ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | কার্লোস কেটানো ব্লেদর্ন ভেরি | |||||||||||||||||||
জন্ম | অক্টোবর ৩১, ১৯৬৩ | |||||||||||||||||||
জন্ম স্থান | আইজু, ব্রাজিল | |||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৭৬ মিটার (৫ ফুট ৯+১⁄২ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার | |||||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | ||||||||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | |||||||||||||||||
১৯৮০-১৯৮৪ | ইন্তারনেশিওন্যাল | ১০ | (০) | |||||||||||||||||
১৯৮৪-১৯৮৫ | করিন্থিয়ান্স | ১৩ | (১) | |||||||||||||||||
১৯৮৫-১৯৮৭ | সান্তোস | ১৬ | (১) | |||||||||||||||||
১৯৮৭ | ভাস্কো দা গামা | ১৭ | (১) | |||||||||||||||||
১৯৮৭-১৯৮৮ | পিসা | ২৩ | (২) | |||||||||||||||||
১৯৮৮-১৯৯২ | ফিওরেন্তিনা | ১২৪ | (৮) | |||||||||||||||||
১৯৯২-১৯৯৩ | পেস্কারা | ২৩ | (৩) | |||||||||||||||||
১৯৯৩-১৯৯৫ | ভিএফবি স্টুটগার্ট | ৫৪ | (৭) | |||||||||||||||||
১৯৯৫-১৯৯৮ | জুবিলো আইওয়াতা | ৯৯ | (১৬) | |||||||||||||||||
১৯৯৯-২০০০ | ইন্তারনেশিওন্যাল | ২০ | (৩) | |||||||||||||||||
মোট | ৩৭৭ | (৩৯) | ||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||
১৯৮৭-১৯৯৮ | ব্রাজিল | ৯১ | (৬) | |||||||||||||||||
পরিচালিত দল | ||||||||||||||||||||
২০০৮ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ | |||||||||||||||||||
২০০৬-২০১০ | ব্রাজিল | |||||||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| ||||||||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
কার্লোস কেটানো ব্লেদর্ন ভেরি (ইংরেজি: Carlos Caetano Bledorn Verri; বা দুঙ্গা পর্তুগিজ উচ্চারণ: [ˈdũɡɐ]; জন্ম: ৩১ অক্টোবর, ১৯৬৩) আইজুতে জন্মগ্রহণকারী ব্রাজিলীয় ফুটবলের সাবেক মধ্যমাঠের রক্ষণাত্মক খেলোয়াড়। তবে তিনি দুঙ্গা নামেই সমধিক পরিচিত। ১৯৯৪ সালের ব্রাজিলের বিশ্বকাপ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন তিনি। এরপর তিনি ব্রাজিল দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। জাভি’র পাশাপাশি একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ, অলিম্পিক গেমস, কনফেডারেশন্স কাপ ও মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে খেলার সৌভাগ্য অর্জন করেন তিনি।
ইন্তারনেশিওন্যালের পক্ষ হয়ে ১৯৮০-৮৪, ১৯৯৯-২০০০; করিন্থিয়ান্সে (১৯৮৪-৮৫); সান্তোসে (১৯৮৫-৮৭); ভাস্কো দা গামা'য় (১৯৮৭); পিসায় (১৯৮৭-৮৮); ফিওরেন্তিনায় (১৯৮৮-৯২); পেস্কারায় (১৯৯২-৯৩); ভিএফবি স্টুটগার্টে (১৯৯৩-৯৫) এবং জুবিলো আইওয়াতায় (১৯৯৫-৯৮) পর্যন্ত খেলেছেন দুঙ্গা।
ব্রাজিল দলের পক্ষ হয়ে দুঙ্গা ৯১টি খেলায় অংশগ্রহণ করে ৬টি গোল করেছেন। ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার অভিষেক ঘটে। যুবদের ঐ প্রতিযোগিতায় ব্রাজিলের অধিনায়ক হিসেবে আর্জিন্টিনাকে চূড়ান্ত খেলায় পরাভূত করে তার দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এর একবছর পর ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলসে অনুষ্ঠিত ১৯৮৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ফুটবলে তার দল রৌপ্যপদক লাভ করেছিল। ১৯৮৯ সালের কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্যে মূল জাতীয় দল থেকে ডাক পান এবং মারকানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় উরুগুয়ের বিরুদ্ধে দলকে জয়লাভে সহায়তা করেন।
১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে তিনি অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু প্রতিযোগিতায় ভাগ্য সহযোগিতা না করায় এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে দ্বিতীয় রাউন্ডে পরাজয়ের প্রেক্ষাপটে তার সহ-খেলোয়াড়দের কাছ থেকে দোষী হন। দলের ফলাফল ছিল ১৯৬৬ সালের পর সবচেয়ে বেশি খারাপ ফলাফল। এর পরের কয়েক বছর তার খেলার ধরনের ফলে ব্রাজিলীয় গণমাধ্যমের সমালোচনা কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন। ধীরগতির খেলা উপহার, রক্ষণাত্মক খেলার ভঙ্গীমার জন্য এ সময়কালকে ব্রাজিলের ইতিহাসে 'দুঙ্গার যুগ' নামে অভিহিত করা হয়। তা স্বত্ত্বেও ব্রাজিলের নতুন কোচ কার্লোস আলবার্তো পেরেইরা দুঙ্গাকে ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপের চূড়ান্ত খেলায় প্রথম একাদশে রাখেন।
প্রকৃতপক্ষে রাই ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের অধিনায়করূপে খেলা শুরু করেন। কিন্তু ব্রাজিলের দূর্বল খেলা প্রদর্শনের জন্য মাজিনহো'র পাশাপাশি তিনিও বাদ পড়েন। ফলশ্রুতিতে দুঙ্গা চূড়ান্ত খেলায় অধিনায়কত্ব লাভ করেন এবং বিজয়ী হলে ট্রফি উত্তোলন করেন।
২০১০ সালে জাতীয় দলের কোচ ছিলেন তিনি। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব উত্তরণে ব্যর্থ হওয়ায় ব্রাজিলীয় ফুটবল কনফেডারেশন তাকে বরখাস্ত করে।[১][২] কিন্তু ২০১৪ সালে বিশ্বকাপে কার্লোস আলবার্তো পেরেইরা’র দলের ব্যর্থতার ফলে দুঙ্গাকে পুনরায় দ্বিতীয়বারের মতো কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপূর্বে ২০০৬-২০১০ সাল মেয়াদকালে ব্রাজিল দলকে পরিচালনা করেন দুঙ্গা। তার পরিচালনায় ব্রাজিল দল ২০০৭ সালের কোপা আমেরিকা ও ২০০৯ সালের ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ শিরোপা লাভ করে। এছাড়াও, ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল দল কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলার যোগ্যতা লাভ করেছিল।
২০১৩ সালে ইন্টারন্যাশিওনাল দলেরও প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন দুঙ্গা।