ডোরিয়া শফিক درية شفيق | |
---|---|
জন্ম | ১৪ ডিসেম্বর ১৯০৮ |
মৃত্যু | ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ | (বয়স ৬৬)
জাতীয়তা | মিশরীয় |
পেশা | লেখক, নারীবাদী, বিপ্লবী |
ডোরিয়া শফিক[টীকা ১] (আরবি: درية شفيق; ১৪ ডিসেম্বর ১৯০৮ – ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫) ছিলেন একজন মিশরীয় নারীবাদী, কবি এবং সম্পাদক এবং ১৯৪০ এর দশকের মাঝামাঝি মিশরে নারী মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা।[১] তার প্রচেষ্টার প্রত্যক্ষ ফলস্বরূপ, মিশরীয় সংবিধান দ্বারা মিশরীয় মহিলাদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়েছিল।
ডোরিয়া শফিক ১৯০৮ সালের ১৪ই ডিসেম্বর মিশরের তান্তা তে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আহমদ ছফিক এবং মাতা রতিবা নাসিফ।[২][৩]:৩
১৮ বছর বয়সে তিনি প্রথম মিশরীয় মেয়েদের মধ্যে একজন, যিনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাকলোরিয়া ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। প্যারিসের সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়াশোনার জন্য মিশরের শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাকে একটি বৃত্তি প্রদান করে। তিনি সোরবনে দর্শনে পিএইচডি করার জন্যও পড়াশোনা করেছেন।[৪] তিনি উচ্চতর যোগ্যতা (উল্লেখযোগ্য সম্মানসূচক) সহ তার পিএইচডি (ডক্টরেট ডি'ইট) লাভ করেন। ১৯৩৫ সালে একজন মিশরীয় মেয়ে হিসাবে তিনি একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, যা বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল।[২]
প্যারিসে থাকাকালীন, শফিক নুরেলদিন রাগাইকে বিয়ে করেছিলেন; রাগাই একজন আইন ছাত্র যিনি স্কলারশিপে ছিলেন এবং তার পিএইচডি নিয়ে কাজ করছিলেন।
১৯৪৮ সালে শফিক মহিলাদের প্রাথমিক সামাজিক সমস্যা সমাধানে এবং তাদের দেশের নীতিতে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য বেন্ট এল নিল ইউনিয়ন তৈরি করেছিলেন।[৫] ইউনিয়ন সারা দেশে নিরক্ষরতা দূরীকরণে কাজ করেছে; সেই উদ্দেশ্যে কেন্দ্র স্থাপন, কর্মজীবী নারীদের জন্য একটি কর্মসংস্থান অফিস এবং একটি ক্যাফেটেরিয়া স্থাপন করেছে।
১৯৫৪সালের ১২ই মার্চ, নারীবিহীন সাংবিধানিক কমিটি গঠনের প্রতিবাদে ডোরিয়া শফিক প্রেস সিন্ডিকেটে আট দিনের অনশন শুরু করেন।[৬] তিনি একটি লিখিত বিবৃতি পেয়ে তার ধর্মঘট শেষ করেন যে রাষ্ট্রপতি নজিব এমন একটি সংবিধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা নারীর অধিকারকে সম্মান করে।
তার অনশন কর্মসূচির প্রতি আগ্রহের ফলে ডোরিয়া শফিককে মিশরীয় নারীদের নিয়ে এশিয়া, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বক্তৃতার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি ইতালি, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত, সিলন এবং পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিলেন।
ডোরিয়া শফিকের প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ, নারীদের ১৯৫৬ সালের সংবিধানের অধীনে ভোটাধিকার প্রদান করা হয়েছিল, তবে, তাদের অবশ্যই সাক্ষর হতে হবে, যা পুরুষ ভোটের পূর্বশর্ত ছিল না।
শফিক ১৯৩৭ সালে প্যারিসে নুরেলদিন রাগাইকে বিয়ে করেন। তিনি মিশরের একজন বিশিষ্ট আইনজীবী হয়েছিলেন এবং শফিকের সমস্ত প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতেন। তারা ৩১ বছর (তারা বিবাহবিচ্ছেদ করেছিল ১৯৬৮ সালে) একসাথে ছিল এবং তাদের একমাত্র মেয়ে জেহানে। ডোরিয়া শফিক নির্জন জীবন যাপন করতেন এবং তাকে দেখতে আসতেন তার মেয়ে এবং নাতি -নাতনিরা।