দি অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান ২

দি অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান ২
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার
পরিচালকমার্ক ওয়েব
প্রযোজক
কাহিনিকার
উৎসস্ট্যান লি
স্টিভ ডিটকো কর্তৃক 
দি অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকার
চিত্রগ্রাহকড্যানিয়েল মিন্ডেল
সম্পাদক
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকসনি পিকচার্স রিলিজিং
মুক্তি
  • ১৬ এপ্রিল ২০১৪ (2014-04-16) (আন্তর্জাতিক)[]
  • ২ মে ২০১৪ (2014-05-02) (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
স্থিতিকাল১৪২ মিনিট[]
দেশমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ভাষাইংরেজি
নির্মাণব্যয়$২০০-২২৫ মিলিয়ন[][]
আয়$৬৯০,৪১৪,২৪৪[]

দি অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান ২ (ইংরেজি: The Amazing Spider-man 2) (দি অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান ২: রাইস অব ইলেক্ট্রো শিরোনামে বিভিন্ন স্থানে মুক্তিপ্রাপ্ত)[] ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন সুপার-হিরো চলচ্চিত্র যেখানে মারভেল কমিক চরিত্র স্পাইডার-ম্যানকে চিত্রায়িত করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন মার্ক ওয়েব এবং পরিবেশক কলাম্বিয়া পিকচার্স। এটি ২০১২ সালের দি অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান চলচ্চিত্রের ধারাবাহিক যা ঘোষিত হয়েছিলো ২০১১ সালে। শোনা যায় জেমস ভেন্ডারবিল্ট এর চিত্রনাট্য লেখার পর অ্যালেক্স কার্জম্যান এবং রবার্টো অর্চি তার পুনর্লিখন করেন।[][] এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন অ্যান্ড্রু গারফিল্ড, এমা স্টোন, জেমি ফক্স, ডেন ডিহান, ক্যাম্পবেল স্কট, এমবেথ ডেভিজ, কোম ফিয়র, পল গিয়ামাত্তি, এবং স্যালি ফিল্ড

দি অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর দি অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান ২ চলচ্চিত্রের উন্নয়নকাজ শুরু হয়। ডিহান, গিয়ামাত্তি, জনস, এবং কোপার ডিসেম্বর ২০১২ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ এর মধ্যে অভিনয় শুরু করেন। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত নিউ ইয়র্কে চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ন চলে। এটি ২০১৪ সালের ২ মে ২ডি, ৩ডি এবং আইম্যাক্স ৩ডি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পাশাপাশি এটি একইদিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পেয়েছিলো। বিশ্বব্যাপী এটি মুক্তি পায় একই বছরের ১৬ এপ্রিল। চলচ্চিত্রটি মিশ্র সমালোচনা অর্জন করে তবে বিশ্বব্যাপী এটি $৬৯০ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে। এই চলচ্চিত্রের পরবর্তি ধারাবাহিক ২০১৬ সালে মুক্তির বিষয় নির্ধারিত হয়েছে। দি অ্যামেজিং স্পাইডার-ম্যান ২ ছবির মাধ্যমে মূলত একটি নতুন কল্পনার জগতের শুরু দৃশ্যায়ন করা হয়েছিল যারা আরো ২টি ধারাবাহিক সিক্যুয়াল বহন করত। কিন্তু আশানুরূপ ফলাফল না পাওয়ার কারণে সব ধরনের সিক্যুয়াল এবং স্পিনঅফ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং নতুন রুপে মারভেল কমিকস এর ব্যানারে উপস্থাপন করা হয় ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার ছবিতে এবং পরবর্তীতে স্পাইডার ম্যান এর নিজস্ব কাহিনি নির্ভর স্পাইডার-ম্যান: হোমকামিং ২০১৭ সালে মুক্তির অপেক্ষায় আছে।

কাহিনী

[সম্পাদনা]

পিটার পার্কারের পিতা ও বিজ্ঞানী রিচার্ড পার্কার হঠাৎ করেই আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন যে তার গবেষণা কর্মটি ওসকর্প প্রতিষ্ঠান কীভাবে ব্যবহার করবে। ফলে তিনি গবেষণা থেকে সরে আসেন এবং একটি ভিডিও লগে তার হারিয়ে যাবার কারণটি বর্ণনা করেন। পিটারের দায়িত্ব তার চাচা ও চাচীর হাতে বুঝিয়ে নিরুদ্দেশ হবার পর রিচার্ড ও তার স্ত্রী এক প্লেন দূর্ঘটনায় নিহত হন। তার অনেকদিন পর, পরিণত পিটার পার্কার স্পাইডারম্যান হিসেবে আবির্ভুত হয় এবং শহরের বিভিন্ন অপরাধীদের মোকাবিলা করতে থাকে। ওসকর্প নামক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা নরম্যান ওসবর্ন দুরারোগ্য ব্যধীতে মৃত্যুশয্যায়। তিনি তার একমাত্র ছেলে হ্যারি ওসবর্নকে ডেকে পাঠিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব অর্পণ করেন এবং তার হাতে তুলে দেন একটি ডিভাইস যার লুকায়িত তথ্য হ্যারিকে একই রকম রোগ থেকে মুক্তি দেবে। হ্যারি ওসবর্ন সেই ডিভাইসটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য খুঁজে পায় যার মাধ্যমে সে জানতে পারে ওসকর্প প্রতিষ্ঠানটিতে মানুষ এবং মাকড়সার হাইব্রিড নিয়ে গবেষণা হত। এতে দেখানো হয় বিশেষভাবে প্রক্রিয়াকৃত মাকড়সার ডিএনএ মানুষের শরীরে গ্রহণ করলে সেটি শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে সারিয়ে তুলতে পারে, ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধী সারিয়ে তুলতে পারে। হ্যারি এও জানতো, ওসকর্পের গবেষণাধীন মাকড়সাগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। তাই এখন এরকম একটি ওষুধ শুধু একজনের শরীরেই পাওয়া যাবে। সে হল স্পাইডারম্যান। এভাবে সে ধীরে ধীরে স্পাইডারম্যানের শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয়। অন্যদিকে ওসকর্পেরই একজন কর্মী ম্যাক্স দূর্ঘটনাবশত ইলেক্ট্রিক ইল মাছ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পরিণত হয় একটি জীবন্ত ইলেক্ট্রিক ব্যাটারিতে। ফলে সে ইলেক্ট্রিসিকে নিয়ন্ত্রণ করার অসম্ভব ক্ষমতা পেয়ে যায়। এই শক্তির মাধ্যমে সে শহরের সমস্ত বৈদ্যুতিক শক্তিকে বিকল করতে সক্ষম হয় এবং নিজের ভেতরের পুঞ্জীভূত বিদ্যুৎ ব্যবহার করে চালাতে সমর্থ হয় ধ্বংসযজ্ঞ। সে তার নিজের নামকরণ করে 'ইলেক্ট্রো'। তাকে সাহায্য করে স্পাইডারম্যানেরই আরেক শত্রু হ্যারি ওসবর্ন। পুরো শহর হয়ে ওঠে ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন। এগিয়ে আসে স্পাইডারম্যান।

কুশীলব

[সম্পাদনা]

নির্মাণ

[সম্পাদনা]

নির্মাণ-উত্তর

[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রটি উইলিয়াম হোল্ডেন থিয়েটারে অওরো ১১.১ এবং ডলবি অ্যাটোমস প্রযুক্তিতে মিশ্রিত হয়েছে। দু ধরনের মিশ্রণই পল ম্যাসে এবং ডেভিড জিয়ামার্সো কর্তৃক সম্পন্ন হছে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "'The Amazing Spider-Man 2' Gets State-Of-The-Art Sound As Filmmakers Mix In Dolby Atmos And Auro 11.1 By Barco" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। Sony Pictures Entertainment। জানুয়ারি ২৯, ২০১৪। ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১, ২০১৪ 
  2. "The Amazing Spider-Man 2 [2D] (12A)"British Board of Film Classification। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৫, ২০১৪ 
  3. Cheney, Alexandra (ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪)। "Analysts: Sony Needs More Bigscreen Franchises"Variety। এপ্রিল ২৮, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪ 
  4. Busch, Anita (এপ্রিল ১৭, ২০১৪)। "'Amazing Spider-Man 2′ Swinging Strong In International Debut As It Casts Global Web"Deadline.com। এপ্রিল ২১, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৮, ২০১৪ 
  5. "The Amazing Spider-Man 2 (2014)"Box Office Mojo। সংগ্রহের তারিখ জুন ১, ২০১৪ 
  6. Baillie, Russell (এপ্রিল ২৪, ২০১৪)। "Movie review: The Amazing Spider-Man 2: Rise of Electro"The New Zealand Herald। এপ্রিল ২৭, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ৪, ২০১৪ 
  7. Kit, Borys; Fernandez, Jay A (মার্চ ২৪, ২০১১)। "James Vanderbilt returning to pen sequel"The Hollywood Reporter। মার্চ ২৬, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৪, ২০১১ 
  8. Fleming, Mike (এপ্রিল ২৪, ২০১২)। "Alex Kurtzman & Roberto Orci Re-Writing Sequel To 'Amazing Spider-Man'"। Deadline.com। অক্টোবর ১৭, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৪, ২০১২ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]