দেইরুস সুদান | |
---|---|
পৌরসভার ধরন-সি | |
আরবি প্রতিলিপি | |
• আরবি | دير السودان |
দেশ | ফিলিস্তিন |
গভর্নেটর | রামাল্লাহ ও আল-বিরহ |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
জনসংখ্যা (২০০৭) | |
• মোট | ১,৯৯১ |
Name meaning | "The monastery of the negroes"[১] |
দেইরুস সুদান ( আরবি: دير السودان ) হলো রামাল্লাহ এবং আল-বিরহ গভর্নরেটের একটি ফিলিস্তিনি শহর। রামাল্লা থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পশ্চিম তীরের উত্তরে অবস্থিত। ফিলিস্তিনি সেন্ট্রাল পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য (পিসিবিএস) মতে, ২০০৭ সালে শহরে প্রায় ১৯৯১ বাসিন্দা ছিল।
দেইরুস সুদান, রামাল্লার ১৪.৭ কিলোমিটার (৯.১ মা) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। এর পূর্বে আজজুল, উত্তরে বনি জাইদ আল-শারকিয়া , পশ্চিমে কাফর আইন, দক্ষিণে উম্মে সাফা এবং আন নবী সালিহ অবস্থিত।[২]
বাইজেন্টাইন, [৩] ক্রুসেডার / আইয়ুবিদ [৪] এবং মামলুক [৪] যুগের সিরামিক শেডগুলি এখানে পাওয়া গেছে।
১৫১৭ সালে, গ্রামটিকে প্যালেস্টাইনের বাকি অংশের সাথে অটোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ১৫৯৬ সালের ট্যাক্স-রেকর্ডে এটি দাইরুস সুদান হিসাবে আবির্ভূত হয়, যা আল-কুদসের লিওয়া কুদসের নাহিয়াতে অবস্থিত। জনসংখ্যা ছিল ১৪টি পরিবারের মধ্যে, সবাই মুসলমান ছিল । তারা মাঝে মাঝে রাজস্ব ছাড়াও গম, বার্লি, জলপাই গাছ, আঙ্গুর ক্ষেত/ফল গাছ, ছাগল এবং মৌমাছির মতো কৃষি পণ্যের উপর ৩৩.৩% এর একটি নির্দিষ্ট কর হার প্রদান করেছিল; যার পরিমাণ ছিল মোট ৩৪০০ একসি।[৫] আদি অটোমান যুগের মৃৎপাত্রও এখানে পাওয়া গেছে। [৪] ১৯৩৮ সালে, এটি জেরুজালেমের উত্তরে বেনি জেইদ জেলার একটি মুসলিম গ্রাম হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল।[৬] ১৮৭০ সালের একটি অটোমান গ্রামের তালিকায় ২২টি বাড়ি এবং ৯০ জন জনসংখ্যা নির্দেশ করা হয়েছে, যদিও জনসংখ্যার গণনা শুধুমাত্র পুরুষদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৭][৮] ১৮৮২ সালে, পিইএফ এর পশ্চিম ফিলিস্তিনের সার্ভে অনুযায়ী দেইরুস সুদানকে এভাবে বর্ণনা করে: "একটি মাঝারি আকারের গ্রাম হিসাবে, এর পশ্চিমে একটি পাহাড়ের ঢালে একটি কূপ, চারদিকে জলপাই গাছ আছে।"[৯] ১৮৯৬ সালে দেইরুস সুদানের জনসংখ্যা অনুমান করা হয়েছিল প্রায় ১৫৩ জন।[১০]
ব্রিটিশ ম্যান্ডেট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিচালিত ফিলিস্তিনের ১৯২২ সালের আদমশুমারিতে দাইরুস সুদান নামে গ্রামটির জনসংখ্যা ছিল ১৭৩ জন, তারা সবাই মুসলিম ছিল।[১১] ১৯৩১ সালের আদমশুমারিতে ৫৩টি বাড়িতে ২৪৩ জন মুসলমান ছিল।[১২] ১৯৪৫ সালের পরিসংখ্যানে দেইরুস সুদানের জনসংখ্যা ছিল ২৮০ জন মুসলমান।[১৩] একটি সরকারী জমি ও জনসংখ্যার জরিপ অনুযায়ী এখানে ৪৪৯৮ ডুনাম জমি ছিল।[১৪] এর মধ্যে ২৪১৬ ডুনাম ছিল আবাদ এবং সেচযোগ্য জমি, ৮৪১ যুনাম শস্যের জন্য,[১৫] এবং ১৫ ডুনাম গৃহ নির্মাণের জন্য ছিল।[১৬]
১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ১৯৪৯ সালের যুদ্ধ চুক্তির পর, দেইরুস সুদান জর্ডানের শাসনের অধীনে আসে। ১৯৬১ সালের জর্ডানের আদমশুমারিতে দেইরুস সুদানে ৪৮৬ জন বাসিন্দা পাওয়া গেছে।[১৭]
১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের পর থেকে, দেইরুস সুদান ইসরায়েলের দখলে রয়েছে । ১৯৯৫ সালের চুক্তির পর, গ্রামের মোট এলাকার ৫৭.২% এলাকা 'এ' জমি হিসাবে, ৬.৫% এলাকা 'বি' জমি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, বাকি ৩৬.৩% এলাকা 'সি' হিসাবে ধরা হয়েছে। [১৮]