![]() | এই নিবন্ধটিকে উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্পন্ন অবস্থায় আনতে এর বিষয়বস্তু পুনর্বিন্যস্ত করা প্রয়োজন। (জুলাই ২০১৫) |
দুর্গাপুর | |
---|---|
মহানগর | |
ঘড়ির কাঁটার দিকে : ইস্পাত নগরী দুর্গাপুরের রেল স্টেশন দুর্গাপুর মহানগরীর উপকন্ঠে অবস্থিত দুর্গাপুর বিমানবন্দরের টার্মিনাল দুর্গাপুর সিটি সেন্টার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে দুর্গাপুর হাটের প্রবেশ দ্বার | |
ডাকনাম: ভারতের রূঢ় ইস্পাত নগরী | |
সরকার | |
• ধরন | দুর্গাপুর পৌর সংস্থা |
• সংসদ সদস্য | সুরিন্দরজিত সিংহ আলুয়ালিয়া |
• সভাপতি, আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ | দিলীপ আগস্তি |
• পুলিশ কমিশনার, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট | বিনীত কুমার গোয়েল, আইপিএস ( আসানসোল- দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট) |
আয়তন | |
• মহানগর | ১৪৫.২০ বর্গকিমি (৫৬.০৬ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৬৫ মিটার (২১৩ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মহানগর | ৫,৬৬,৫১৭ |
• ক্রম | ৪র্থ |
• জনঘনত্ব | ৩,৯০০/বর্গকিমি (১০,০০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর[২] | ৫,৮০,৯৯০ |
• Metro rank | ৪র্থ |
• Demonym | দুর্গাপুরবাসী |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন/(Postal index number) | ৭১৩ ২xx, ৭১৩ ৩xx |
যানবাহন নিবন্ধন | পশ্চিমবঙ্গ ৩৯, পশ্চিমবঙ্গ-৪০/WB 39, WB-40 |
UN/LOCODE | IN CCU |
Telephone | +৯১-৩৪৩-XXX XXXX |
কথিত ভাষা | বাংলা, |
জাতিস্বত্ত | বাঙালি |
ওয়েবসাইট | www |
দুর্গাপুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম বর্ধমান জেলার একটি শহর ও পৌর কর্পোরেশনাধীন এলাকা। এটি পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ বৃহৎ মহানগর বা নগরাঞ্চল। ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের মানসপুত্র বলে পরিচিত এই শহর বিশ্বখ্যাত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানাটির জন্য। এছাড়াও এখানকার মিশ্র ইস্পাত কারখানাটি ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুর্গাপুরের শহরতলী অন্ডালে নির্মীয়মান দুর্গাপুর এরোট্রোপোলিস বা বিমাননগরীটি হল ভারতবর্ষের প্রথম বিমাননগরী। এন-আই-টি বা ন্যাশনাল ইন্ষ্টিটিউট অব টেকনলজি হল দুর্গাপুর শহরের অন্যতম গর্ব। এটি ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়।
দুর্গাপুর রাঢ় অঞ্চলে অবস্থিত। শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৩°২৯′ উত্তর ৮৭°১৯′ পূর্ব / ২৩.৪৮° উত্তর ৮৭.৩২° পূর্ব।[৩] সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৬৫ মিটার (২১৩ ফুট)
শহরটি দামোদর ও অজয় নদের অববাহিকা অঞ্চলে অবস্থিত। দুর্গাপুরের দক্ষিণ সীমান্তে একদা বাংলার দুঃখ বলে পরিচিত দামোদর ও উত্তর সীমান্তে অজয় নদ প্রবহমান। এছাড়াও, শহরাঞ্চলের ভিতর দিয়ে কুনুর, টুমনি, তামলা ও সিঙ্গারণ নামক চার'টি ছোট নদী বয়ে গেছে। প্রথম দু'টি অজয় নদ, ও, পরের দু'টি দামোদর নদের শাখানদী।
দুর্গাপুরের পানাগড় থেকে ক্রমশ পূর্বমুখে, ১৯ নং জাতীয় সড়ক (পুরাতন ২) ধরে বর্ধমান অভিমুখে যাত্রা করলে গাঙ্গেয় বাংলার উর্বর সমভূমি অঞ্চল পরবে যা গঙ্গা ও তার শাখানদী দ্বারা বয়ে আনা পলিমাটি দ্বারা পরিবেষ্টিত। অন্যদিকে, পশ্চিমদিকটি ছোটোনাগপুর মালভূমির পাদদেশ সন্নিবেষ্ট অঞ্চল যেখানকার মাটি তুলনামূলক ভাবে অনুর্বর, রুক্ষ, অসম ও তার রঙ হল লাল। গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলটি বহুফসলি এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রধান ধান-উৎপাদনকারী অঞ্চল। পশ্চিমের মাটি তুলনামূলক ভাবে অনুর্বর হওয়ায়ে, অঞ্চলটি মূলতঃ একফসলি। সম্ভবতঃ এই কারণেই, এই অঞ্চলটি শিল্পপ্রধান অঞ্চল। এই শিল্পাঞ্চলটি পশ্চিমবঙ্গের সর্ববৃহত্তম শিল্পাঞ্চল।
দুর্গাপুর শহরাঞ্চলের ভৌগোলিক আয়তন ১২৭.১ বর্গ কি.মি.। পূর্ব-পশ্চিম দিক বরাবর (পূর্বে পানাগড় থেকে পশ্চিমে অন্ডাল পর্যন্ত) শহরের বিস্তৃতি প্রায় ৪০ কি.মি.। উত্তর-দক্ষিণ দিক বরাবর (উত্তরে শিবপুর-অজয়ঘাট থেকে দক্ষিণে ন'ডিহা পর্যন্ত) শহরের বিস্তৃতি প্রায় ২২ কি.মি.। ভৌগোলিক বিস্তৃতি ও আয়তনের বিচারে দুর্গাপুর শহরাঞ্চল হল পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় ও পূর্বোত্তর ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম শহরাঞ্চল।
দুর্গাপুর পশ্চিম বর্ধমান জেলার একটি মহকুমা শহর। এটি দুর্গাপুর মহকুমা-র সদর শহর। দুর্গাপুর মহকুমার পূর্বদিকে বর্ধমান জেলার অন্তর্গত বর্ধমান সদর (উত্তর) মহকুমা, পশ্চিমদিকে ওই জেলার-ই আসানসোল মহকুমা, উত্তর-পশ্চিম দিকে বীরভূম জেলার সিউড়ী মহকুমা, উত্তর-পূর্ব দিকে ওই জেলার-ইবোলপুর মহকুমা, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া সদর মহকুমা ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাঁকুড়া জেলার-ই বিষ্ণুপুর মহকুমা অবস্থান করে। এছাড়াও প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড-এর ধানবাদ ও গিরীডিহ্ জেলাগুলিও এই শহরের কাছাকাছি অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী, কলকাতার সঙ্গে দুর্গাপুরের ভৌগোলিক দূরত্ব ১৮৫ কি.মি.। গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড বা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে বা ১৯ নং জাতীয় সড়ক/NH 19(পুরাতন ২), এই শহরের বুক চিরে চলে গেছে। শহরের পান্ডবেশ্বর এলাকা দিয়ে ১৪ নং জাতীয় সড়ক বা NH 14(পুরাতন ৬০) ওড়িশা অভিমুখে চলে গেছে। হাওড়া-দিল্লী প্রধান রেলপথটি, শহরের একেবারে ভিতর দিয়ে চলে গেছে। শহরতলীর অন্ডাল জংশন থেকে অন্ডাল-সাঁইথিয়া শাখা রেলপথটি সাঁইথিয়া জংশন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে ও তারপর সেখানে সাহেবগঞ্জ লুপের সঙ্গে সংযুক্তি ঘটে। পূর্বোক্ত দু'টি রেলপথ-ই পূর্ব রেল-এর আসানসোল ডিভিশনের অন্তর্ভুক্ত।
ভারতের ২০১১ সালের আদম শুমারি বা জনগণনা অনুসারে দুর্গাপুর শহরের জনসংখ্যা হল ৫,৮১,৪০৯ জন।[৪] এর মধ্যে পুরুষের জনসংখ্যা হল ৩,০১,৭০০, এবং নারীর জনসংখ্যা হল ২,৭৯,৭০৯। ৬ বছরের অনূর্ধ্ব বয়সীদের জনসংখ্যা হল ৫১,৯৩০। ৭ বছর বয়সী বা তার উর্দ্ধে যাদের বয়স, তাদের স্বাক্ষরতার হার ৮৭.৭০। পুরুষদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৯২.০১% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৮৩.০৩%। সারা ভারতের জাতীয় শহরাঞ্চলীয় গড় স্বাক্ষরতার হার ৮৫%, তার চাইতে দুর্গাপুর এর সাক্ষরতার হার বেশি। লিঙ্গ অনুপাত হল প্রতি ১০০০ জন পুরুষের অনুপাতে ৯২৭ জন নারী। জাতীয় শহরাঞ্চলীয় গড় হল প্রতি ১০০০ জন পুরুষের অনুপাতে ৯২৬ জন নারী।
এই শহরের জনসংখ্যার ৮.৯৩% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
২০১১ সালের আদম শুমারি বা জনগণনা অনুসারে দুর্গাপুর শহরকে প্রথম শ্রেণীভুক্ত নগরাঞ্চল বা CLASS I URBAN AGGLOMERATION-এর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুর মেট্রোপলিটান এরিয়া ভারতের অন্যতম সম্ভবনাময় মহানগর অঞ্চল। [৪]
