দেবেন্দ্র ফডণবীস | |
---|---|
![]() | |
১৮তম মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | |
গভর্নর | সি. পি. রাধাকৃষ্ণন |
ডেপুটি | |
পূর্বসূরী | একনাথ শিন্ডে |
কাজের মেয়াদ ২৩ নভেম্বর ২০১৯ – ২৮ নভেম্বর ২০১৯ | |
গভর্নর | ভগত সিং কশ্যারি |
ডেপুটি | অজিত পাওয়ার |
পূর্বসূরী | রাষ্ট্রপতি শাসন |
উত্তরসূরী | উদ্ধব ঠাকরে |
কাজের মেয়াদ ৩১ অক্টোবর ২০১৪ – ১২ নভেম্বর ২০১৯ | |
গভর্নর | সি. বিদ্যাসাগার রাও ভগত সিং কশ্যারি |
পূর্বসূরী | রাষ্ট্রপতি শাসন |
উত্তরসূরী | রাষ্ট্রপতি শাসন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | নাগপুর, মহারাষ্ট্র, ভারত | ২২ জুলাই ১৯৭০
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জনতা পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | অমৃতা ফডণবীস (বি. ২০০৫) |
সন্তান | ১ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
ওয়েবসাইট | www |
দেবেন্দ্র গঙ্গাধররাও ফডণবীস (জন্ম: ২২ জুলাই ১৯৭০) হলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ; যিনি ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ সাল থেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং [১] ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দুই মেয়াদে এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি পূর্বে একনাথ শিন্ডের সরকারে অজিত পাওয়ারের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এর পাশাপাশি, ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত, তিনি মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিজেপির মহারাষ্ট্র রাজ্য ইউনিটের সভাপতি ছিলেন।[২] তিনি ৪৪ বছর বয়সে মুখ্যমন্ত্রী হন, শারদ পাওয়ারের পর তিনি মহারাষ্ট্রের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী।
ফডণবীস নাগপুরের একটি মারাঠি দেশস্থ ব্রাহ্মণ পরিবারে গঙ্গাধর ফডণবীস এবং সরিতা ফডণবীসের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।[৩][৪] তার বাবা গঙ্গাধর ফডণবীস নাগপুর থেকে মহারাষ্ট্র আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নামে নামকরণ করা ইন্দিরা কনভেন্টে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। জরুরী অবস্থার সময়, ফডণবীসের বাবা জনসংঘের সদস্য হওয়ায়, সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য তাকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল। ফডণবীস পরবর্তীকালে ইন্দিরা কনভেন্টে তার স্কুলে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে অস্বীকার করেন কারণ তিনি তার বাবাকে কারারুদ্ধ করার জন্য দায়ী করা প্রধানমন্ত্রীর নামে একটি স্কুলে যেতে চাননি। তারপর তাকে সরস্বতী বিদ্যালয় স্কুল, নাগপুরে স্থানান্তরিত করা হয়, যেখানে তিনি তার পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।[৫][৬]
ফডণবীস আইনে স্নাতক, এলএল.বি, ডক্টর বাবাসাহেব আম্বেদকর কলেজ অফ ল, নাগপুর ইউনিভার্সিটি থেকে, ১৯৯২ সালে সম্পন্ন করেন।
ফডণবীস হিন্দু ধর্ম পালন করেন। তিনি ২০০৫ সালে অভিনেত্রী, গায়ক এবং ব্যাঙ্কার অমৃতা ফডণবীসকে বিয়ে করেন।[৭] বিয়ের দুই বছর পর, ২০০৭ সালে এই দম্পতির একটি কন্যা, দিবিজা ফডণবীস জন্মগ্রহণ করে। [৮]
দেবেন্দ্র ফডণবীসের পরিবারের অনেক সদস্য রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। তার বাবা গঙ্গাধর রাও ফডণবীস এবং খালা শোভা ফডণবীস উভয়ই ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য ছিলেন এবং রাজ্য বিধানসভায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়।[৯] সেই সময় থেকে তিনি তার রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে একাধিক দায়িত্ব পালন করেন। কলেজের ছাত্র থাকাকালীন, ফডণবীস আরএসএস এর অঙ্গসংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি),[১০][১১] এর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৯ সালে সংগঠনে যোগ দেন।[১২] পরে ১৯৯২ সালে ২২ বছর বয়সে তিনি কর্পোরেটর হন। তিনি নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের রাম নগর ওয়ার্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। [১৩] ৫ বছর পরে, ১৯৯৭ সালে, ২৭ বছর বয়সে তিনি নাগপুরের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র হয়েছিলেন এবং ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয়-কনিষ্ঠ মেয়র হয়েছিলেন।[১৪][১৫]
তিনি ১৯৯৯ সালে নাগপুর পশ্চিম থেকে কংগ্রেস প্রার্থীকে পরাজিত করে বিধানসভায় নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে, তিনি একই আসন থেকে কংগ্রেসের আনিস আহমেদকে পরাজিত করে বিধানসভায় পুনরায় নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের নির্বাচনে, তিনি নবনির্মিত নাগপুর দক্ষিণ পশ্চিম কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং কংগ্রেসের বিকাশ ঠাকরেকে পরাজিত করেন।
২০১৩ সালে ফড়নবিস বিজেপির মহারাষ্ট্র ইউনিটের সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।[১৬] রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আরএসএস-এর পরামর্শেই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাকে নিয়োগ দিয়েছিল।[১৭] এর পাশাপাশি, ফডমবীস বিজেপির কনিষ্ঠ রাজ্য সভাপতি হওয়ায় তার নিয়োগকে যুব ভোটারদের আকৃষ্ট করার প্রচেষ্টা হিসাবেও দেখা হয়েছিল।[১৮] দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার প্রচারণা এবং বড় আর্থিক বিতর্কের সাথে যুক্ত না থাকার কারণে, তিনি "মিস্টার ক্লিন" ডাকনাম অর্জন করেছিলেন।[১৮][১৯][২০]
২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভারতীয় জনতা পার্টির প্রচারণার মুখ ছিলেন ফডণবীস।[২১] নির্বাচনের পরে, বিজেপি একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং ১৩২টি আসন লাভ করে, শুধুমাত্র ১৩টি আসন কম থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করে।[২২] শিবসেনা এবং এনসিপির মতো অন্য মূল মিত্ররাও ভাল ফলাফল করেছে। ফডণবীসের মতে, মহাযুতি জোটের দলগুলোর নেতাদের মধ্যে প্রথম বৈঠকে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে মেনে নিয়েছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপি থেকে।[২৩] ফলাফল ঘোষণার ১২ দিন পরে ৫ ডিসেম্বর ২০২৪-এ তৃতীয়বারের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন দেবেন্দ্র ফডণবীস। [২৪] রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তার কৌশলগত বুদ্ধিমত্তা এবং দলীয় নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তার নামকরণের মূল কারণ হিসাবে তুলে ধরেছেন।[২৫] একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পাওয়ার দুজনেই ফডণবীসের সাথে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। [২৩]
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |