Xylocopa violacea দেশি কালো ভ্রমর | |
---|---|
Female X. violacea on Phlomis viscosa | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Arthropoda |
শ্রেণী: | Insecta |
বর্গ: | Hymenoptera |
উপবর্গ: | Apocrita |
মহাপরিবার: | Apoidea |
পরিবার: | Apidae |
উপপরিবার: | Xylocopinae |
গণ: | Xylocopa |
প্রজাতি: | X. violacea |
দ্বিপদী নাম | |
Xylocopa violacea (Linnaeus, 1758) | |
প্রতিশব্দ | |
|
দেশি কালো ভ্রমর (ইংরেজি: Indian Bhanvra বা violet carpenter bee বা Xylocopa violacea)[১] হচ্ছে সাধারণ কার্পেন্টার মৌমাছির একটি ইউরোপীয় প্রজাতি এবং ইউরোপের বৃহত্তম মৌমাছিগুলোর একটি। Xylocopa, গণের অধিকাংশ প্রজাতিগুলোর মতোই এরা মরা কাঠে বাসা বাঁধে।
দেশি কালো ভ্রমর দেখতে খুবই সুন্দর যার ডানাগুলো ঘণ ময়ূরী নীল, আমরা প্রায়শ যার উপমা দিয়ে থাকি ভ্রমর কালো চোখের সাথে। এসব ভ্রমর-পুরুষ এলাকার রক্ষনাবেক্ষন করে, আস্তানার আশেপাশে কোনো প্রাণিকে দেখলেই তাকে প্রহরায় রাখতে চায়। মুখের ওপর, দেহের চারদিকে সশব্দে উড়তে থাকে, এমন কি গায়েও বসতে পারে, কিন্তু হুল ফোটায় না। ছেলেদের অবশ্য হুল থাকে না, হুল থাকে মেয়ে-ভ্রমরের। কিন্তু ভ্রমরীও বাসাবাড়ি আর মধু-পরাগ আহরণ নিয়ে এতো ব্যস্ত থাকে যে কারো প্রতি দৃকপাত করার সময় তাদের থাকে না। তবে বেশি উত্ত্যক্ত করলে হুল তো ফোটাতেই পারে, কিন্তু তার নজীর মৌমাছির চেয়ে অনেক কম।
দেশি কালো ভ্রমর লালন করা মৌমাছি পালার মতো অতোটা সহজ নয়। ভ্রমর বাস করে নরম কাঠের ভেতরে, যার বেশিরভাগ মরা কাঠ কিন্তু পচা কাঠ নয়। আমাদের দেশে জাম, কণকচূড়া, শালগজারি গাছে ভ্রমরের বাসা দেখা যায়। মেটিং-এর পরে ডিম পাড়ার সময় হলে মেয়ে-ভ্রমর গাছের গায়ে গর্ত করে এক-দেড় ইঞ্চি ভেতরে ঢোকে তারপর বাঁয়ে ডানে কাঠের আঁশ বরাবর কয়েকটি প্রকোষ্ঠ তৈরি করে যেগুলো বেড়া দেয় পাতলা কাঠের টুকরো দিয়ে। এর ভেতরে পরাগরেণু আর একটু মধু রেখে ডিম পাড়ে, তারপর বন্ধ করে দেয় সেগুলো। বাচ্চারা বড় হলে বেরিয়ে আসে গ্রীষ্মের শেষে। অনেক ক্ষেত্রে ভ্রমরীর মেয়ে আর বোনও একই নিবাসে থেকে যায়, কিন্তু পরিবারের সদস্য সংখ্যা নগন্যই থাকে। এরা স্বতন্ত্র, যুথবদ্ধ সামাজিক নয়, কিন্তু মানুষের সমাজের জন্য অপূরণীয় কাজ করে। এরা স্পন্দন-পরাগায়নের মাধ্যমে ফুলের বংশবিস্তারে সহায়তা করে।