মাননীয় দিসানায়ক মুদিয়নসেলাগে জয়রত্ন | |
---|---|
දිසානායක මුදියන්සේලාගේ ජයරත්න திசாநாயக்க முதியன்சேலாகே ஜயரத்ன | |
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২১ এপ্রিল ২০১০ – ৯ জানুয়ারি ২০১৫ | |
রাষ্ট্রপতি | মহিন্দ রাজপক্ষ |
পূর্বসূরী | রত্নসিরি বিক্রমনায়ক |
উত্তরসূরী | রনিল বিক্রমসিংহ |
বুদ্ধশাসন ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৮ জুলাই ২০১০ – ৭ জুলাই ২০১৫ | |
রাষ্ট্রপতি | মহিন্দ রাজপক্ষ |
প্রধানমন্ত্রী | স্বয়ং |
আবাদমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৬ আগস্ট ২০০৭ – ৬ আগস্ট ২০১০ | |
রাষ্ট্রপতি | মহিন্দ রাজপক্ষ |
প্রধানমন্ত্রী | রত্নসিরি বিক্রমনায়ক |
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও মধ্যদেশ উন্নয়ন মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৮ আগস্ট ২০০৪ – ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | |
রাষ্ট্রপতি | মহিন্দ রাজপক্ষ চন্দ্রিকা কুমারতুঙ্গ |
প্রধানমন্ত্রী | রত্নসিরি বিক্রমনায়ক মহিন্দ রাজপক্ষ |
কৃষিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১ জুন ২০০০ – ৯ জুলাই ২০০১ | |
রাষ্ট্রপতি | চন্দ্রিকা কুমারতুঙ্গ |
প্রধানমন্ত্রী | রনিল বিক্রমসিংহ |
ক্যান্ডি জেলা আসনের শ্রীলঙ্কা সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৫ জানুয়ারি ২০০৪ – ৭ জানুয়ারি ২০১০ | |
কাজের মেয়াদ ১ জুলাই ১৯৮৯ – ২৯ ডিসেম্বর ২০০১ | |
জাতীয় তালিকা আসনের শ্রীলঙ্কা সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ জানুয়ারি ২০১০ – ৬ জুন ২০১৫ | |
কাজের মেয়াদ ৩০ ডিসেম্বর ২০০১ – ২ জানুয়ারি ২০০৪ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | দিসানায়ক মুদিয়নসেলাগে জয়রত্ন ৪ জুন ১৯৩১ কলম্বো, শ্রীলঙ্কা |
মৃত্যু | ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ক্যান্ডি, শ্রীলঙ্কা | (বয়স ৮৮)
জাতীয়তা | শ্রীলঙ্কান |
রাজনৈতিক দল | শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স |
সন্তান | অনুরাধা জয়রত্ন |
শিক্ষা | ডোলুয়া মহাবিদ্যালয়, গম্পোল জাহিরা কলেজ, গম্পোল |
পেশা |
|
দিসানায়ক মুদিয়নসেলাগে জয়রত্ন[১] (সিংহলি: දිසානායක මුදියන්සේලාගේ ජයරත්න, তামিল: திசாநாயக்க முதியன்சேலாகே ஜயரத்ன; ৪ জুন ১৯৩১[২] – ১৯ নভেম্বর ২০১৯),[৩] যিনি ডি. এম. “দি মু” জয়রত্ন নামেও পরিচিত,[৪] ছিলেন একজন অভিজ্ঞ শ্রীলঙ্কান রাজনীতিবিদ যিনি ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জয়রত্নে ১৯৭০ সালে সর্বপ্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অতঃপর ২১ এপ্রিল, ২০১০ তারিখে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।[৫]
৪ জুন, ১৯৩১ তারিখে জন্মগ্রহণকারী ডি. এম. জয়রত্নে ক্যান্ডি শহরের ঠিক বাইরে গাম্পোলা এলাকার ডলুয়া মহাবিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৫১ সালে এস. ডব্লিউ. আর. ডি. বন্দরনায়েকে কর্তৃক ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি প্রতিষ্ঠা করার পর তিনি ডলুয়া মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৬২ সালের মেয়াদকালে ডলুয়ায় পোস্টমাস্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।[৬]
১৯৭০ সালের শ্রীলঙ্কার সংসদ নির্বাচনে জয়রত্নে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেন। শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টি (এসএলএফপি)’র প্রার্থী হিসেবে গাম্পোলা সংসদীয় এলাকা থেকে১৪,৪৬৩ ভোট পান। এ নির্বাচনে তিনি ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি)’র প্রার্থী ডব্লিউ.পি.বি. দিশানায়েকেকে পরাভূত করেন।[৭] এরপর ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে দিশানায়েকেকে পুনরায় হারান। ঐ নির্বাচনে এসএলএফপি’র মাত্র ৮জন সদস্য সংসদে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন।[৮] ১৯৮৯ সালের নতুন অগ্রাধিকারমূলক ভোটিং পদ্ধতিতে ক্যান্ডি জেলা থেকে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন। ৫৪,২৯০ ভোট পেয়ে তিনি এসএলএফপি প্রার্থীদের তালিকায় শীর্ষস্থানে ছিলেন।[৬]
১৯৯৪ সালে পিপল’স অ্যালায়েন্সের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরফলে তিনি প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতি চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা’র মন্ত্রীপরিষদে ভূমি, কৃষি ও বনায়ণ মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।[৬]
ইউনাইটেড পিপল’স ফ্রিডম অ্যালায়েন্সের প্রার্থী হিসেবে ২০১০ সালের সংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী হন জয়রত্নে। এসএলএফপি’র সর্বাপেক্ষা বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য জয়রত্নে ২১ এপ্রিল, ২০১০ তারিখে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী সর্বাপেক্ষা আনুষ্ঠানিক পদ। এছাড়াও, তিনি বুদ্ধশাসনা ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।[৯]
ডি. এম. জয়রত্নে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।[১০]
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী রত্নাসিরি বিক্রমানায়েকে |
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ২০১০-২০১৫ |
উত্তরসূরী রনীল বিক্রমাসিংহে |