দুরা আল-কার | |
---|---|
পৌরসভার ধরন-ডি | |
আরবি প্রতিলিপি | |
• আরবি | دورا القرع |
• Latin | Dura al-Qari' (official) Dura al-Qari'a or Dura al-Qara (unofficial) |
দেশ | ফিলিস্তিন |
গভর্নেটর | রামাল্লাহ ও আল-বিরহ |
সরকার | |
• ধরন | গ্রাম্যসভা |
আয়তন | |
• মোট | ৪০১৬ দুনামs (৪.০ বর্গকিমি or ১.৫ বর্গমাইল) |
উচ্চতা[১] | ৭২৮ মিটার (২,৩৮৮ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০০৭) | |
• মোট | ২,৮৯৭ |
• জনঘনত্ব | ৭২০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল) |
Name meaning | "a circle"[২] |
দুরা আল-কার ( আরবি: دورا القرع ) বা দুরা আল-কারিয়া হল মধ্য পশ্চিম তীরের একটি ফিলিস্তিনি শহর, রামাল্লা এবং আল-বিরহ গভর্নরেটের অংশ। ফিলিস্তিনি সেন্ট্রাল পরিসংখ্যান ব্যুরো মতে, ২০০৭ সালে দুরা আল-কার ২৮৯৭ জন বাসিন্দা ছিল।
শহরের মোট ভূমির পরিমাণ ৪০১৬ ডুনাম, যার মধ্যে ২৮৯১ ডুনাম ইসরায়েল দ্বারা বরাদ্দ করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই একটি বাই-পাস রাস্তা নির্মাণের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। দুরা আল-কার গ্রাম পরিষদের মতে, বাজেয়াপ্তকরণের দ্বারা ১৪২টি পরিবার সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ শহরের জনসংখ্যার ৫৮% আয়ের প্রধান উৎস হিসাবে এই জমিগুলির উপর নির্ভরশীল ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
দুরা এল কার রামাল্লার ৬.৬ কিলোমিটার (৪.১ মা) উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। এর সীমান্তে রয়েছে- পূর্বে আইন ইয়াবুরদ, উত্তরে আইন সিনভিয়া, পশ্চিমে জিপনা, আল-জালাজুন ক্যাম্প এবং সুরদা, আর দক্ষিণে আল-বিরহ।
গ্রামে রোমান এবং রোমান/বাইজান্টাইন যুগের পোটশার্ড পাওয়া গেছে।[৩]
উসমানীয় যুগের প্রথম দিকের পোটশার্ড এখানে পাওয়া গেছে।[৩]
১৮৩৮ সালে, এটি জেরুজালেমের উত্তরে বেনি হারিত জেলার একটি মুসলিম গ্রাম ছিল, পরে একে দুরাহ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।[৪]
১৮৬৩ সালে ভিক্টর গুয়েরিন দেখতে পান যে, গ্রামে ২৫০ জন বাসিন্দা রয়েছে। তিনি আরও বর্ণনা করেছেন যে, পুরানো ওকগুলি প্রাচীন ঝরনার জন্য ছায়াযুক্ত, যেগুলি মাঠে সেচের জন্য ব্যবহৃত হত। গ্রামের বেশ কিছু বাড়ি প্রাচীন পাথর দিয়ে আংশিকভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল, অন্তত।[৫] ১৮৭০ সালের একটি অটোমান গ্রামের তালিকায় দেখা গেছে যে, গ্রামের জনসংখ্যা ২২টি বাড়িতে ছিল ১২০ জন, যদিও জনসংখ্যার সংখ্যা শুধুমাত্র পুরুষদের অন্তর্ভুক্ত।[৬][৭]
১৮৮২ সালে, পিইএফ এর ওয়েস্টার্ন প্যালেস্টাইনের জরিপ (এসডব্লিউপি) দুরাহকে "একটি উপত্যকার পাশে একটি ছোট গ্রাম হিসাবে বর্ণনা করে যার দক্ষিণে ঝর্ণা এবং জলপাই গাছ রয়েছ্"।[৮] ১ে৯০৭ সালে, এটিকে "ছোট, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে অবস্থিত মুসলিম গ্রাম হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল। জিফনা খ্রিস্টানদের সাথে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের জন্য এর বাসিন্দাদের সুনাম রয়েছে। দুরাহের লোকেরা অনেক সবজি চাষ করে।"[৯]
১৮৯৬ সালে দুরা এল-কারার জনসংখ্যা প্রায় ২৪৬ জন বলে অনুমান করা হয়েছিল।[১০]
ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ ম্যান্ডেট কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত ১৯২২ সালের আদমশুমারিতে, দুরা এল কারে'র জনসংখ্যা ছিল ১৯১ জন, সবাইমুসলিম।[১১] ১৯৩১ সালের আদমশুমারিতে বেড়ে ৩০৩ জন হয়। এখনও সবাই মুসলিম, মোট বাড়ি ৭১টি।[১২]
১৯৪৫ সালের পরিসংখ্যানে জনসংখ্যা ছিল ৩৭০ জন, সবাই মুসলমান।[১৩] একটি সরকারি ভূমি ও জনসংখ্যা জরিপ অনুসারে মোট ভূমি এলাকা ছিল ৪১৬৬ ডুনাম।[১৪] এর মধ্যে ১৭৬২ ডুনাম আবাদ এবং সেচযোগ্য জমির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল, ১২৫৩ ডুনাম শস্যের জন্য[১৫] এবং ১৮ ডুনামকে গৃহ নির্মাণ এলাকা হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল।[১৬]
১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ১৯৪৯ সালের যুদ্ধবিগ্রহ চুক্তির পর, দুরা আল-কার' জর্ডানের শাসনের অধীনে আসে।
১৯৬১ সালের জর্ডানের আদমশুমারি দুরা আল-কার-এ ৫৭৬ জন বাসিন্দাকে খুঁজে পেয়েছে।[১৭]
১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের পর থেকে দুরা আল-কার' ইসরায়েলি দখলে রয়েছে।
১৯৯৫ সালের চুক্তির পর, গ্রামের মোট এলাকার ২৩.৩% এলাকা বি জমি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে, বাকি ৭৬.৭% এলাকা সি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। ইসরায়েল বেইত এল ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের জন্য ৬৮০ ডুনম গ্রামের জমি " বাজেয়াপ্ত " করে।[১৮]
১৪ আগস্ট, ১৯৯৫-এ, ২৪ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি ব্যক্তি খায়ের আবদেল হাফিদ কাসেম, বেইট এল থেকে একজন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর গুলিতে নিহত হন এবং অনেক লোককে গ্রেপ্তার করা হয়, যখন তিনি এবং দুরা আল-কারের প্রায় ১০০ জন বাসিন্দা গ্রামের বাইরে ইসরায়েলি ক্যানভাস আশ্রয়কেন্দ্র এবং সিন্ডার-ব্লক বিল্ডিংগুলি ভেঙে বসতি স্থাপনকারীদের তাড়ানোর চেষ্টা করছিল।[১৯]