দি আয়রন লেডি | |
---|---|
পরিচালক | ফিলিডা লয়েড |
প্রযোজক | ডেমিয়ান জোনস |
রচয়িতা | আবি মর্গান |
শ্রেষ্ঠাংশে | মেরিল স্ট্রিপ জিম ব্রডবেন্ট অলিভিয়া কোলম্যান রজার অ্যালাম সুসান ব্রাউন নিক ডানিং নিকোলাস ফেরেল ইয়ান গ্লেন রিচার্ড ই গ্রান্ট অ্যান্থনি হেড হ্যারি লয়েড মাইকেল মালোনি মাইকেল পেনিংটন আলেকজান্ড্রা রোচ অ্যামান্ডা রুট পিপ টোরেন্স জুলিয়ান ওয়েডহ্যাম ডেভিড ওয়েটহেড অ্যাঙ্গাস রাইট |
সুরকার | টমাস নিউম্যান[১] |
চিত্রগ্রাহক | এলিয়ট ডেভিস |
সম্পাদক | জাস্টিন রাইট |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্স (যুক্তরাজ্য) পাথে (ফ্রান্স) |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১০৪ মিনিট[২] |
দেশ | যুক্তরাজ্য ফ্রান্স |
নির্মাণব্যয় | £৮.২ মিলিয়ন ($১০.৬ মিলিয়ন)[৩] |
আয় | $১১৫.৯ মিলিয়ন[৪] |
দি আয়রন লেডি ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ব্রিটিশ জীবনীধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র। মার্গারেট থ্যাচারের জীবন নিয়ে ছবিটি নির্মিত হয়েছে। মার্গারেট থ্যাচার যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিরল সম্মান অর্জন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী। [৫] ফিলিডা লয়েড এর পরিচালক ও অ্যাবি মর্গান চিত্রনাট্যকার। আলেকজান্দ্রা রোচ তরুণী থ্যাচারের চরিত্রে অভিনয় করলেও মেরিল স্ট্রিপ-ই মূলত একে এ ছবিতে সার্থক রূপায়ন দিয়েছেন। [৬] জিম ব্রডবেন্ট ও হ্যারি লয়েড ডেনিস থ্যাচার চরিত্রে অভিনয় করেন। অ্যান্থনি হেড থ্যাচারের উপপ্রধানমন্ত্রী জিওফ্রে হাউ- চরিত্রে রূপদান করেন। [৭]
ছবিটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেলেও সমালোচকরা মেরিল স্ট্রিপের অভিনয়ের প্রশংসা করেন। এটি তার অভিনয়জীবনের অন্যতম সেরা কৃতিত্ব হিসেবে বিবেচিত হয়। এ ছবির জন্য সপ্তদশতম বারের মতো স্ট্রিপ অস্কার পুরস্কারের মনোনয়ন পান; এবং তৃতীয়বারের মত অস্কার জিতে নিতে সক্ষম হন। তিনি সেরা অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে তৃতীয়বারের মত গোল্ডেন গ্লোব ও দ্বিতীয়বারের মতো বাফটা পুরস্কার লাভ করেন। ছবিটি সেরা রূপসজ্জা ক্যাটাগরিতে অস্কার ও বাফটা উভয় পুরস্কারই পায়।
জন ক্যাম্পবেলের জীবনীগ্রন্থ "লৌহমানবী: মুদি দোকানির মেয়ে থেকে প্রধানমন্ত্রী" অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত হয়েছে। [৮]
তরুণী মার্গারেট রবার্টস গ্রান্থাম শহরে পারিবারিক মুদি দোকানির ব্যবসা চালান। তার বাবার রাজনৈতিক বক্তৃতাগুলো তাকে উজ্জীবিত করে। গৃহিণী মার সঙ্গে অবশ্য মার্গারেটের সম্পর্ক তেমন ভালো না। একসময় তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান।
রবার্টস রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। কনজারভেটিভ পার্টির পুরুষ অধ্যুষিত পরিমণ্ডলে নিজের স্থান পাকা করে নিতে তিনি সফল হন। ব্যবসায়ী ডেনিস থ্যাচারের বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনাও এখানে আলোচিত হয়েছে। হাউজ অব কমন্স এর নারী সদস্য হিসেবেও থ্যাচার নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের মন্ত্রিসভায় শিক্ষামন্ত্রী হিসেবেও কাজ করতে গিয়ে শুধু নারী হওয়ার জন্য থ্যাচারকে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। একসময় তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের নির্বাচনে দাঁড়ান ও জয়লাভ করেন।
১৯৭৯ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে থ্যাচার ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রিত্বের সম্মান অর্জন করেন। থ্যাচারের অর্থনৈতিক নীতি, ১৯৮১ সালের ব্রিক্সটন দাঙ্গা, ১৯৮৪-১৯৮৫ সালে যুক্তরাজ্যে খনিশ্রমিকদের দাঙ্গা, ১৯৮৪ সালে কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনে বোমা হামলা, ফকল্যাণ্ড দ্বীপ পুনর্দখল, রোনাল্ড রিগ্যান- এর সাথে থ্যাচার এর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক- সবই এ চলচ্চিত্রে বর্ণিত হয়েছে।