![]() | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | দীপ্তি ভগবান শর্মা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | আগ্রা, উত্তর প্রদেশ, ভারত | ২৪ আগস্ট ১৯৯৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বাম-হাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডান-হাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১১৪) | ২৮ নভেম্বর ২০১৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৬ নভেম্বর ২০১৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৫০) | ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএন ক্রিকইনফো, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ |
দীপ্তি ভগবান শর্মা (জন্ম: ২৪ আগস্ট ১৯৯৭, ভারতের আগ্রায়) একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, যিনি ভারত জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেন। তিনি একজন অলরাউন্ডার। তিনি বাম-হাতে ব্যাট করেন এবং ডান-হাতে অফ ব্রেক বল করেন।[১][২] বর্তমানে আইসিসি ক্রিকেট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডারদের তালিকায় তার অবস্থান চতুর্থ।[৩] এছাড়া, দীপ্তি শর্মা বর্তমানে ওয়ানডেতে মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান সংগ্রাহক (১৮৮ রান)।[৪]
দীপ্তি শর্মা সুশীলা এবং ভগবান শর্মার কনিষ্ঠ সন্তান। তার বাবা ভারতীয় রেলওয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত চিফ বুকিং সুপারভাইজার। মাত্র ৯ বছর বয়সেই তার মনে ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহ জন্মায়। দীপ্তি প্রায়ই তার বাবাকে বলত সে যেন তার ভাই উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন পেসার সুমিত শর্মাকে (যিনি প্রথমে তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন) তাকে মাঠে নিয়ে যেতে বলে। সেখানে সে নেট অনুশীলন এবং অন্যান্য ম্যাচ দেখতো। একদিন আগ্রার একলাব্য স্পোর্টস স্টেডিয়ামে দীপ্তির ভাই ও তার সতীর্থদের নেট অনুশীলনের সময় দীপ্তিকে বল ছুড়ে দিতে বলা হয়েছিল। দীপ্তি স্ট্যাম্পের প্রায় ৫০ মিটার দূর থেকে বল ছুড়লে তা সরাসরি স্ট্যাম্পে আঘাত করে।[৫] এটি ভারতের তৎকালীন মহিলা দলের নির্বাচক হেমলতা কালাকে আকৃষ্ট করে[৬] এবং এটি ছিল তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মোড়।
তারপর তার বয়স যখন ১৫ বছর হয় তখন সে ক্রিকেটে যথেষ্ট অভিজ্ঞ। তবুও রাষ্ট্রীয় দল নির্বাচনের সময় নির্বাচকরা তাকে উপেক্ষা করেছিলেন। তার অলরাউন্ড সামর্থ্য ধীরে ধীরে আরও কয়েকজন নির্বাচক এবং প্রাক্তন ভারতীয় ব্যাটসম্যান রীতা দে'র[৭] নজর কেড়েছিল।
দীপ্তি শর্মা মিডিয়াম পেসার হিসাবে শুরু করলেও পরবর্তীতে তাকে অফ-স্পিন বোলিংয়ের দিকে ঝুঁকতে হয়। এই পরিবর্তন তার জন্য মোটেও সহজ ছিল না। স্থানীয় প্রশিক্ষক এবং নির্বাচকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে তিনি ধীরে ধীরে স্পিন বোলিংয়ের শিল্পে দক্ষতা অর্জন করেছেন।
সে রাজ্যে দলের পাশাপাশি এ দলের ম্যাচগুলোতেও অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে চলছিল। তবে বেঙ্গালুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচের পারফরম্যান্সই সে জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়।
দীপ্তি শর্মা ২০১৪ সালে বেঙ্গালুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। ম্যাচটি আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ ছিল।[৮]
শর্মা পূনম রাউকে সাথে নিয়ে একবার উদ্বোধনী জুটিতে ৩২০ রান করেন যা উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।[৯] এর মাধ্যমে তারা নারীদের সর্বোচ্চ ২২৯ (ইংল্যান্ডের সারাহ টেলর এবং ক্যারোলিন অ্যাটকিনস) রানের জুটি এবং ছেলেদের সর্বোচ্চ ২৮৬ (শ্রীলঙ্কার উপুল থারাঙ্গা এবং সনাথ জয়সুরিয়া) রানের জুটির রেকর্ড ভেঙে দেন।[১০][১১][১২] এই রেকর্ড তাদের চার জাতির সিরিজে (আয়ারল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে) আয়ারল্যান্ডের মহিলাদের বিরুদ্ধে ৫০ ওভারে তিন উইকেটে ৩৮৮ রান করতে সহায়তা করেছিল।[১৩]
দীপ্তি শর্মা ২০১৭ সালের মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা ভারতীয় দলের একজন সদস্য ছিলেন। এ দলটি ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে নয় রানে হেরেছিল।[১৪][১৫][১৬] তিনি ৮ ম্যাচ থেকে ৩০.৮৬ গড়ে ২১৬ রান করেছেন[১৭] এবং ৯ ম্যাচে মোট ১২টি উইকেট শিকার করেছেন।[১৮] এ বিশ্বকাপে তার সেরা বোলিং পারফরমেন্স ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭.১ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট লাভ করা।[১৯]
তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার হল ৬-২০ যা তিনি রাঁচিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ওয়ানডেতে অর্জন করেছিলেন।[২০]
২০১৭-১৮ নারীদের ঘরোয়া ক্রিকেটে এই অলরাউন্ডার বাংলার হয়ে অংশগ্রহণ করেন। তার দলে ঝুলন গোস্বামীর মতো ক্রিকেটারও ছিল।[২১][২২][২৩][২৪] এ টুর্নামেন্টে তিনি ৬৫.১৩ এর দুর্দান্ত স্ট্রাইক রেট নিয়ে ৬ ম্যাচে ১০৪ গড়ে গড়ে মোট ৩১২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। লিগে তিনি মোট ৫ বার অর্ধশত রান করেন। তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৭৭।[২৫] বল হাতে কলকাতায় বিদর্ভের বিপক্ষে ২৬ রানে ৩ উইকেটের সেরা ফিগার[২৬] সহ দীপ্তি মোট ৯টি উইকেট নিয়েছেন।[২৭]
২০১৮ সালের অক্টোবরে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০১৮ আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ টুর্নামেন্টের ভারতীয় দলে ডাক পান।[২৮][২৯] টুর্নামেন্টটির সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরেছিল ভারতীয় দল।[৩০][৩১] তিনি পুরো বিশ্বকাপে মাত্র ৫টি উইকেট পেয়েছিলেন। তার সেরা পারফরমেন্স ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট প্রাপ্তি।[৩২]
ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা মহিলা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়ায় ২০১৮ সালের জুনে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই) তাকে জগমোহন ডালমিয়া ট্রফি প্রদান করে।[৩৩]
২০১৯ সালের জুনে তিনি কিয়া সুপার লিগে ওয়েস্টার্ন স্টর্মের হয়ে খেলতে চুক্তিবদ্ধ হন।[৩৪] ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ২০২০ আইসিসি মহিলা টি২০ বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন।[৩৫]
উইকিমিডিয়া কমন্সে দীপ্তি শর্মা সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।