* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ০৪:৩৮, ১৩ নভেম্বর ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ০৪:৩৮, ১৩ নভেম্বর ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক।
১৯৯৬–৯৭ মৌসুমে, মাত্র ১৩ বছর বয়সে, ব্রাজিলীয় ফুটবল ক্লাব জুয়াজেইরোর যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে আলভেস ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং পরবর্তীকালে বাইয়ার যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০০১–০২ মৌসুমে, ব্রাজিলীয় ক্লাব বাইয়ার মূল দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি মাত্র ১ মৌসুম অতিবাহিত করেছেন; বাইয়ার হয়ে তিনি ২৫ ম্যাচে ২টি গোল করেছেন। অতঃপর ২০০২–০৩ মৌসুমে তিনি স্পেনীয় ক্লাব সেভিয়ায় যোগদান করেছেন, যেখানে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ২৪৯ ম্যাচে ১৫টি গোল করেছেন। সেভিয়ায় ৮ মৌসুম অতিবাহিত করার পর প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে স্পেনীয় ক্লাব বার্সেলোনার সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, বার্সেলোনার হয়ে তিনি ৬টি লা লিগা শিরোপা জয়লাভ করেছেন।[৩] পরবর্তীকালে, তিনি ইয়ুভেন্তুস, পারি সাঁ-জেরমাঁ এবং সাও পাওলোর হয়ে খেলেছেন।[৪][৫][৬] ২০২১ সালে, তিনি পুনরায় স্পেনীয় ক্লাব বার্সেলোনায় যোগদান করেছেন।[৭][৮][৯]
২০০৩ সালে, আলভেস ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০০৬ সালে ব্রাজিলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; ব্রাজিলের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ১২৪ ম্যাচে ৮টি গোল করেছেন। তিনি ব্রাজিলের হয়ে এপর্যন্ত ৩টি ফিফা বিশ্বকাপ (২০১০, ২০১৪, ২০২২) এবং ৫টি কোপা আমেরিকায় (২০০৭, ২০১১, ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৯) অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ২০০৭ সালে এবং ২০১৯ সালে যথাক্রমে দুঙ্গা এবং তিতের অধীনে কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়লাভ করেছেন। এছাড়াও তিনি ২০০৯ এবং ২০১৩ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে কাপে অংশগ্রহণ করেছেন; উভয় আসরে তিনি যথাক্রমে দুঙ্গা এবং লুইজ ফেলিপে স্কোলারির অধীনে শিরোপা জয়লাভ করেছেন।
দানিয়েল আলভেস দা সিলভা ১৯৮৩ সালের ৬ই মে তারিখে ব্রাজিলেরজুয়াজেইরোয় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। তার বাবার নাম দোমিঙ্গোস আলভেস দা সিলভা, যিনি একজন কৃষক ছিলেন। আলভেস প্রতিবেশী বাচ্চাদের সাথে ফুটবল খেলতেন। আলভেসের বাবার ফুটবলের প্রতি বেশ আবেগ ছিল এবং শেষ পর্যন্ত তিনি তার নিজস্ব ফুটবল দলকে সংগঠিত করতে সক্ষম হয়েছিল। ৬ বছর বয়সে আলভেস পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবল খেলা শুরু করেছিলেন, কিন্তু গোলের অভাবে তার বাবা তাকে ডান পার্শ্বীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে নির্দেশ দেন, যে অবস্থানে তিনি আজও খেলেন। আলভেস তার যৌবনে কৃষক এবং ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করেছেন।[১২][১৩]
২০০৬ সালের ১০ই অক্টোবর তারিখে, মাত্র ২৩ বছর ৫ মাস ৪ দিন বয়সে, ডান পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী আলভেস ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলের হয়ে অভিষেক করেছেন।[২১] উক্ত ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে রক্ষণভাগের খেলোয়াড়মাইকোন সিসেনান্দোর বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেন;[২২] ম্যাচটি ব্রাজিল ২–১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[২৩] ব্রাজিলের হয়ে অভিষেকের বছরে আলভেস মাত্র ১টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ৯ মাস ৫ দিন পর, ব্রাজিলের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেন; ২০০৭ সালের ১৫ই জুলাই তারিখে, ২০০৭ কোপা আমেরিকারফাইনালেআর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেন।[২৪][২৫][২৬] ২০১০ সালের ১০ই আগস্ট তারিখে, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এক প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন, ম্যাচটি ব্রাজিল ২–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[২৭][২৮][২৯]
আলভেস দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য দুঙ্গার অধীনে ঘোষিত ব্রাজিল দলে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান।[৩০][৩১] ২০১০ সালের ১৫ই জুন তারিখে, তিনি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপে অভিষেক করেছেন।[৩২][৩৩][৩৪] উক্ত বিশ্বকাপে তিনি ৫ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।[৩৫] অতঃপর আলভেস ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য প্রকাশিত ব্রাজিলের ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দলে অন্তর্ভুক্ত হন,[৩৬][৩৭][৩৮] যেখানে তার দল চতুর্থ স্থান অধিকার করতে সক্ষম হয়েছিল; ব্রাজিল তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৩–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।[৩৯] আলভেস তার খেলোয়াড়ি জীবনে এপর্যন্ত ২টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে তিনি ৯টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
২০১১ সালের ১০ই আগস্ট তারিখে জার্মানিরস্টুটগার্টেরমার্সিডিজ-বেনৎস এরিনায় অনুষ্ঠিত জার্মানির বিরুদ্ধে ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে তিনি ব্রাজিলের জার্সি গায়ে তার ৫০তম ম্যাচ খেলেছেন,[৪০] ম্যাচটিতে ব্রাজিল ৩–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল,[৪১] যেখানে তিনি ১টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন;[৪২] অন্যদিকে, ২০১৭ সালের ২৩শে মার্চ তারিখে আলভেস তার খেলোয়াড়ি জীবনে ১০০তম ম্যাচটি খেলেছেন, উরুগুয়ের বিরুদ্ধে উরুগুয়েরমোন্তেবিদেওতে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচটি ব্রাজিল ৪–১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[৪৩][৪৪][৪৫]
↑"Dani Alves 13" (ফরাসি ভাষায়)। Paris Saint-Germain FC। n.d.। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮।
↑Memoria 09–10(পিডিএফ) (স্পেনীয় ভাষায়)। FC Barcelona। সেপ্টেম্বর ২০১০। পৃষ্ঠা 174। ১৫ মে ২০১২ তারিখে মূল(পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৪।
↑"ESM XI"। rsssf.com। RSSSF। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৫।
↑"FIFA FIFPro World XI 2009"। FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। Archived from the original on ২ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৮।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: আসল-ইউআরএলের অবস্থা অজানা (link)
↑"FIFA FIFPro World XI 2011"। FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। Archived from the original on ২ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৮।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: আসল-ইউআরএলের অবস্থা অজানা (link)
↑"FIFA FIFPro World XI 2012"। FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। Archived from the original on ৩০ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৮।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: আসল-ইউআরএলের অবস্থা অজানা (link)
↑"FIFA FIFPro World XI 2013"। FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। Archived from the original on ২ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৮।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: আসল-ইউআরএলের অবস্থা অজানা (link)
↑"FIFA FIFPro World XI 2015"। FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। ১১ জানুয়ারি ২০১৬। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৬।
↑"FIFA/FIFPro World XI 2015"। FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। ৯ জানুয়ারি ২০১৭। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৭।
↑"FIFA FIFPro World11"। FIFA.com। Fédération Internationale de Football Association। ২৩ অক্টোবর ২০১৭। ১৪ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৭।
↑"DE GEA, KANTE AND MBAPPE IN WORLD 11"। FIFPro World Players' Union। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮।