থমাস গেরিজ মাশারেক | |
---|---|
চেকোস্লোভাকিয়ার রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৪ নভেম্বর, ১৯১৮ – ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৩৫ | |
পূর্বসূরী | পদ সৃষ্টি |
উত্তরসূরী | এডভার্ড বেনিস |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | হুডোনিন, অস্ট্রীয় সম্রাজ্য | ৭ মার্চ ১৮৫০
মৃত্যু | ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৩৭ লেনে, চেকোস্লোভাকিয়া | (বয়স ৮৭)
দাম্পত্য সঙ্গী | চার্লোট গেরিজ |
সন্তান | এলিস (১৮৭৯-১৯৬৬) হেরবার্ট (১৮৮০-১৯১৫) জান (১৮৮৬-১৯৪৮) ওলগা (১৮৭১-১৯৭৮) |
জীবিকা | দার্শনিক |
স্বাক্ষর |
থমাস গেরিজ মাশারেক (চেক: [ˈtomaːʃ ˈɡarɪk ˈmasarɪk]) (শুধু থমাস মাশারেক নামেও পরিচিত) (৭ মার্চ ১৮৫০ - ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৩৭), ছিলেন একজন অস্ট্রীয়-চেক রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী ও দার্শনিক, যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে চেকোস্লোভাকিয়ার অগ্রহী প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম রাষ্ট্রপতি।[১] তিনি মূলত একটি গণতান্ত্রিক ফেডারেশনের মাধ্যমে অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় রাজতন্ত্রের সংস্কার কামনা করেছিলেন কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি রাজতন্ত্রের উচ্ছেদসাধনে কাজ করেছিলেন এবং মিত্রশক্তির সাহায্যে পরবর্তীতে সফলতা লাভ করেন।
মাশারেক ক্যথোলিক প্রধান শহর হুদুনিন, মোরাভিয়ার (মোরাভিয়ান স্লোভাকিয়ার অংশ)[২] একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার শৈশব দক্ষিণ মোরাভিয়ার চেকোভিচ গ্রামে কাটান এবং পরবর্তীতে অধ্যয়নের জন্য ব্রনোতে চলে আসেন।[৩] তার পিতা জোসেফ মাশারেক ছিলেন একজন অশিক্ষিত স্লোভাক গাড়োয়ান (পরবর্তীতে গোমস্তা) এবং তিনি অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির হাঙ্গেরিয়ান অংশ থেকে এসেছেন (১৯১৮ সালের পর স্লোভাকিয়ার পূর্ব অংশ চেকোস্লোভাকিয়ার অংশে পরিনত হয়)। মাশারেকের মা তেরেসি মাশারেকোভা ছিলেন স্লোভাক বংশদ্ভুত মোরাভিয়ান কিন্তু তিনি জার্মান শিক্ষা অর্জন করেছিলেন। তারা ১৫ আগস্ট ১৮৪৯ সালে বিয়ে করেন।
১৮৭২ থেকে ১৮৭৬ সাল পর্যন্ত ব্রনো ও ভিয়েনার গ্রামার স্কুলে অধ্যায়নের পর মাশারেক ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সেখানে তিনি ফ্রেন্জ বেনতানোর ছাত্র ছিলেন।[৪] ১৮৭৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি তার পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন এবং এখান থেকেই ১৮৮৯ সালে পুনর্বাসনের উপর থিসিস সম্পূর্ণ করেন। গবেষণার শিরোনাম ছিলে, Der Selbststmord als sociale Massenerscheinung der modernen Civilisation (আধুনিক সভ্যতায় আত্মহত্যা একটি সামাজিক গণ বিষয়)[৪]। ১৮৭৬ থেকে ১৮৭৯ এর মাঝামাঝি তিনি লিপজিং-এ অধ্যায়ন করেছিলেন।
ইতিমধ্যে, ১৫ই মার্চ ১৮৭৮ সালে তিনি ব্রুকলেনে চার্লোট গেরিজকে বিয়ে করেন। ১৮৮২ সালে তিনি চেক অংশের বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। পরের বছর তিনি অ্যাথিনিয়াম নামে চেক সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক একটি ম্যাগাজিন প্রতিষ্ঠা করেন।