দেশ | রাশিয়া |
---|---|
বাসস্থান | মন্টে কার্লো, মোনাকো |
জন্ম | মস্কো, সোভিয়েত ইউনিয়ন | এপ্রিল ২৭, ১৯৮৬
উচ্চতা | ১.৮৮ মিটার (৬ ফুট ২ ইঞ্চি)[১] |
পেশাদারিত্ব অর্জন | ২০০০ |
অবসর গ্রহণ | ১১ মে, ২০১৪ (সর্বশেষ খেলা ২০১১)[২] |
খেলার ধরন | ডানহাতি (দুইহাতে ব্যাকহ্যান্ড) |
পুরস্কার | US$ ১০,৫৮৫,৬৪০ |
একক | |
পরিসংখ্যান | ৩৬০-১৭৩ (৬৭.৫৪%) |
শিরোপা | ১২ ডব্লিউটিএ, ৪ আইটিএফ |
সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং | ১নং (২০ এপ্রিল, ২০০৯) |
গ্র্যান্ড স্ল্যাম এককের ফলাফল | |
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন | ফ (২০০৯) |
ফ্রেঞ্চ ওপেন | ফ (২০০৮, ২০০৯) |
উইম্বলডন | সে.ফ (২০০৯) |
ইউএস ওপেন | সে.ফ (২০০৮) |
অন্যান্য প্রতিযোগিতা | |
ট্যুর ফাইনাল | আর.আর. (২০০৮, ২০০৯) |
অলিম্পিক গেমস | রৌপ্যপদক (২০০৮) |
দ্বৈত | |
পরিসংখ্যান | ১৮১-৯১ |
শিরোপা | ৯ ডব্লিউটিএ, ৩ আইটিএফ |
সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং | ৮নং (১২ মে, ২০০৮) |
গ্র্যান্ড স্ল্যাম দ্বৈতের ফলাফল | |
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন | কো.ফ. (২০০৪, ২০০৫) |
ফ্রেঞ্চ ওপেন | ৩রা. (২০০৬, ২০০৭, ২০০৮) |
উইম্বলডন | ৩রা. (২০০৫, ২০০৮) |
ইউএস ওপেন | জ (২০০৭) |
অন্যান্য দ্বৈত প্রতিযোগিতা | |
অলিম্পিক গেমস | কো.ফ. (২০০৮) |
দলগত প্রতিযোগিতা | |
ফেড কাপ | জ (২০০৫) |
হপম্যান কাপ | ফ (২০০৯) |
সর্বশেষ হালনাগাদ: ১০ অক্টোবর, ২০১১ |
অলিম্পিক পদক রেকর্ড | ||
---|---|---|
মহিলাদের টেনিস | ||
রাশিয়া-এর প্রতিনিধিত্বকারী | ||
২০০৮ বেইজিং | একক |
দিনারা মুবিনোভনা সাফিনা (রুশ: Динара Мубиновна Сафина; উচ্চারিত [dʲɪˈnarə ˈsafʲɪnə] তাতার: Динара Мөбин кызы Сафина, Dinara Möbin qızı Safina; জন্ম: ২৭ এপ্রিল, ১৯৮৬) মস্কোয় জন্মগ্রহণকারী তাতার বংশোদ্ভূত রাশিয়ার বিখ্যাত সাবেক প্রমিলা ও পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়। তিনি বিশ্বের ১নং টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন। এছাড়াও বিশ্বের সাবেক ১নং টেনিস তারকা মারাত সাফিনের ছোট বোন দিনারা সাফিনা। এ দুই ভাই-বোন বিশ্ব টেনিসের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টেনিসের ১নং অবস্থানে ছিলেন।[৩] ২০০৮ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেন, ২০০৯ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং ২০০৯ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেনের প্রমিলা এককে যথাক্রমে আনা ইভানোভিচ, সেরেনা উইলিয়ামস ও সভেতলানা কুজনেতসোভাকে পরাজিত করে রানার-আপ হন। গ্র্যান্ড স্ল্যামে প্রথম সফলতা পান ইউএস ওপেনের মহিলাদের দ্বৈতে। ২০০৭ সালে নাতালি ডিচাইয়ের সাথে জুটি গড়ে শিরোপা পান। বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ২০০৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আসরের প্রমিলা এককে রৌপ্যপদক লাভ করেন। ২০১১ সালে ক্রমাগত পিঠের ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে মাঠের বাইরে অবস্থান করেন। অবশেষে ২০১৪ সালে দীর্ঘ বিরতির পর টেনিস জগৎকে বিদায় জানান।
বিশ্বের সাবেক ১নং পুরুষ খেলোয়াড় মারাত সাফিন তার ছোট বোন। টেনিসের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোন ভাই-বোনের ১নং অবস্থানে থাকার ঘটনা ঘটান।
