দিন-দ্যা ডে | |
---|---|
![]() মুক্তিপ্রাপ্ত পোস্টার | |
পরিচালক | মোর্তেজা অতাশ জমজম |
প্রযোজক | অনন্ত জলিল মোর্তেজা অতাশ জমজম |
রচয়িতা | অনন্ত জলিল |
চিত্রনাট্যকার | ছটকু আহমেদ |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক |
|
মুক্তি | ১০ জুলাই ২০২২ |
স্থিতিকাল | ২ ঘন্টা ২৩ মিনিট ৯ সেকেন্ড |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ৳৪ কোটি[১] |
দিন-দ্যা ডে হল ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ইরান-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার একটি অ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করছেন ইরানি পরিচালক মোর্তেজা অতাশ জমজম।[২][৩] এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনন্ত জলিল।[৪][৫] চলচ্চিত্রটি মোর্তেজা অতাশজমজম ও অনন্ত জলিল যৌথভাবে প্রযোজনা করেন।[৬][৭][৮]
চলচ্চিত্রটি নির্মাণে ১০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন অনন্ত জলিল।[৯] তবে ২২ আগস্ট এক ইন্সটাগ্রাম পোস্টে ইরানি পরিচালক মোর্তেজা অতাশ জমজম ২০১৮ সালে তার সাথে চুক্তির কাগজপত্র প্রকাশ করেন। চুক্তিতে চলচ্চিত্রটির নির্মাণব্যয় ৫ লক্ষ মার্কিন ডলার (২০১৮ সালের হিসেবে ৪ কোটি টাকা) পাওয়া যায়।[১]
একটি আন্তর্জাতিক মাদক চেইন এবং সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করার জন্য একজন সোয়াত এজেন্টকে পাঠানো হয়।
২০১৮ সালে ইরানের একটি প্রযোজনা দল রোহিঙ্গা গণহত্যা সম্পর্কে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিল যার শিরোনাম ছিল বিমর্ষ বুদ্ধ, যার পরিচালক ছিলেন মোর্তেজা অতাশ জমজম।[১২] অনন্তের চলচ্চিত্র দেখার পর বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত তার সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন ইরান সরকারের কাছে জমা দেন। এরপর তিনি অনন্ত জলিলের সঙ্গে প্রযোজনা দলকে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা করেন। এরপর ইরান সরকারের পক্ষ থেকে জলিলকে ইরানে আমন্ত্রণ জানানো হয়।[১৩] ১৮ জুন ২০১৮ তারিখে অনন্ত ফিল্মটির ধারণা নিয়ে আলোচনা করতে ফারাবী সিনেমা ফাউন্ডেশনের আলিরেজা তাবেশের সাথে দেখা করেন। অনন্ত জলিল বলেন, তিনি এমন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চান যাতে প্রকৃত ইসলামকে তুলে ধরা হবে। তখন আলীরেজা তাবেশ বলেছিলেন যে তিনি ছবিটি প্রযোজনা করতে ইচ্ছুক তবে ছবির চিত্রনাট্য তাদের কাছে সন্তোষজনক হওয়া উচিত।[১৪]
একই বছরের ১৮ অক্টোবর চলচ্চিত্র সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।[১৫] জানা গেছে, মনসুন ফিল্মের সঙ্গে যৌথভাবে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন মোর্তেজা অতাশ জমজম।[১৬] ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে ছবির চিত্রগ্রহণ শুরু হয়। অনন্ত জলিল মার্চ মাসে হেরাতে চিত্রগ্রহণ করার সময় আহত হন এবং চিত্রগ্রহণ কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়।[১৭] কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ২০২০ সালের জুলাই মাসে এর চিত্রগ্রহণ আবার স্থগিত করা হয়েছিল। চার মাস পর ৩০ অক্টোবর আবার চিত্রগ্রহণ শুরু হয়। ১৮ নভেম্বর চিত্রগ্রহণ শেষ হয়।[১৮] ছবিটি ৮কে ক্যামেরায় শুট করা হয়েছে। প্রযোজনা দল ডলবি অ্যাটমস ৭.১ সারাউন্ড শব্দ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে।[১৯] এর চিত্রগ্রহণ হয়েছে বাংলাদেশ, ইরান, তুরস্ক ও মরক্কোতে।[২০]
দিন-দ্যা ডে | |
---|---|
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম | |
শব্দধারণের সময় | ২০১৯ |
ঘরানা | চলচ্চিত্র সঙ্গীত |
ভাষা | বাংলা ফার্সি |
দিন-দ্যা ডে সাউন্ডট্র্যাক – ট্র্যাক তালিকা | ||||
---|---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | গীতিকার | গায়ক | দৈর্ঘ্য |
১. | "তোকে রাখব খুব আদরে" | স্নেহাশিস ঘোষ | ইমরান মাহমুদুল ও আনিশা | ৪:৫৪ |
২. | "বর্ষা চোখে" | তারেক আনন্দ | ইমরান মাহমুদুল | ৪:২৫ |
৩. | "শুধু তোমাকেই চাই" | আব্দুল জাব্বার কাকায়ি | মোহাম্মদ রেজা হেদায়াতি, খাদিজা পারভিন বর্ষা ও বেলাল খান | ৪:৪০ |
চলচ্চিত্রটি প্রথমে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।[২১] পরবর্তীতে মুনসুন ফিল্মসের মালিক ২০২১ সালে ঈদ-উল-আজহায় চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। তখন এটি ৮০টি দেশে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।[২২] পরে ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর চলচ্চিত্রটির মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়, তবে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।[২৩] ২০২২ সালের ৫ জুন চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ডের সার্টিফিকেট লাভ করে।[২৪] পরে অনন্ত জলিল ঘোষণা করেন যে ২০২২ সালের ঈদ-উল-আজহায় চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে। ২০২২ সালের ১০ জুলাই, ঈদের দিন ১৩৪টি সিনেমা হলে মুক্তি পায় চলচ্চিত্রটি।[২৫]
২০২২ সালের আগস্টে মোর্তেজা অতাশ জমজম অনন্ত জলিলকে চলচ্চিত্রের শর্তাবলী লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি দাবি করেন, পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা না করেই অনন্ত জলিল নিজের মতো করে ছবিটি বানিয়েছেন। ফলে ছবিটি নিম্নমানের ছবিতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক। চুক্তির শর্তাবলী মেনে না চলার কারণে মোর্তেজা অনন্তকে ছবিটির প্রযোজনা দলের নামের তালিকা থেকে ইরানিদের নাম বাদ দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু অনন্ত অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মোর্তেজা তেহরানের একটি আদালতে অনন্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এবং বাংলাদেশেও মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।[২৬] পরিচালকের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন অনন্ত। তিনি তার অভিযোগকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[২৭]
অনন্ত জলিল দাবি করেছিলেন যে, এটি ৳১০০ কোটির আনুমানিক বাজেটে নির্মিত হয়েছিল, যা মুক্তির সময় এটিকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে পরিণত করেছে। কিন্তু পরে চলচ্চিত্রটির সহ-প্রযোজক মোর্তেজা ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে চলচ্চিত্র সম্পর্কিত চুক্তিটি প্রকাশ করেন। যাতে দেখা যায় যে এটির প্রকৃত বাজেট ছিল ৳৪ কোটি। চুক্তি অনুযায়ী, অনন্ত পুরো বাজেট জোগান দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি মোট অর্থের মাত্র ৪.৮ শতাংশ পরিশোধ করেছেন।[১]