দেউকালিয়ন

গ্রিক পুরাণে, দেউকালিয়ন ছিল প্রমিথিউসওকেয়ানিদ প্রোনয়য়ার পুত্র। সে এপিমেথেউসপান্দোরার কন্যা পাইরাকে বিয়ে করে এবং পাইরার গর্ভে তার ঔরসে হেল্লেন, আম্ফিক্তিয়নওরেস্থেউস নামে তিনজন পুত্র এবং প্রোতোজেনেইয়া, পান্দোরা ২য়থায়ইয়া নামে তিনজন কন্যার জন্ম হয়। দেউকালিয়ন ও পাইরার পৌত্রদের নামগুলো হল - আইয়োলুস, আইথলিউস, দোরুস, গ্রাইকুস, মাকেদ্নস, মাগ্নেসজুথুস। মানুষ এর ক্রমবর্ধমান অন্যায় অত্যাচার এ ক্ষুব্ধ জিউস এক বের সারা পৃথিবী কে মহাপ্লাবন এ ভাসিয়া দেন . এই প্লাবন এ পৃথিবীর সকল মানব দানব নিশ্চিন্ন হয়ে যায়। জিউসের ইচ্ছায় ৯ দিন ধরা চলে প্লাবন এ সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেলেও বেঁচে গেল দেউকালিয়ন ও তার স্ত্রী পীরা। পিতা প্রমিথিউস এর সতর্কবানী শুনে বন্যা-প্লাবন এর পূর্বেই পিতার নির্দেশ মতো নৌকা তৈরি করেন ও প্লাবন র পূর্বাভাস পাওয়ার সাথে সাথে স্ত্রী কে নিয়ে নৌকায় উঠেন। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর তারা নৌকা নিয়ে পার্সেনাস পর্বতের পাদদেশ এ আসেন। সেখানে দৈব বানীর মাধ্যমে হের্মিস তাদের নির্দেশ দান ' তোমরা তোমাদের মায়ের হাড়গুলো ছুড়ে মারতে থাকো" প্রথমে নির্দেশ বুঝতে না পারলেও পড়ে বুঝেন থেমিস মা বলতে ধরিত্রী মাতা গাইয়াকে ও হাড় বলতে প্রস্তর খন্ড কে বুঝিয়াছেন। অর্থ খুঁজে পাওয়ার পর পীরা ও দেউকালিয়ন পাহাড় থেকে পাথর এনে তা ছুড়ে মারেন। দেউকালিয়ন যে পাথর ছুরেছিল তা থেকে পুরুষ ও পীরার ছুড়ে মারা পাথর থেকে নারীর জন্ম হয়। আর এ ভাবেই জন্মায় নাই নতুন পৃথিবীর নতুন নর-নারী।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]