দিল্লী ষড়যন্ত্র মামলা যা দিল্লী-লাহোর ষড়যন্ত্র হিসেবে ও পরিচিত, যা ১৯১২ সালে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়া দিল্লীতে স্থানান্তর করার অনুষ্ঠানে ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।
বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জের উপর আক্রমণের নেতা ছিলেন রাসবিহারী বসু। বসন্ত বিশ্বাস বোমা নিক্ষেপ করে সুকৌশলে পলায়ন করতে পেরেছিলেন।[১] এই মামলায় বিচারে ভাই বালমুকুন্দ ছাড়াও অপর তিনজন মাস্টার আমীর চাঁদ, অবোধ বিহারী ও বসন্ত বিশ্বাসের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হয় ১৯১৫ সালের ১১ মে আমবালা জেলের ভেতর।[২]
শোনা যায়, বসন্তকুমার বিশ্বাস সে সময় বয়সের ভিত্তিতে নাবালক ছিলেন। তাই যাতে তার অপরাধের শাস্তি বিন্দুমাত্র না কমানো হয়, ব্রিটিশ সরকার কারচুপি করে বসন্ত বিশ্বাসের ফাইলে তার বয়স দুই বছর বাড়িয়ে তার ফাঁসির ব্যবস্থা করেছিলেন।