ক্রিকেট তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডান হাতি ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | - | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: [১], 4 February 2006 |
দীপ দাশগুপ্ত কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ) একজন ভারতীয় ক্রিকেটার (উইকেট-কীপার ব্যাটসম্যান), যিনি দেশের হয়ে জাতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে ২০০১ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ৮ টি টেস্ট এবং ৫ টি একদিনের ক্রিকেট খেলেছেন। দীপ দাশগুপ্ত একজন হিন্দু বৈদ্য বংশে জন্ম নেন। তার বাবা বিপ্লব দাশগুপ্ত পেশায় একজন চাকুরীজীবী এবং মা গৃহবধু বর্তমানে নয়ডার বাসিন্দা। স্ত্রী অমৃতা দাশগুপ্ত।
(জন্ম ৭ জুন ১৯৭৭,যদিও তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন, দীপের অল্প বয়সের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে কাটানো এবং সেখানেই তিনি প্রথমবারের মত স্কুল ক্রিকেটের সাথে যুক্ত হন।
দাশগুপ্তের জীবনের প্রথম কোচ ছিলেন একজন মহিলা। যিনি ভারতের প্রথম মহিলা ক্রিকেট কোচ সুনিতা শর্মা। সুনিতাই প্রথম দাশগুপ্তের বিশেষ প্রতিভা আবিষ্কার করেন এবং তাকে গুরসরণ সিংয়ের কাছে উপস্থাপন করেন।
দীপ সর্দার প্যাটেল বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন এবং পরে স্নাতক শেষ করার জন্য হিন্দু কলেজে যোগদান করেন।
ব্যাটসম্যান হিসেবেই দাশগুপ্তের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু হয় এবং রঞ্জী ট্রফিতে তার অভিষেক ম্যাচেই তিনি প্রথম সেঞ্চুরিটি করে তার আত্মপ্রকাশ ঘটান।
দাশগুপ্ত ২০০১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারতীয় দলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। টসে জেতার এক ঘণ্টা আগেই সৌরভ গাঙ্গুলি দাশগুপ্তকে বলেন যে ব্লুমফন্টেনে ভারতের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সমীর দীঘের পরিবর্তে তার টেস্ট অভিষেক হতে যাচ্ছে। ওই টেস্টেই বীরেন্দ্র সহবাগ তার অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন। ইংল্যান্ড ২০০১ সালে টেস্ট সিরিজের জন্য ভারত সফর করেছিল এবং উদ্বোধনী টেস্টের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা ২৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। দাশগুপ্তের অনবদ্য ১০০ রানের ইনিংসের দৌলতে ভারতের যথাযোগ্য শুরু হয়। দীপ একজন আক্রমণাত্তক ওপেনিং ব্যাটসম্যান যিনি সৌরভ গাঙ্গুলি র পর ক্যাপটেন হিসেবে বাংলা ক্রিকেট দলের দায়ীত্ত্ব নেন এবং ইষ্ট জোনের হয়ে জাতীয় উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনীরর সাথে রিজার্ভ উইকেটরক্ষক ও ছিলেন। দীপ পরবর্তীকালে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ জয়েন করেন যেখানে তিনি "রয়েল বেঙ্গল টাইগার" দলের হয়ে খেলেছেন।
দীপ দাশগুপ্ত, সম্বরন ব্যানার্জীর পর বাংলা ক্রিকেট দলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ছিলেন যিনি পরপর দুটি রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে দলকে পৌঁছেৌঁছেছিলেন।
দীপ ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে "সি বি আর ই" গ্রুপে স্ট্রাটেজিক প্রোজেক্ট হেড হিসেব জয়েন করেন। এছাড়া তিনি ২০১৬ থেকে আই পি এল এবং হটস্টার ক্রিকেট লাইভ এ এক্সপার্ট কমেন্টেটর হিসেবে ধারাভাষ্য দেন।