দে হুনদে ইনসেগলেত

দে হুনদে ইনসেগলেত
পরিচালকইংমার বারিমান
প্রযোজকAllan Ekelund
রচয়িতাইংমার বারিমান
শ্রেষ্ঠাংশেGunnar Björnstrand
Bengt Ekerot
Nils Poppe
Max von Sydow
বিবি আন্দারসন
Inga Landgré
Åke Fridell
সুরকারErik Nordgren
চিত্রগ্রাহকGunnar Fischer
সম্পাদকLennart Wallén
পরিবেশকAB Svensk Filmindustri
মুক্তি
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭ (1957-02-16) (Sweden)
  • ১৩ আগস্ট ১৯৫৮ (1958-08-13) (United States)
স্থিতিকাল৯৬ মিনিট[]
দেশসুইডেন
ভাষাসুয়েডীয়
Latin
নির্মাণব্যয়১,৫০,০০০ মার্কিন ডলার (অনুমিত)

দে হুনদে ইনসেগলেত (সুইডীয়: Det sjunde inseglet বা দে হুনদে ইনসেগলেত, বাংলা: সপ্তম সীল) ইংমার বারিমান পরিচালিত একটি সুয়েডীয় চলচ্চিত্র যা ১৯৫৭ সালে মুক্তি পায়।[] বারিমান সুইডেনের মাল্মো শহরের একটি থিয়েটার স্কুলে পড়ানোর সময় শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে একটি মঞ্চনাটক লিখেছিলেন "ত্র্যামলনিং" (কাষ্ঠচিত্র) নামে, এই নাটকটি থেকেই পরবর্তীকালে এই সিনেমা তৈরি করেন।

সিনেমার নামটি নেয়া হয়েছে বাইবেলের প্রতিবোধন গ্রন্থের একটি কাহিনী থেকে যেখানে বলা আছে, যীশু যখন প্রতিবোধন গ্রন্থের ৭টি সিলমোহরের একেকটি খুলতে থাকবেন তখন পৃথিবীতে একেকট বিপর্যয় নেমে আসবে, সবশেষে সপ্তম সিলটি খোলার পর স্বর্গের ৭জন দেবদূত তাদের শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার জন্য প্রস্তুত হবেন। সিনেমার শুরুতে সেই গ্রন্থের একটি উক্তি পড়া হয়: "এবং যখন মেষপালক সপ্তম সিলটি খুললেন তখন স্বর্গের সবকিছু আধঘণ্টা ব্যাপী একদম নীরব ছিল"। এখানে নিরবতা বলতে ঈশ্বরের নিরবতার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে যা সিনেমাটির মুখ্য বিষয়বস্তু।[]

কাহিনীসংক্ষেপ

[সম্পাদনা]

চতুর্দশ শতকের মাঝামাঝি কোনো এক সময়ে আন্তোনিয়ুস ব্লক নামক এক নাইট তার অনুচরকে সাথে নিয়ে ক্রুসেড থেকে স্বদেশে ফিরেছে, চলেছে নিজগৃহের পানে; চতুর্দিকে প্লেগের মহামারী, কৃষ্ণমৃত্যু। মৃত্যু স্বয়ং (সিনেমার একটি চরিত্র হিসেবে) এসে তার সামনে উপস্থিত হয় তার জান কবজ করার জন্য। কিন্তু সে মৃত্যুকে দাবা খেলায় রাজি করায়। কথা হয়, যতক্ষণ খেলা চলবে ততক্ষণ মৃত্যু তাকে মারবে না, আর জিতে গেলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।

নাইটের চারদিকে ধর্ম হয়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর উন্মাদনা, সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। একটি মেয়েকে ডাইনী সাব্যস্ত করে পোড়ানো হচ্ছে, কিন্তু নাইটের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে যেন তার মৃত্যু নেই, নাইট জানতে চায় শয়তানের সাথে মেয়েটির কী কথা হয়েছে। নাইট তার অনুচর, একটি ভ্রাম্যমাণ নাটক দলের দুই সদস্য (ইয়ফ ও তার স্ত্রী মিয়া) ও তাদের শিশুপুত্র এবং একটি বোবা-কালা মেয়েকে নিজ দায়িত্বে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে চায়, যেখানে প্লেগ তাদের স্পর্শ করতে পারবে না।

মৃত্যু একে একে সবাইকে গ্রাস করতে থাকে। কিন্তু দাবা খেলার ছলে নাইট মৃত্যুকে ব্যস্ত রাখে যাতে সেই সুযোগে ইয়ফ স্ত্রী-পুত্র সহ নিরাপদে দূরে সরে যেতে পারে। কারণ মিয়া'র দেয়া বুনো স্ট্রবেরি আর দুধ খেতে গিয়েই নাইট জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছিল, ঈশ্বরের অনুসন্ধান বা মৃত্যুর সাথে দাবা খেলেও যেখানে কোনো অর্থ মিলেনি।[]

চরিত্রসমূহ

[সম্পাদনা]
  • Max von Sydow – আন্তোনিয়ুস ব্লক, নাইট
  • Bengt Ekerot – মৃত্যু
  • Gunnar Björnstrand – ইয়ন্স, নাইটের অনুচর
  • Nils Poppe – ইয়ফ
  • Bibi Andersson – মিয়া, ইয়ফের স্ত্রী
  • Åke Fridell – কর্মকার প্লগ
  • Inga Gill – লিসা, কর্মকারের স্ত্রী
  • Erik Strandmark – ইয়োনাস স্কাত
  • Bertil Anderberg – রাভাল, চোর
  • Gunnel Lindblom – বোবা মেয়ে
  • Maud Hansson – ডাকিনী
  • Inga Landgré – কারিন, নাইটের স্ত্রী
  • Gunnar Olsson – আলবের্তুস পিক্তর, গীর্জার চিত্রকর
  • Anders Ek – ভিক্ষু
  • Lars Lind – তরুণ ভিক্ষু
  • Benkt-Åke Benktsson – বণিক
  • Tor Borong – কৃষক
  • Gudrun Brost – পরিচারিকা
  • Harry Asklund – সরাইখানার মালিক
  • Ulf Johanson – জ্যাক-এর নেতা

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "THE SEVENTH SEAL (X)"British Board of Film Classification। ২৫ অক্টোবর ১৯৫৭। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৩ 
  2. The Seventh Seal ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে, Bergmanorama
  3. Melvyn Bragg (1998). The Seventh Seal (Det Sjunde Inseglet). BFI Publishing. p. 45.

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]