভাবে এগিয়ে এসেছিলেন। মনেপ্রাণে তারাও চেয়েছিলেন বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের গণহত্যা বন্ধ হোক এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে ঠাঁই নিক। সব শক্তি ও সামর্থ্য নিয়ে তারা এগিয়ে এসেছিলেন। সাহায্যের সবটুকু হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এদেরই একজন ড. ত্রিগুণা সেন। পূর্ব বাংলার জনগণের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন তিনি। মুক্তির সোপান খুলে দিতে নেপথ্যচারী তিনি শ্রমে-কর্মে-চিন্তা-চেতনায়-পরিকল্পনায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। জাতির স্বাধীনতার পতাকা সমুন্নত রেখে দেশোদ্ধারে সর্বাত্মক সহায়তায় তিনি ছিলেন প্রাগ্রসরদের একজন।
‘আজাদ পূর্ব পাকিস্তান’ বেতার কেন্দ্র চালু করে পূর্ববঙ্গের জনগণের আলাদা রাষ্ট্রের কেন প্রয়োজন সে সব প্রচারণাও চালিয়েছিলেন। আর একাত্তর সালে মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র স্থাপনের সহায়তার নেপথ্য কুশলী ছিলেন ড. ত্রিগুনা সেন, ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরম সুহৃদ। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি ও মুজিবনগরে বাংলাদেশ সরকারের চিফ সেক্রেটারি রুহুল কুদ্দুসের শিক্ষক। কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ড. ত্রিগুণা সেনের পরিচয় হয়েছিল চল্লিশের দশকে। পরবর্তী সময়ে পূর্ববাংলার স্বাধীনতার জন্য যে নেপথ্য তৎপরতা ছিল, তাতে ভারত সরকারের পক্ষেও লিয়াজোঁ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধকালে শরণার্থী ক্যাম্প, ইয়ুথ ক্যাম্প, বাংলাদেশের পক্ষে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংগঠনের আর্থিক সহায়তার নেপথ্যেও ছিলেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিশেষ দূত হিসেবে সীমান্ত এলাকায় শরণার্থী শিবিরগুলোও পরিদর্শন করেছেন। এবং কোন ধরনের সহায়তা প্রয়োজন, তা নিরূপণ করে সে অনুযায়ী সরকারি সাহায্য সহযোগিতার কাজ তিনিই করিয়েছিলেন। তিনি ছাত্র ও শিক্ষক সমাজে ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়। শিক্ষক এবং সংগঠন দুই ক্ষেত্রেই ছিলেন পারদর্শী, কুশলী, প্রজ্ঞাবান। নিরলস কাজ করেছেন আলোকবর্তিকা প্রজ্বলনের জন্য।
ব্রতচারী আন্দোলনের পথিকৃৎ গুরু সদয় দত্তের ভাগ্নে ত্রিগুণা সেন ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিশেষ দূত হিসেবে ঢাকায় পৌঁছে সরাসরি বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু গভীর আন্তরিকতার সঙ্গে দু হাত বাড়িয়ে ড. ত্রিগুণা সেনকে আলিঙ্গন করেছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘ড. সেন আমি জানি আপনি আমাদের জন্য কি করেছেন।’ ত্রিগুণা সেন স্বভাবজাত বিনয়ের সঙ্গেই বললেন, ‘না না, যা করার কিছুই করতে পারিনি।’ বঙ্গবন্ধু সরকারের কেবিনেট সচিব রুহুল কুদ্দুস বঙ্গবন্ধুকে পূর্বেই ড. সেনের মুক্তিযুদ্ধকালীন তৎপরতার কথা জানিয়েছিলেন। তিনিই ড. সেনকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানান। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ড. সেন এক ঘণ্টারও বেশি আলাপ করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন নিয়েও কথা বলেন। এ সময় সিলেটের আরেক কৃতী সন্তান রবীন্দ্র ¯েœহধন্য সাংবাদিক অমিতাভ চৌধুরী ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের কথা ভাবছিলেন, সে সময় ড. ত্রিগুণা সেন ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর। ১৯৬১ সালে যখন আসামের কাছারে ভাষা আন্দোলন হয়, তখন তিনি শিলচরে ছিলেন। সে সময় পূর্ববঙ্গের বাঙালিদের সঙ্গে তার যোগসূত্র ঘটে। পূর্ববঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতির খবরাখবরও পেতেন। লন্ডনে ছাত্র রুহুল কুদ্দুসের সঙ্গে দেখা হয়েছে ষাটের দশকে। পূর্ববঙ্গের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা যে প্রয়োজন এবং তাদের আলাদা রাষ্ট্র গড়ে তোলা অবশ্য কর্তব্য বলে ত্রিগুণা সেন মতামত দিতেন। আর এই রাষ্ট্র গঠনে ভারতের নেহেরু সরকারকে প্রভাবিত করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু ১৯৬২ সালে আগরতলা গিয়েছিলেন। এই ত্রিপুরা থেকেই ড. ত্রিগুণা সেন রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আগরতলার গোপন সফরের পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগের মধ্যে স্বাধীনতার পক্ষে একটি সহায়ক শক্তি গড়ে তোলা হয়েছিল।
১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় ড. ত্রিগুণা সেন এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ‘প্রোপাগা-ামূলক’ প্রচারণা হলেও তিনি কৌশল নিয়েছিলেন ভিন্ন। পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম থেকে ‘আজাদ পূর্ব পাকিস্তান বেতার কেন্দ্র’ এবং ‘আজাদ বাংলা বেতার কেন্দ্র’ চালু করেছিলেন। যার মধ্যমণি ছিলেন তিনি। এই কাজে তাকে সহযোগিতা করতেন স্নেহাংশু কান্ত আচার্য, পান্না লাল দাশ গুপ্ত, অমিতাভ চৌধুরী, মনুভাই ভিমানি ও হেমচন্দ্র গুহ। শেষোক্ত জন পরবর্তী সময়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ১৭ দিন স্থায়ী যুদ্ধের ১৫ দিন ধরে বেতার কেন্দ্র দুটি চালু ছিল। প্রায় একই অনুষ্ঠান প্রচার হতো।
১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর যুদ্ধ শুরু হয়। পশ্চিম পাকিস্তান রণাঙ্গনেই মূলত যুদ্ধ হয়। ভারত ‘পূর্ব পাকিস্তানে’ হামলা চালায়নি। জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে ২৩ সেপ্টেম্বর যুদ্ধ বন্ধ হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যুদ্ধ শেষে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানকে ১৭ দিনের যুদ্ধকালীন সময়ে এতিমের মতো ফেলে রাখা হয়েছে। ভারতীয় সৈন্যরা যদি দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত লেফট রাইট করে হেঁটে যেত তবুও তাদের বাধা দেওয়ার মতো অস্ত্র বা লোকবল কিছুই পূর্ব বাংলার ছিল না।’ যুদ্ধ শেষের মাস চারেক পর বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন ৬ দফা, বাঙালির মুক্তিসনদ। তারও আগে পাক-ভারত যুদ্ধচলাকালে মুক্তিকামী বাঙালির সুহৃদ ড. ত্রিগুণা সেন ‘পূর্ব পাকিস্তানের আলাদা রাষ্ট্র চাই, স্বাধীনতা চাই’ মর্মে অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছিলেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ত্রিগুণা সেনের কক্ষেই পরিকল্পনা হতো অনুষ্ঠানের। এতে পূর্ববঙ্গের দেশত্যাগী শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীরাই অংশ নিতেন। তাছাড়া পূর্ববঙ্গের পল্লী গানও বাজানো হতো। পূর্ববঙ্গের মানুষ যে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে পাকিস্তানি উপনিবেশে পরিণত হয়েছে, অর্থনৈতিক শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছে সেসব তুলে ধরা হতো অনুষ্ঠানে। কলকাতায় অনুষ্ঠান রেকর্ড করার পর মনুভাই ভিমানি সুন্দরবনে লুকিয়ে লঞ্চে গিয়ে সীমান্তের বয়রার কাছে এবং আসামের করিমগঞ্জে অপর একজন ‘টেপ’ নিয়ে যেত। আসামের আজাদ বাংলা বেতার কেন্দ্র ও খুলনা সীমান্তের আজাদ পূর্ব পাকিস্তান বেতার কেন্দ্র থেকে পৃথক ঘোষকের কণ্ঠে অনুষ্ঠান হতো। ঘোষণার কাজটি স্নেœহাংশু আচার্য ও মনুভাই ভিমানি করতেন। এই দুটো স্থানে ট্রান্সমিটার স্থাপন ও অনুষ্ঠান প্রচারণার পুরো পরিকল্পনাই ছিল ড. ত্রিগুণা সেনের। আনন্দবাজারের সে সময়ের বার্তা সম্পাদক শান্তি নিকেতনের কৃতী ছাত্র সিলেটের অমিতাভ চৌধুরী গোটা পাঁচেক কথিকা পাঠ করেছিলেন ‘বাঙালির স্বাধীনতা কেন’ প্রয়োজন নিয়ে।
আজাদ বাংলা ও আজাদ পূর্ব পাকিস্তান বেতার কেন্দ্র চালুর অভিজ্ঞতা নিয়েই তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালুতে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন নেপথ্য থেকে। খুলনার সীমান্ত আগরতলা বা করিমগঞ্জে বেতার কেন্দ্র চালু করা যায় কি না তা সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে ড. ত্রিগুণা সেন মুজিবনগরে শক্তিশালী ট্রান্সমিটার স্থাপনের পদক্ষেপ নেন। চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র পাকবাহিনীর বিমান আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধারা একটি ট্রান্সমিটার জিপে করে কোনোভাবে সরিয়ে নেয়। পরে আগরতলার কাছে কর্নেল চৌমুহনীতে তা স্থাপন করা হয়। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এক কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন ট্রান্সমিটার থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়। কিন্তু তার পরিধি ছিল কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা, নোয়াখালী ও সিলেটের সীমান্তবর্তী কিছু এলাকা এবং রামগড়। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এই কেন্দ্র থেকে অনুষ্ঠান সম্প্রচার হলেও সীমিত শ্রোতাগণ্ডি ছিল। ড. ত্রিগুণা সেন স্বাধীনতাকামী বাঙালির মুক্তিযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করতে শক্তিশালী ট্রান্সমিটারের বেতার কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে তিনি আগরতলা যান মে মাসের প্রথমে। শরণার্থী শিবির, ইয়ুথ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রে অনুষ্ঠান সম্প্রচার সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। ড. আনিসুজ্জামান তখন আগরতলায়। ‘আমার একাত্তর’ গ্রন্থে ড. ত্রিগুনা সেন সম্পর্কে লিখেছেন, ‘সমষ্টিগতভাবে আমাদের কোনটির প্রয়োজন, তা পরিমাপ করতে এলেন ড. ত্রিগুণা সেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে তিনি এসেছেন তখনকার মতো এটাই তার প্রধান দায়িত্ব। শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শনের পর তার সঙ্গে বিশেষ একটা বৈঠক হলো আমাদের কয়েকজনের। সেখানে আমাদের সরকারের পক্ষে ছিলেন অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ এম এন এ, তাহের উদ্দিন ঠাকুর এমপি ও মাহবুবুল আলম চাষী সিএসপি, নাগরিক সমাজের পক্ষে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ আর মল্লিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব শরণার্থী শিক্ষক এবং ত্রিপুরার কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী শচিন সিংহ।[৫]