দাহিয়া ইবনে খলিফা | |
---|---|
জন্ম | হিজরী পূর্ব ৩০ সাল/৫৯২খ্রিস্টাব্দ দাওমাতুল জান্দাল,সৌদি আরব |
মৃত্যু | ৫০হিজরী/৬৬১খ্রিস্টাব্দ দামেস্ক,সিরিয়া |
জাতীয়তা | আরবী |
পেশা | ইসলাম প্রচারক,সাহাবী,ব্যবসায়ী |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | ইসলাম প্রচার |
দাহিয়া কালবী (আরবী: دحية الكلبي,উর্দূ: دحیہ کلبی পুরো নাম: দাহিয়া ইবনে খলিফা) প্রসিদ্ধ সাহাবী ছিলেন। তিনি ইসলামের প্রথম সাহাবীদের মধ্যে একজন। তিনি সর্বপ্রথম নবী মুহাম্মদের সাথে ওহুদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ইবনে হাজার আসক্বালানী বলেন, তিনি খন্দকের যুদ্ধে সর্বপ্রথম অংশগ্রহণ করেন।[১]
দাহইয়া ইবনে খলিফা ইবনে ফারওয়া ইবনে ফুযালা ইবনে ইবেন যাইদ ইবনে ইমরাউল কায়েস ইবনে খাযরাজ ইবনে মানাত ইবনে আমের ইবনে বকর ইবনে আমের আল-আকবার ইবনে আউফ ইবনে উযরা ইবনে যাইদ আল-লাত ইবনে রফীদা ইবনে সাওর ইবনে কালব।
তার স্ত্রী ছিলেন দুররাহ বিনতে আবি লাহাব।[২]
তিনি হিজরী পূর্ব ৩০ সাল/৫৯২খ্রিস্টাব্দে দাওমাতাল জান্দালে জন্মগ্রহণ করেন।[২]
তিনি হিজরতের পূর্বে প্রথম ইসলাম গ্রহনকারীদের মধ্যে অন্যতম। তিনি দাওমাতুল জান্দাল থেকে মুহাম্মাদের ইসলাম প্রচার করার কথা শুনে ভ্রমণ করে মক্কায় আসেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তারপর আবার নিজ এলাকায় ফিরে যান। সেখানে ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেন। তৃতীয় হিজরীতে তিনি দাওমাতুল জান্দার থেকে মদীনায় হিজরত করেন।[৩]
৬ষ্ঠ হিজরীতে দাহিয়া কালবীকে দাওমাতুল জানদালের কালব গোত্রসহ গোত্রের কাছে ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার জন্য পাঠান।
নবী মুহাম্মাদ তাকে দুই বার রোমের বাদশা হিরাক্লিয়াসের কাছে পাঠান। ১ম বার ৭ম হিজরীর রবিউল আওয়াল মাসে। ২য় বার নবম হিজরীর রজব মাসে।[৪]
নবী মুহাম্মাদ দাহিয়া কালবীর বোন শারাফ বিনতে খলিফাকে বিবাহ করেছিলেন কিন্তু তাদের মধ্যে সহবাস হয় নি। [৫]
জিবরাইল প্রায় সময় দাহিয়া কালবীর বেশে নবী মুহাম্মাদের কাছে আসতেন। মাঝে মাঝে আগুন্তক কোনো ব্যক্তির বেশেও আসতেন। [১]
তিনি ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন, ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।[১]
৫০হিজরী/৬৬১খ্রিস্টাব্দে সিরিয়ার দামেস্কে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে মাযযাহ নামক স্থানে দাফন করা হয়। এখনো তার কবর সেখানে রয়েছে।[৬][৭]