রাজ্যের বাকি অংশগুলির মত দুর্গাপুরের মোট জনসংখ্যার অধিকাংশ হল বাংলাভাষী। তবে হিন্দীভাষীদের সংখ্যাও কম নয়। এছাড়াও কসমোপলিটান শিল্পশহর হওয়ার দরুন এখানে মরাঠি, তামিল, তেলুগু, মালায়ালি, গুজরাতি, উর্দু, নেপালী ও পঞ্জাবি ভাষাভাষিদের উপস্থিতিও লক্ষণীয়।
দুর্গাপুরের মোট জনসংখ্যার অধিকাংশ হল হিন্দুধর্মাবলম্বী। ইসলামধর্ম দুর্গাপুরের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। এছাড়াও শিখ, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও জৈনধর্মাবলম্বীদের বসবাস রয়েছে এই দুর্গাপুরে।
দুর্গাপুরের সবসময় গর্বান্বিত করে এসেছে এখানকার বহুভাষা ও বহুধর্মের শান্তিপূর্ণ, ভ্রাতৃত্বসুলভ, সম্প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থান ও একে অপরের প্রতি আন্তরিকতা, যা ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে মডেল হিসাবে বহুচর্চিত।
দুর্গাপুর শহর, সড়কপথ ও রেলপথ, দ্বারা ভারতবর্ষের বাকি অংশ ও শহরগুলির সঙ্গে ভালো ভাবে যুক্ত রয়েছে। যেহেতু রাঢ়বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও সেভাবে উন্নত হয়নি, সেহেতু, সু-যোগাযোগ ব্যবস্থা-সম্পন্ন দুর্গাপুর শহরই হল, সমগ্র রাঢ়বাংলার প্রধান প্রবেশদ্বার। দামোদর ও অজয় নদের ওপর, যথাক্রমে, দুর্গাপুর ব্যারেজ ও অজয় সেতু নির্মিত হওয়ার পর, উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারত-এর সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ ও দক্ষিণ ভারত-এর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুদৃঢ় হয়েছে এবং তার সাথে সুপরিকল্পিত ও সু-উন্নত TRANSIT POINT হিসাবে, দুর্গাপুর শহরের গুরুত্বও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯নং জাতীয় সড়ক ও ৯নং রাজ্য সড়ক শহরের সীমানার ভিতর দিয়ে চলে গেছে। শহরের উপকন্ঠে পানাগড় শহরতলী থেকে পানাগড়-মোরগ্রাম মহাসড়ক বীরভূম জেলার দুবরাজপুর পর্যন্ত গেছে। রেলযোগে দিল্লী, মুম্বাই, চেন্নাই, গোরক্ষপুর, ইন্দৌর, ভোপাল, জব্বলপুর, নাগপুর, বিশাখাপত্তনম, অমৃতসর, জম্মু, গুয়াহাটি, ডিব্রুগড় প্রভৃতি শহরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। দূরপাল্লার বাসযোগেও দুর্গাপুর সংযুক্ত ভারতবর্ষের বাকি অংশ ও শহরগুলির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি এবং গুরুত্বপূর্ণ শিল্প শহর হওয়ার কারণে, দুর্গাপুর শহরের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, যথেষ্ট উন্নত। মেলগাড়ি, এক্সপ্রেস, ইন্টার-সিটি, গরীব-রথ, সহ একাধিক দ্রুতগতিসম্পন্ন গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন কলকাতা ও দুর্গাপুরের মধ্যে দৈনিক ভিত্তিতে আসা-যাওয়া করে। শিয়ালদহ-নয়াদিল্লী রাজধানী এক্সপ্রেস, হাওড়া-রাঁচী শতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-পাটনা জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, পূর্বা এক্সপ্রেস, কালকা মেল, অমৃতসর মেল, হাওড়া-মুম্বাই মেল, চেন্নাই-গুয়াহাটী এক্সপ্রেস, কামাখ্যা এক্সপ্রেস, প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ, দ্রুতগতিসম্পন্ন, দূরপাল্লার ট্রেন দুর্গাপুর স্টেশনে থামে। দুর্গাপুর শহরের প্রধান রেল স্টেশন দুর্গাপুর [DGR]। শহরের প্রধান জংশন রেল স্টেশন অন্ডাল জংশন রেলওয়ে স্টেশন[UDL]। মহানগরের পশ্চিম-প্রান্তে অবস্থিত এই রেল স্টেশন থেকে পূর্ব রেলেরঅন্ডাল-সাঁইথিয়া শাখা রেলপথটি সাঁইথিয়া জংশন অভিমুখে চলে গেছে। সাঁইথিয়া জংশনের কিছুটা আগে এই রেলপথ হাওড়া-বর্ধমান-বারহারওয়া-সাহেবগঞ্জ রেলপথ-এর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। দুর্গাপুর-অন্ডাল রেল স্টেশনগুলি পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের অন্তর্ভুক্ত।