তাতার জাতিগোষ্ঠী পরিবারে তার জন্ম। মা রজা ইসলানোভা শৈশবে তাকে প্রশিক্ষণ দিতেন।[৪][৫] বাবা মস্কোর স্পার্তাক টেনিস ক্লাব পরিচালনা করেন।[১] তার ভাই মারাত এটিপি ট্যুরে বিশ্বের সাবেক ১নং খেলোয়াড়। ৮ বছর বয়সে সাফিনা ও তার পরিবার স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় চলে যায়। এরফলে রুশ ও ইংরেজি ভাষায় কথা বলার পাশাপাশি স্পেনীয় ভাষায়ও তার দক্ষতা জন্মে।[৬] আন্না চাকভেতাদজে ও নাদিয়া পেত্রোভার[৭] সাবেক কোচ গ্লেন শাপ তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।[৮] এরপর ২০০৯ সালে বিশ্বের ১নং থাকাকালীন জেলকো ক্রাজান কোচ ছিলেন।[৯] মে, ২০১০ সাল থেকে গ্যাসটন এটলিসের সাথে কাজ করেন।[১০] ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সালে ডেভিড সানগুইনেত্তি’র সাথে কাজ করার পূর্ব পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক বজায় ছিল। স্টেফি গ্রাফ, মার্টিনা হিংগিস ও লিন্ডসে ডেভেনপোর্টকে তিনি অনুসরণ করতেন।[১১] সাম্প্রতিককালে তিনি বলেছেন যে, রাফায়েল নাদালও তার আদর্শ ছিল।[১২]
মে, ২০০২ সালে এস্টোরিলের ক্লে কোর্টে অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিএ ট্যুর প্রতিযোগিতায় তার অভিষেক ঘটে। খেলায় তিনি সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন।[১১] পরের বছর গ্র্যান্ড স্ল্যামে তার অভিষেক হয়। ইউএস ওপেনের শিরোপাধারী সেরেনা উইলিয়ামসের কাছে দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে যান।[১৩] অক্টোবরে, মস্কোয় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো শীর্ষ ২০ র্যাঙ্কিংয়ে অন্তর্ভুক্ত ১৪নং খেলোয়াড় সিলভিয়া ফারিনা এলিয়াকে পরাজিত করেন। ঐ মৌসুমে তিনি বিশ্বের ৬৮নং খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন।[১৪][১৫]
২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতার শিরোপা জয় করেন। ফাইনালে তিনি মার্টিনা হিংগিসকে পরাজিত করেন। খেলাশেষে হিংগিস মন্তব্য করেন যে, প্রত্যেকেই তাকে লক্ষ্য করছে কেননা সে তার ভাইয়ের চেয়েও ভাল করছে।[১৬] ঐ প্রতিযোগিতার দ্বৈতেও শিরোপা জয় করেন সাফিনা। এরপর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে লি না’র কাছে হেরে যান তিনি।
২০০৯ সালে হপম্যান কাপে মারাত সাফিনকে নিয়ে রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন। ফাইনালে স্লোভাকিয়া দলের কাছে তারা পরাজিত হয়।[১৭] ২০ এপ্রিল বিশ্বের ১৯তম ও মারিয়া শারাপোভার পর দ্বিতীয় রুশ খেলোয়াড় হিসেবে ডব্লিউটিএ ট্যুরে বিশ্বের ১নং খেলোয়াড় হন।[১৮]
২০১১ সালের মালয়েশিয়ান ওপেনে হ্যান জিনয়ানকে পরাজিত করে ধারাবাহিকভাবে ছয় খেলা হারা থেকে ফিরে আসেন। এরপর তিনি সাফারোভার কাছে হারেন। বিএনপি পরিবাস ওপেনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চতুর্থ রাউন্ডে যান। এ সময় তিনি ২৫তম ড্যানিয়েলা হানটাকোভা ও ৪নং সামান্থা স্তোসারকে পরাজিত করেন। কিন্তু চতুর্থ রাউন্ডে মারিয়া শারাপোভার বিপক্ষে খেলা চলাকালীন পিঠের আঘাতে খেলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।[১৯]
৭ অক্টোবর, ২০১১ তারিখে তার ভাই মারাত সাফিন অবসর সম্পর্কে ঘোষণা দেন।[২০] তিনি বলেন, ‘দিনারা (সাফিনা) তার খেলোয়াড়ী জীবন থেকে বিদায় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে তার জীবনের একটি অংশ শেষ করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছে। ২৫ বছর বয়সী তার বোনের অবসর নেয়ার পিছনে মূলতঃ পিঠের আঘাতকেই দায়ী করছে। এছাড়া তার স্বাস্থ্য সবদিক দিয়েই ভাল। প্রাত্যহিক জীবন ভালোভাবেই কাটছে, কিন্তু পিঠের আঘাতের কারণে পেশাদারী টেনিসে অংশ নিতে পারবে না।’[২১]