ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | দেবাং জয়ন্ত গান্ধী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ভবনগর, গুজরাত, ভারত | ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, প্রশাসক, ধারাভাষ্যকার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২২১) | ১০ অক্টোবর ১৯৯৯ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১০ ডিসেম্বর ১৯৯৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১২৭) | ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩০ জানুয়ারি ২০০০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ |
দেবাং জয়ন্ত গান্ধী (মারাঠি: देवांग गांधी; জন্ম: ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১) গুজরাতের ভবনগর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, প্রশাসক ও ধারাভাষ্যকার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর শেষদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বাংলা ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব এবং যুক্তরাজ্যের এসেক্স ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে করতেন কখনো কখনো দেবাং গান্ধী।
১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দেবাং গান্ধী’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।
ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে রঞ্জী ট্রফিতে বাংলা এবং দিলীপ ট্রফিতে পূর্ব অঞ্চলের পক্ষে খেলেছেন। এছাড়াও, নর্থ ওয়ালস ক্রিকেট লীগে গিরসিল্ট পার্ক সিসি’র পক্ষে দুই মৌসুম খেলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ি জীবনে ভারতের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে দেবাং গান্ধী চারটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন দেবাং গান্ধী। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শুরুতে বেশ সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়ের মর্যাদা পেলেও শর্ট পিচের বোলিংয়ের বিপক্ষে দুর্বলতার কারণে তার অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে পড়ে। ১০ অক্টোবর, ১৯৯৯ তারিখে মোহালিতে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে অ্যাডিলেডে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৯৯ সালে মোহালিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে দেবাং গান্ধী’র। তবে, প্রথম ইনিংসে তিনি শূন্য রানে বিদেয় নেন। কিন্তু, দ্বিতীয় ইনিংসে সহজাত ভঙ্গিমায় খেলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে দলে স্থান করে নেন। এ পর্যায়ে সদাগোপান রমেশের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ১৩৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় টেস্টেও এ ধারা অব্যাহত রাখেন। ঐ টেস্টে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। ৮৮ ও অপরাজিত ৩১ রান তুলেন দলকে ৮ উইকেটের জয়ে বিরাট ভূমিকা রাখেন।
ঐ সিরিজে ভারত দল ১-০ ব্যবধানে জয় পায়। তিন টেস্ট শেষে তার ব্যাটিং গড় প্রায় ৫০-এর কাছাকাছি পর্যায়ে উপনীত হয়। অনেক ক্রিকেটবোদ্ধাই তাকে ভারতের সম্ভাবনাময় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে চিহ্নিত করতে সচেষ্ট হন।
নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। কিন্তু, এ সফরে তিনি ব্যর্থতার স্বাক্ষর রাখেন। দ্রুততম গতিবেগের বোলিংয়ের বিপক্ষে দেবাং গান্ধী’র দুর্বলতা চোখে পড়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত ক্রীড়াশৈলীর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে নিজদেশে আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়। শুরুতে তিনি বেশ ভালো খেলা উপহার দেন। নিউজিল্যান্ডের মাটিতেও সদাগোপান রমেশের সাথে উপর্যুপরি জুটি গড়ে টেস্ট গড়কে ৫০ ঊর্ধ্বে নিয়ে যান। কিন্তু, অস্ট্রেলিয়া সফরে দূর্বল ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করায় তাকে দলের বাইরে রাখা হয়।
অ্যাডিলেডে সিরিজের প্রথম টেস্টে শর্ট বলে বিপক্ষে তার ব্যাটিং কৌশলের দূর্বলতার চিত্র চোখে পড়ার মতো ছিল। ৪ ও ০ রান সংগ্রহ করেন। উঁচু হয়ে আসা বলে তিনি বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। বিশেষতঃ গ্লেন ম্যাকগ্রা তার দূর্বল দিক ধরে ফেলেন ও শুরুতেই ভারত দলকে চাপের মুখে ফেলে দেন।
অস্ট্রেলিয়া সফরে ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তাসত্ত্বেও, ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে ঠিকই সেরা খেলা উপহারে সচেষ্ট ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে পুরোপুরি নতুন বলের বিপক্ষে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে অগ্রসর হয়েছিলেন। স্ট্রোক, কৌশল, মেজাজ ও সাহসের সংমিশ্রণে ইনিংসগুলো ছিল।
ঐ টেস্টগুলোর পর ত্রি-দেশীয় সিরিজের দুইটি ওডিআইয়ে অংশ নেন। দুই খেলায় তিনি মাত্র ৬ ও ১৩ রান তুলতে সক্ষম হন। এরপর, আর তাকে ভারত দলে খেলতে দেখা যায়নি। সবমিলিয়ে সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ৯৫ খেলায় অংশ নেন। ৪২.৭৩ গড়ে ৬১১১ রান তুলেন।
২০০৫-০৬ মৌসুম শেষে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেন।[১] এপ্রিল, ২০০৬ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন তিনি। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ভারত ক্রিকেট দলের নির্বাচক হিসেবে মনোনীত হন।