থোমাগাতা প্যাটারা (ইংরেজি: Thomagata Patera) হল বৃহস্পতির প্রাকৃতিক উপগ্রহ আইয়োর একটি আগ্নেয়গিরি। এটি আইয়োর বৃহস্পতি-বিপরীতমুখী গোলার্ধে ২৫°৪০′ উত্তর ১৬৫°৫৬′ পশ্চিম / ২৫.৬৭° উত্তর ১৬৫.৯৪° পশ্চিম[১] স্থানাংকে নিকটবর্তী সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ভোলান্ড ও জামামার পূর্বদিকে অবস্থিত। থোমাগাতা হল একটি বৃক্ক-আকৃতিবিশিষ্ট আইয়োনীয় প্যাটারা। এই আগ্নেয় জ্বালামুখটি একটি ক্যালডেরার অনুরূপ। জ্বালামুখটির দৈর্ঘ্য ৫৬ কিলোমিটার (৩৫ মা), প্রস্থ ২৬ কিমি (১৬ মা) এবং গভীরতা ১.২–১.৬ কিমি (০.৭–১.০ মা)।[২] আগ্নেয়গিরিটি বর্তমানে নিষ্ক্রিয়। কারণ, থোমাগাতাতে একটি তাপীয় হটস্পট কখনও পর্যবেক্ষিত হয়নি এবং প্যাটারাটির উজ্জ্বল ভূমিভাগ এই ইঙ্গিত বহন করে যে এটি সালফার ডাইঅক্সাইড ও সালফার ঘনীভবনের পক্ষে যথেষ্ট শীতল।[৩] থোমাগাতা প্যাটারাটি একটি নিচু ও ১০০ কিমি (৬২ মা) চওড়া মেসার কেন্দ্রস্থলের কাছে অবস্থিত। মেসাটির প্রান্তভাগ পার্শ্ববর্তী সমভূমিগুলির থেকে ২০০ মিটার (৬৬০ ফু)। তবে থোমাগাতা প্যাটারার প্রান্তভাগের উচ্চতা জানা যায়নি। প্যাটারাটির পৃষ্ঠভাগ যদি পার্শ্ববর্তী সমভূমিগুলির সঙ্গে একই তলে থাকে, তাহলে মেসাটির পশ্চিম ঢালটির গ্রেড হবে ২°।[২] এই মেসাটির অঙ্গসংস্থান এবং থোমাগাতার (অন্তত সেটির পূর্ব দিকটি) ঢাল থেকে বিকিরিত হয়ে যাওয়া লাভা প্রবাহের বিবর্ণতার ধরন ইঙ্গিত করে যে থোমাগাতা প্যাটারা ও সেটিকে ঘিরে থাকা মেসাটি সম্ভবত একটি ঢালাকৃতি আগ্নেয়গিরি, যাকে আইয়োতে বলা হয় থোলাস।[৩] মেসাটির অনিয়মিত সীমানা এবং এটির বেসাল স্ক্র্যাপের মূলদেশে আবর্জনার অভাব ইঙ্গিত করে যে এটি সালফার ডাইঅক্সাইড স্যাপিং-এর মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে।[৩]
২০০১ সালের অক্টোবর মাসে গ্যালিলিও মহাকাশযান এই আগ্নেয়গিরিটির বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ সম্পাদনা করার পর, ২০০৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন (আইএইউ) মুইসকা জাতির পৌরাণিক ক্যাসিকিউ থোমাগাতার নামানুসারে এই প্যাটারাটির নামকরণ করে।[১] আইএইউ-এর মতে, পৌরাণিক থোমাগাতা ছিল “এক ভয়ংকর অগ্নিময় দৈত্য, যে আকাশে উড়ে বেড়াতো এবং মানুষকে পশুতে পরিণত করত।” [১]