এছাড়াও দুর্গাপুর মহানগরের অন্যান্য স্টেশনগুলি :-
১.১] হাওড়া-দিল্লী প্রধান রেলপথ-এর অন্তর্ভুক্ত (বর্ধমান-দুর্গাপুর অংশ)
১.২] হাওড়া-দিল্লী প্রধান রেলপথ-এর অন্তর্ভুক্ত (দুর্গাপুর-অন্ডাল অংশ)
২] অন্ডাল-সাঁইথিয়া শাখা রেলপথ
দুর্গাপুর শহরাঞ্চলের সড়কগুলির পরিকাঠামো ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, সম্ভবত ভারতের সেরা ও সুরক্ষিত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। দুর্গাপুর শহর, লাগোয়া বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান জেলার মধ্যাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বীরভূম জেলার মুখ্য প্রবেশদ্বার হিসাবে গণ্য হয়ে থাকে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে বা ঐতিহাসিক জি-টি রোড, যাকে ১৯ নং জাতীয় সড়কও বলা হয়, এই শহরাঞ্চলের একেবারে মাঝ বরাবর এলাকা দিয়ে চলে গেছে। আবার শহরের সগড়ভাঙ্গা ও মুচিপাড়া, এই দুই এলাকার সংযোগস্থলে, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে দক্ষিণ দিকে চলে গেছে ৯ নং রাজ্য সড়ক, যেটি দুর্গাপুর ব্যারেজ পেরিয়ে, বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড়, বাঁকুড়া সদর, ওন্দাল, বিষ্ণুপুর, ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা, শালবনী, চন্দ্রকোণা রোড, মেদিনীপুর সদর, খড়গপুর, লালগড়, গোপীবল্লভপুর হয়ে বাংলা-ঊড়িষ্যা (ওড়িশা) সীমান্তবর্তী খারিকা পর্যন্ত গিয়েছে ও, তৎপরবর্তী বাংলা-ঊড়িষ্যা (ওড়িশা) সীমান্ত পেরিয়ে ২৮ নং ওড়িশা রাজ্য সড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। দুর্গাপুরের শহরতলী পানাগড়ের দার্জিলিং মোড় থেকে পানাগড়-মোরগ্রাম মহাসড়ক-টি, প্রথমে বীরভূম জেলার দুবরাজপুর পর্যন্ত স্বতন্ত্র ভাবে, ও তারপর, দুবরাজপুর থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার মোরগ্রাম পর্যন্ত ১৪ নং জাতীয় সড়কের সাথে সুংযুক্ত ভাবে যাত্রা করার পর, তৎপরবর্তী উত্তরবাংলাগামী ৩৪ নং জাতীয় সড়কের সাথে সংযুক্তিকরণ হয়েছে। দুর্গাপুরের আরেক শহরতলী পান্ডবেশ্বরের ভিতর দিয়ে ১৪ নং জাতীয় সড়ক-টি চলে গেছে।
শহরের অন্যতম বৃহৎতম বিমানবন্দর শহরের সিটি সেন্টারের থেকে ২৫কি.মি দূরে অন্ডালে অবস্থিত কাজী নজরুল ইসলাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এখন থেকে কেবলমাত্র '''দিল্লি'''তে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিমান উপলব্ধ। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান আইর ফোর্সের অর্জন সিংহ আইরবেস শহরের পানাগড়-এ অবস্থিত। ডি এস পীর একটি প্রাইভেট এএরড্রোম অর্ধ নির্মিত অবস্থায় রয়েছে।
দুর্গাপুরে নিজস্ব কয়েকটি ইলেকট্রনিক মিডিয়া হাউস রয়েছে যেমন এক্সপ্রেস নিউজ, দুর্গাপুর দর্পণ। এছাড়া সিটি সেন্টারে আনন্দবাজার পত্রিকা অফিস রয়েছে। দুর্গাপুরে কোনও এফ.এম. স্টেশন নেই, তবে অল ইন্ডিয়া রেডিও ১০০.৩ এফএম, ৯২.৭ বিগ এফএম, ৯৩.৫ রেড এফএম এর স্টেশন রয়েছে আসানসোলে [28]। এই সব স্টেশনের সংকেত দুর্গাপুরের অনেক জায়গাতে সময় বিশেষে উপলব্ধ হয়।
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; 2011 pp tableA2
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; kolkatauapop2011
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
|accessyear=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
|accessyear=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|access-date=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
![]() |
পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |