দুমাল্লা হল এক ধরনের পাগড়ি যা ভারতের শিখ ধর্মাবলম্বী ব্যাক্তিরা পরিধান করেন। দু শব্দের অর্থ দুটি এবং মাল্লা শব্দের অর্থ কাপড় এই দুই শব্দের মিলনে দুমাল্লা শব্দের সৃষ্টি। সাধারণত দুটি কাপড় ভাঁজ করে এই বিশেষ প্রকার পাগড়িটি প্রস্তুত করা হয়। দুমাল্লা বিভিন্ন আকার ও রঙের হয়।
দুমাল্লা পাগড়ির উৎপত্তি হয়েছে গুরু গোবিন্দ সিং-এর কনিষ্ঠ পুত্র ফতেহ সিং -এর আমল থেকে।[১][২] শিখ গুরুরা দুমাল্লা পরিধান করতেন এবং তাদের দেখে অন্যান্য শিখেরা দুমাল্লাকে পরিধান হিসাবে গ্রহণ করে।
দুমাল্লা পরিধানের আধুনিক পদ্ধতিতে সাধারণত চুল পেঁচিয়ে একটি খোপা তৈরি করে পাগড়ির ভিত্তি গোঁড়া প্রস্তুত করা হয় এবং তারপর একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এটি সাধারণত এমনভাবে বাঁধা হয় যে প্রথম স্তরটি একটি তির্যক মোড়কে ডান কানকে আবৃত করে দিয়ে বাম দিকের কপালের উপরের অংশের দিকে যায় এবং একইভাবে বাম কানকে আবৃত করে দিয়ে ডান দিকের কপালের উপরের অংশের দিকে যায়, তৃতীয় ভাঁজটি ভ্রুর উপরের অংশ জুড়ে একটি অনুভূমিক মোড়কে ডান কান থেকে মুখমণ্ডলের উপরের যায়। পাগড়ির বাকি অংশটি তৃতীয় মোড়কের মতো একই পদ্ধতি অনুসরণ করে বাঁধা হয়। তৃতীয় মোড়কটি প্রতিটি অতিরিক্ত মোড়কের উপরে মোড়ানো হয় যতক্ষণ না এটি পাগড়ির শীর্ষে পৌঁছায় এবং এরপর অতিরিক্ত কাপড়টি বিদ্যমান মোড়কে আটকে দিয়ে পাগড়ি সম্পূর্ণ করা হয়।
এটি একটি যোদ্ধা শৈলীর পাগড়ি যা শিখরা যুদ্ধে সময় পরতেন। চাঁদ তোরা শব্দের চাঁদ একটি ধাতব প্রতীক যা একটি অর্ধচন্দ্রাকার তলোয়ার এবং একটি দ্বিধারী তরোয়াল নিয়ে গঠশা। এই ধাতব প্রতীককে তোরা -র সাহায্যে পাগড়ির সামনের অংশে স্থিত রাখা হয়। তোরা হল হাতে বোনা একটি ধাতব চেন যা পাগড়ির মধ্যে বাঁধা থাকে। এটি অস্ত্রের আঘাত থেকে মাথা রক্ষা করে।
"গোল" মানে গোলাকার এবং তাই এই গোলাকার দুমাল্লাকে গোল দস্তার বলা হয়। তির্যক মোড়কের পরিবর্তে এই পাগড়িটি মাথার চারপাশে বেঁধে দেওয়া হয় এবং প্রতিটি মোড়ক শেষ অবধি যায়। এটি সাধারণত সবচেয়ে সহজ প্রকারের দুমাল্লা মূলত দমদমি তকসালের নেতাদের দ্বারা এটি জনপ্রিয় হয়েছিল।