দি অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টিনটিন | |
---|---|
পরিচালক | স্টিভেন স্পিলবার্গ |
প্রযোজক | পিটার জ্যাকসন স্টিভেন স্পিলবার্গ ক্যাথলিন কেনেডি |
চিত্রনাট্যকার | স্টিভেন মোফ্যাট এডগার রাইট জো কর্নিশ |
উৎস | অ্যার্জে কর্তৃক দি অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টিনটিন |
শ্রেষ্ঠাংশে | জেমি বেল অ্যান্ডি সার্কিস সাইমন পেগ নিক ফর্স্ট ড্যানিয়েল ক্রেইগ |
সুরকার | জন উইলিয়ামস |
চিত্রগ্রাহক | জানুস কামিনস্কি |
সম্পাদক | মাইকেল কান |
প্রযোজনা কোম্পানি | অ্যাম্বলিন এন্টারটেইনমেন্ট দ্য কেনেডি/মার্শাল কোম্পানি নিকেলোডেওন মুভিজ উইংনাট ফিল্মস |
পরিবেশক | প্যারামাউন্ট পিকচার্স কলম্বিয়া পিকচার্স[১] |
মুক্তি | ২২শে অক্টোবর, ২০১১ (বেলজিয়াম) ২১শে ডিসেম্বর, ২০১১ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) |
স্থিতিকাল | ১০৭ মিনিট[২] |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | ১৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার[৩] |
আয় | ৩৭৩,৯৯৩,৯৫১ মার্কিন ডলার[৪] |
দি অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টিনটিন (অন্য নাম দি অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টিনটিন: দ্য সিক্রেট অফ দি ইউনিকর্ন[৫]) ২০১১ সালের আমেরিকান পারফর্ম্যান্স ক্যাপচার ত্রিমাত্রিক চলচ্চিত্র। বেলজিয়ান শিল্পী অ্যার্জে (জর্জ রেমি)-র কমিক বই সিরিজ অবলম্বনে নির্মিত। পরিচালনা করেছেন স্টিভেন স্পিলবার্গ। প্রযোজনা করেছেন পিটার জ্যাকসন। চিত্রনাট্য লিখেছেন স্টিভেন মোফ্যাট, এডগার রাইট ও জো কর্নিশ। কাঁকড়া রহস্য (১৯৪১), বোম্বেটে জাহাজ (১৯৪৩) ও লাল বোম্বেটের গুপ্তধন - এই চারটি মূল কমিক বই অবলম্বনে ছবিটি তৈরি হয়েছে।[৬]
১৯৮৩ সালে অ্যার্জের মৃত্যুর পর স্পিলবার্গ অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টিনটিন সিরিজ অবলম্বনে ছবি করার রাইট কিনে নেন। সেই রাইট পুনর্নবীকরণ করেন ২০০২ সালে। ২০০৮ সালে ছবির কাজ শুরু হয়। প্রথমে ঠিক ছিল, ছবি ২০১০ সালে মুক্তি পাবে। কিন্তু ইউনিভার্সাল প্যারামাউন্টের সঙ্গে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় ২০১১ সালের আগে ছবি মুক্তি সম্ভব হয়নি। সহ-প্রযোজনার জন্য বেছে নেওয়া হয় সোনিকে। দেরির ফলে টিনটিনের ভূমিকায় কণ্ঠদানকারী টমাস স্যাংস্টার প্রজেক্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। প্রযোজক পিটার জ্যাকসন (যাঁর কোম্পানি ওয়েটা ডিজিটাল ছবির কম্পিউটার অ্যানিমেশনের দায়িত্বে ছিল) ছবির একটি সিকোয়েল বানাতে চান। স্পিলবার্গ ও জ্যাকসন তৃতীয় একটি ছবিতে সহ-পরিচালনার আশাও রেখেছেন।[৭]
