দেবপ্রয়াগ | |
---|---|
উপরে কেন্দ্রস্থলে রঘুনাথ মন্দির দৃশ্যমান | |
ভারতের উত্তরাখণ্ডে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩০°০৮′৪৫″ উত্তর ৭৮°৩৫′৫৫″ পূর্ব / ৩০.১৪৫৮৩° উত্তর ৭৮.৫৯৮৬১° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | উত্তরাখণ্ড |
জেলা | তেহরি গাড়োয়াল |
উচ্চতা | ৮৩০ মিটার (২,৭২০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ২,১৪৪ |
ভাষা | |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
ডাক সূচক সংখ্যা | ২৪৯১২২ |
যানবাহন নিবন্ধন | ইউকে |
দেবপ্রয়াগ হল ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের তেহরি গাড়োয়াল জেলার একটি শহর এবং একটি নগর পঞ্চায়েত (পৌরসভা)। এ ছাড়া এর কিছু অঞ্চল পৌরি গাড়োয়াল জেলার অধীনে আছে। দেবপ্রয়াগ ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ মহাসড়কে অবস্থিত।[১][২] এই অঞ্চলটি অলকানন্দা নদীর পঞ্চ প্রয়াগের (পাঁচটি সঙ্গম) একটি, যেখানে অলকানন্দা এবং ভাগীরথী নদী মিলিত হয় এবং গঙ্গা নামটি ধারণ করে।
ঐতিহ্যগতভাবে, এটি সেই জায়গায় ঋষি দেব শর্মা তাঁর তপস্বী জীবন কাটিয়ে ছিলেন, তাঁর নাম থেকে এর বর্তমান নাম দেবপ্রয়াগ হয়েছে। এটি পাহাড়ের পাঁচটি পবিত্র সঙ্গমস্থলের একটি এবং এটি ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান।[৩]
সংস্কৃত ভাষায় দেবপ্রয়াগ এর অর্থ ঐশ্বরীয় সঙ্গম। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, দেবপ্রয়াগ হল দুটি স্বর্গীয় নদী অলকানন্দা এবং ভাগীরথীর একীভূত হয়ে পবিত্র গঙ্গানদী গঠনের স্থান। গ্রামের উপরের অংশে একটি চাতালে রঘুনাথজি মন্দির রয়েছে, বিশাল আকারের পাথর দ্বারা নির্মিত, পিরামিডের আকারে, মাথায় একটি সাদা গম্বুজ আছে।[৪]
দেবপ্রয়াগ হল প্রয়াত আচার্য পণ্ডিত চক্রধর জোশীর (জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের এক পণ্ডিত) বাড়ি, যিনি ১৯৪৬ সালে নক্ষত্র ভেদশালা (একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটি দেবপ্রয়াগে দশরথঞ্চল নামে একটি পাহাড়ে অবস্থিত। জ্যোতির্বিদ্যায় গবেষণাকে সাহায্য করার জন্য এই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রটিতে দুটি টেলিস্কোপ এবং অনেকগুলি বই আছে।
দেবপ্রয়াগ চারদিকে দিয়ে তিনটি ঐশ্বরীয় শিখর দ্বারা বেষ্টিত, তাদের নাম গিদ্ধঞ্চল পর্বত, দশরথঞ্চল পর্বত এবং নরসিংহঞ্চল পর্বত। রঘুনাথজি মন্দিরের শীর্ষে আছে গিদ্ধঞ্চল পর্বত। নরসিংহঞ্চল পর্বত গিদ্ধঞ্চল পর্বতের সামনে এবং দশরথঞ্চল পর্বত "সঙ্গম" স্থলের ডানদিকে রয়েছে।
দেবপ্রয়াগ তিনটি ভাগে বিভক্ত। একটি হল বাহ বাজার (পৌরির পাশের অংশ), দ্বিতীয়টি হল বিচ বাজর (৫৮ নম্বর হাইওয়ের পাশে) এবং তৃতীয়টি শান্তিবাজার, দেবপ্রয়াগের প্রধান বাসস্ট্যান্ড।
উত্তরাখণ্ডে তিব্বত সীমান্তের কাছে সতোপন্থ এবং ভাগীরথ খড়ক হিমবাহের সঙ্গমস্থলের নিচে অলকানন্দার জন্ম। হিমালয়ের গাঢ়োয়ালের গঙ্গোত্রী হিমবাহ এবং খাতলিং হিমবাহের পাদদেশে গোমুখ থেকে ভাগীরথীর উৎস। এই দুটি পবিত্র নদী দেবপ্রয়াগে গঙ্গা গঠন করেছে। দেবপ্রয়াগ ঋষিকেশ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে। দেবপ্রয়াগের গড় উচ্চতা হল ৮৩০ মিটার (২,৭২৩ ফুট)।
ভারতের আদমশুমারি ২০০১-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ],[৫] দেবপ্রয়াগের জনসংখ্যা হল ২১৪৪। এর মধ্যে পুরুষ ৫২%, এবং নারী ৪৮%। দেবপ্রয়াগে শিক্ষার গড় হার ৭৭%, যা জাতীয় গড় ৭৪.৫% এর চেয়ে বেশি। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮২%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭২%। এই শহরের জনসংখ্যার ১৩% এর ছয় বছর বা তার কম।