ছবির প্রথম 'প্রেস-স্ক্রিনিং' হয় ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর। বিশ্ব প্রিমিয়ার হয় ২০১১ সালের ২২ অক্টোবর, ব্রাসেলসে।[৮] উত্তর আমেরিকায় ছবিটি ২১ ডিসেম্বর, ২০১১ (ডিজিটাল থ্রিডি ও ইম্যাক্স থ্রিডিতে) মুক্তি দেয়া হয়। [৯]
তরুণ সাংবাদিক টিনটিন ও তার পোষা কুকুর কুট্টুস (স্নোয়ি) কোনো এক ইউরোপীয় শহরের খোলা বাজারে ঘুরছিল। সেখানে টিনটিন "ইউনিকর্ন" নামে এক তিন-মাস্তুলওয়ালা জাহাজের মডেল সস্তায় কিনল। তারপরই তার সঙ্গে দেখা হল খলনায়ক ইভান ইভানোভিচ সাখারিন ও বার্নাবাই নামে এক রহস্যময় ব্যক্তির। দুজনেই টিনটিনের কাছ থেকে মডেলটি কিনতে চাইল। কিন্তু টিনটিন সেটা বিক্রি করল না। বরং সেটা ঘরে নিয়ে এল। বাড়িতে কুট্টুস পড়শির বিড়ালটাকে তাড়া করতে গিয়ে সেটা ভেঙে ফেলল। তখন জাহাজের ভাঙা মাস্তুল থেকে একটা পার্চমেন্ট স্ক্রোল বেরিয়ে এল। কুট্টুস সেটা দেখে রাখল বটে। কিন্তু সেটার দিকে টিনটিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারল না। অন্যদিকে জনসন ও রনসন (টমসন ও থমসন) নামে অকর্মণ্য গোয়েন্দাযুগল অ্যারিসটাইড সিল্ক নামে এক পকেটমারের খোঁজ শুরু করল। টিনটিন মার্লিনস্পাইক হলে সাখারিনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জানতে পারল যে, ইউনিকর্নের মতো দেখতে জাহাজের অন্তত দুটি মডেল রয়েছে।
পরে সাখারিনের দলের লোকজন টিনটিনকে অপহরণ করে এসএস কারাবুজান নামে একটা জাহাজে বন্দী করল। মাঝসমুদ্রে গিয়ে টিনটিন তার গারদ ভেঙে বেরিয়ে এল। তখন জাহাজের নামসর্বস্ব ক্যাপ্টেন হ্যাডকের সঙ্গে তার আলাপ হল। ক্যাপ্টেনের ফার্স্ট মেট অ্যালান আসলে ছিল সাখারিনের লোক। সে ক্যাপ্টেনকে হুইস্কি খাইয়ে মাতাল করে রাখত। তাই ক্যাপ্টেন জানতে পারত না যে, তার জাহাজে কী চলছে। টিনটিন, হ্যাডক আর কুট্টুস একটা লাইফবোট হাতিয়ে কারাবুজান থেকে পালিয়ে গেল। সাখারিন তাদের ধরে আনার জন্য একটা সিপ্লেন পাঠাল। কিন্তু টিনটিন সেটা কেড়ে নিয়ে মরক্কোর কাল্পনিক বন্দর ব্যাঘারের দিকে উড়ে চলল। মাঝপথে মরুভূমির মধ্যে তাদের প্লেন ভেঙে পড়ল।
রোদে পুড়ে এবং মদের অভাবে কাতর হয়ে হ্যাডকের চোখের সামনে নানারকম অলীক জিনিস ফুটে উঠতে লাগল। তার পূর্বপুরুষ সতেরো শতকের ইউনিকর্ন জাহাজের ক্যাপ্টেন স্যার ফ্রান্সিস হ্যাডকের কথা মনে পড়তে লাগল। মুখোশ-পরা ডাকাত রেড রকহ্যামের নেতৃত্বে একটা জলদস্যু জাহাজ স্যার ফ্রান্সিসের ধনরত্নে ভরা ইউনিকর্ন আক্রমণ করেছিল। এক ভয়ানক লড়াইয়ের পর স্যার ফ্রান্সিস আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু রকহ্যামের হাতে ধনরত্ন না দিয়ে তিনি জাহাজসুদ্ধু সব ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। জানা গেল, ইউনিকর্নের আসলে তিনটি মডেল আছে। প্রতিটি মডেলের মধ্যে আছে একটি করে স্ক্রোল। তিনটি স্ক্রোল একসাথে মেলালে ইউনিকর্ন তার ধনরত্ন নিয়ে কোথায় ডুবেছিল, তার হদিস পাওয়া যাবে।
ব্যাঘারে গিয়ে টিনটিন ও ক্যাপ্টেন জানতে পারল যে, তৃতীয় মডেলটি আছে ধনী ওমর বেন সালাদের কাছে। তবে সেটা রাখা আছে একটা বুলেট-ব্রুফ কাচের ডিসপ্লেতে। সাখারিন ষড়যন্ত্র করে বিখ্যাত ডিভা "মিলানের কোকিল" বিয়াঙ্কা কাস্টাফিয়েরোর একটি কনসার্টের আয়োজন করল। তার তীব্র কণ্ঠস্বরে কাচের ডিসপ্লে-টি ভেঙে গেল। তখন সাখারিনের পোষা চিল তৃতীয় স্ক্রোলটি চুরি করল। টিনটিন ও হ্যাডক বন্দর পর্যন্ত তাদের তাড়া করল। কিন্তু সাখারিন তিনটি স্ক্রোল নিয়েই পালিয়ে গেল। সাখারিনের পিছু নিয়ে টিনটিন ইউরোপে এল। বন্দরে পুলিশের ব্যবস্থা করে রাখল। জানা গেল, সাখারিন আসলে রেড রকহ্যামের বংশধর। হ্যাডক ও সাখারিন ডকইয়ার্ডের ক্রেন নিয়ে তাদের পূর্বপুরুষের অসিযুদ্ধের পুনরাভিনয় করল। হ্যাডক জিতে গেল।
তিনটি স্ক্রোল একত্রিত করে ক্যাপ্টেন বুঝল, সেগুলি মার্লিনস্পাইক হলকে নির্দেশ করছে। এই প্রাসাদটি আসলে স্যার ফ্রান্সিস বেকনেরই তৈরি করা। সেখানকার সেলারে তারা কিছু ধনরত্ন পেল। সেই সঙ্গে জানতে পারল ডুবে যাওয়া ইউনিকর্নের অবস্থান। তা পেয়ে টিনটিন ক্যাপ্টেনকে পরবর্তী অ্যাডভেঞ্চারের জন্য উসকে দিল।
১৯৮১ সালে স্পিলবার্গ একটি সমালোচনা পড়ে টিনটিনের সঙ্গে পরিচিত হন। তারপর তিনি দুঃসাহসী টিনটিন সিরিজের দারুণ ভক্ত হয়ে পড়েন। তার সেক্রেটারি প্রতিটি বইয়ের ফরাসি সংস্করণ কিনে আনেন। স্পিলবার্গ সেগুলি বুঝতে না পারলেও, আঁকার শৈলীটি তার খুব ভাল লেগে যায়।[৭] টিনটিন নিয়ে তৈরি হওয়া আগের লাইভ অ্যাকশন ও কার্টুন ছবিগুলি টিনটিন-স্রষ্টা অ্যার্জের পছন্দ হয়নি। তিনি স্পিলবার্গের ভক্ত ছিলেন। টিনটিন: দ্য কমপ্লিট কমপ্যানিয়ন বইয়ের লেখক মাইকেল ফার লিখেছেন, আর্জে "মনে করতেন কেবল স্পিলবার্গই যথাযথভাবে টিনটিন চলচ্চিত্রায়িত করতে পারবেন।"[১৯] ১৯৮৩ সালে স্পিলবার্গ ও তার প্রযোজনা সহকারী ক্যাথলিন কেনেডি ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য টেম্পল অফ ডুম ছবি তৈরির সময় লন্ডনে অ্যার্জের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু অ্যার্জে সেই সপ্তাহেই মারা যান। তার বিধবা স্ত্রী অবশ্য স্পিলবার্গকে ছবির রাইট দিয়ে দেন।[৭] ইউনিভার্সালকে[২০] পরিবেশক করে ছবি তৈরির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৯৮৪ সালে।[১৯]
স্পিলবার্গ ই. টি. দ্য এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল ছবির চিত্রনাট্যকার মেলিসা ম্যাথিসনকে এমন একটি ছবির চিত্রনাট্য তৈরি করতে বলেন যেখানে টিনটিনকে দেখা যাবে আফ্রিকার হাতি-চোরাশিকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত অবস্থায়।[১৯] স্পিলবার্গ টিনটিনকে মনে করতেন "ছোটদের ইন্ডিয়ানা জোনস"। তিনি জ্যাক নিকোলসনকে হ্যাডকের ভূমিকায় চেয়েছিলেন।[২১] তবে চিত্রনাট্য পছন্দ না হওয়ায় তিনি ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য লাস্ট ক্রুসেড ছবির কাজ চালিয়ে যান। রাইট ফিরে যায় অ্যার্জে ফাউন্ডেশনের কাছে। এদিকে ক্লড বেরি ও রোমান পোলানস্কি টিনটিন নিয়ে ছবি করতে আগ্রহী হন। ওয়ার্নার ব্রাদার্সও অনেক দিন ধরে রাইট পাওয়ার জন্য কথাবার্তা চালায়। কিন্তু স্পিলবার্গের মতো "সৃষ্টিশীলতা" ফাউন্ডেশন আর কোথাও খুঁজে পায় না।[১৯] ২০০১ সালে স্পিলবার্গ বলেন যে, তিনি কম্পিউটার অ্যানিমেশনের মাধ্যমে টিনটিন চলচ্চিত্রায়িত করতে চান।[২২] ২০০২ সালের নভেম্বরে তার স্টুডিও ড্রিমওয়ার্কস সিরিজ নিয়ে ছবি করার রাইট আবার কেনে।[২৩] স্পিলবার্গ বলেছিলেন, তিনি শুধুই ছবিটি প্রযোজনা করবেন।[২৪] ২০০৪ সালে ফরাসি পত্রিকা ক্যাপিটাল জানায় যে, স্পিলবার্গ বোম্বেটে জাহাজ/লাল বোম্বেটের গুপ্তধন, মমির অভিশাপ/সূর্যদেবের বন্দী ও নীলকমল/তিব্বতে টিনটিন (শেষেরটি একক গল্প না হলেও দুই গল্পেই চ্যাং চোং-চেন চরিত্রটি আছে) নিয়ে একটি ট্রিলজি করতে চলেছেন।[২৫] তারপর স্পিলবার্গ লাইভ-অ্যাকশন ছবি করবেন বলে ঠিক করেন। পিটার জ্যাকসনকে তিনি বলেন ওয়েটা ডিজিটালের মাধ্যমে কম্পিউটার-জেনারেটেড কুট্টুস তৈরি করার জন্য।[৬]
আমরা ওদের (চরিত্রগুলি) চিত্রবাস্তবতাময় রূপ দিচ্ছি; তাদের কাপড়ের সুতো, তাদের চর্মগ্রন্থি আর প্রতিটি চুল (দৃশ্যমান হবে)। তাদের ঠিক বাস্তব মানুষের মতো দেখাবে – কিন্তু সত্যিকারের অ্যার্জে-সৃষ্ট চরিত্রও মনে হবে!
Peter Jackson explains the film's look[২৬]
জ্যাকসনও দীর্ঘদিনের কমিকস-ভক্ত।[২৭] তিনি লর্ড অফ দ্য রিংস ও কিং কং-এ মোশন ক্যাপচার প্রযুক্ত ব্যবহার করেছিলেন। তিনি বলেন লাইভ অ্যাকশন ছবি করলে কমিক বইগুলির প্রতি ন্যায়বিচার করা হবে না। বরং অ্যার্জে-সৃষ্ট টিনটিন জগৎকে প্রকাশ করার শ্রেষ্ঠ উপায় হল মোশন ক্যাপচার।[৬] ২০০৬ সালের নভেম্বরে লস এঞ্জেলসের প্লায়া ভিস্টায় যে স্টেজে জেমস ক্যামেরন অবতার ছবির শ্যুটিং করেছিলেন, সেখানে এক সপ্তাহ ফিল্মিং হয়।[২৮] অ্যান্ডি সেরকিস অভিনয় করেন, জ্যাকসন দাঁড়ান টিনটিনের ভূমিকায়।[২৯] এই সময় ক্যামেরন ও রবার্ট জেমেকিসও উপস্থিত ছিলেন।[৬] ফুটেজগুলি ওয়েটা ডিজিটালে পাঠানো হয়।[২৮] তারা তা থেকে একটা কুড়ি মিনিটের টেস্ট রিলে চরিত্রগুলির ফটোরিয়েলিস্টিক ডেমোনস্ট্রেশন তৈরি করেন।[২৬] স্পিলবার্গ বলেন, ডিজিটালি ছবিটি করতে তার আপত্তি নেই। তিনি এটাকে অ্যানিমেটেড ফিল্ম হিসেবেই দেখছেন।[৩০]
২০০৭ সালের মে মাসে ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। যদিও দুই চলচ্চিত্রকারকেই কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়। সেই সময় স্পিলবার্গ ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য কিংডম অফ দ্য ক্রিস্টাল স্কাল তৈরি করছিলেন এবং জ্যাকসন দ্য লাভলি বোনস ছবির পরিকল্পনা করছিলেন।[২৬] ২০০৭ সালের অক্টোবরে স্টিভেন মোফ্যাট ঘোষণা করেন যে, তিনি দুটি টিনটিন ছবির চিত্রনাট্য লিখছেন।[৩১] মোফ্যাট বলেন, স্পিলবার্গের সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধনে বাঁধা পড়েছেন। তাই তিনি চিত্রনাট্য লিখতে রাজি হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পরিচালক তাঁকে চিত্রনাট্য লেখার কাজে স্টুডিওর খবরদারির হাত থেকে রক্ষা করবেন বলেছেন।[৩২] মোফ্যাট প্রথম চিত্রনাট্যটি শেষ করেন।[৩৩] কিন্তু ২০০৭-০৮ সালের আমেরিকান রাইটার্স গিল্ড ধর্মঘটের দরুন দ্বিতীয়টি শেষ করতে পারেননি। তারপর তিনি ডক্টর হু শো-র কার্যনির্বাহী প্রযোজক হন। স্পিলবার্গ ও জ্যাকসন (যিনি আবার শো-টির ভক্ত) তাঁকে অব্যহতি দেন।[৩৪] এডগার রাইট ও জো কর্নিশ চিত্রনাট্যটির পুনর্লিখন করেন।[১০]
২০০৮ সালের মার্চ মাসে আর এক দফা ফিল্মিং হয়।[২৯] তবে সেই বছর আগস্টে মূল ফটোগ্রাফি শুরুর ঠিক এক মাস আগে ইউনিভার্সাল প্রযোজনা থেকে সরে আসে। তারা মাউস হাউস ও বিউলফ ছবির খারাপ বক্স অফিস রেটের দৃষ্টান্ত দেখান। এরপর ড্রিমওয়ার্কস-এর পরিবেশক প্যারামাউন্টের সঙ্গেও স্পিলবার্গ ও জ্যাকসনের বিরোধ বাধে।[১১][২০] শেষে অক্টোবরে সোনি ছবিটি প্রযোজনায় এগিয়ে আসে।[৩৫][৩৬][৩৭] সোনি দুটি ছবি প্রযোজনায় রাজি হয়। যদিও জ্যাকসন তিনটি ছবি করার চিন্তাভাবনা করছেন।[৬]
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Box office
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; dig
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি