দোস্তানা | |
---|---|
পরিচালক | রাজ খোসলা |
প্রযোজক | যশ জোহর |
রচয়িতা | সলিম–জাভেদ |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলাল |
চিত্রগ্রাহক | নারিমান এ. ইরানি |
সম্পাদক | ওয়ামান ভোঁসলে |
পরিবেশক | |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৫৩ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
আয় | ₹৯ কোটি |
দোস্তানা রাজ খোসলা পরিচালিত ১৯৮০ সালের ভারতীয় হিন্দি ভাষার মারপিটধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র। সলিম-জাভেদ রচিত চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেন যশ জোহর। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন অমিতাভ বচ্চন, শত্রুঘ্ন সিনহা, জিনাত আমান এবং পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন প্রেম চোপড়া, অমরিশ পুরি, হেলেন, ও প্রাণ। গল্পে দেখা যায় দুই বাল্যবন্ধু বিজয় (বচ্চন) একজন পুলিশ ও রবি (সিনহা) একজন আইনজীবী, বিজয় অপরাধীদের গেপ্তার করে এবং রবি আদালতে তাঁদের হয়ে লড়লেও তাঁর বন্ধুত্ব অটল থাকে, কিন্তু তাঁদের বন্ধুত্বের মধ্যে ফাটল ধরে যখন তাঁরা দুজনেই শীতলের (জিনাত) প্রেমে পড়ে। চলচ্চিত্রটির সঙ্গীতায়োজন করেন লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলাল ও গীত রচনা করেন আনন্দ বকশী।
চলচ্চিত্রটি ১৯৮০ সালের ১৭ অক্টোবর ভারতে মুক্তি পায় এবং মুক্তির পর বক্স অফিসে ব্যবসা সফল হয়[১] এবং সে বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের তালিকায় চতুর্থ স্থান লাভ করে।[২] চলচ্চিত্রটি ২৮তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-সহ ৪টি বিভাগে মনোনয়ন লাভ করে। দোস্তানা চলচ্চিত্রটি তামিল ভাষায় সত্তম (১৯৮৩) নামে পুনর্নির্মিত হয়, যেটিতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন কমল হাসান ও শরৎ বাবু।[৩]
দোস্তানা প্রযোজক যশ জোহর প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র। তিনি শুরুতে চেয়েছিলেন চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করবেন বিজয় আনন্দ, কিন্তু তাঁর ক্রমাগত বিলম্বের কারণে জোহর রাজ খোসলাকে চলচ্চিত্রটি নির্মাণের প্রস্তাব দেন। খোসলা চলচ্চিত্রটিতে একটি বড় পরিবর্তন আনেন। শুরুতে রবি চরিত্রের জন্য বিনোদ খান্নাকে ভাবা হয়েছিল, কিন্তু খোসলা তাঁর স্থলে শত্রুঘ্ন সিনহাকে স্থলাভিষিক্ত করেন। তিনি মনে করেন যদি বিনোদ খান্না রবি চরিত্রে অভিনয় করেন তবে জিনাত আমানের চরিত্রটি তার ইনস্পেক্টর প্রেমিককে বাঁচাতে আইনজীবীর সাথে সম্পর্কে জড়ানোর নৈতিক দ্বিধা সম্পূর্ণরূপে উপস্থাপন করা সম্ভব হত না। খোসলা বলেন পুরুষ হয়েও বিনোদ খান্নার দিক থেকে চোখ এড়ানো সম্ভব নয়, সেখানে জিনাতের চরিত্রটি তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে তা বিশ্বাসযোগ্য হবে না।[৪]
দোস্তানা চলচ্চিত্রটির সঙ্গীতায়োজন করেন লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলাল ও গীত রচনা করেন আনন্দ বকশী। ফার্স্টপোস্ট-এর গৌতম চিন্তামণি "দিল্লাগি নে দি হাওয়া" গানটিকে সলিম-জাভেদের লেখা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে প্রণয়ধর্মী প্রেমের গান এবং "মেরে দোস্ত কিস্সা ইয়ে ক্যায়া হো গয়া" গানটিকে শোলে (১৯৭৫) চলচ্চিত্রের "ইয়ে দোস্তি" গানের পর দ্বিতীয় সেরা বন্ধুত্বের গান বলে গণ্য করেন।[৪]
সকল গানের গীতিকার আনন্দ বকশী; সকল গানের সুরকার লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলাল।
গানের তালিকা | |||
---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | কণ্ঠশিল্পী(গণ) | দৈর্ঘ্য |
১. | "মেরে দোস্ত কিস্সা ইয়ে ক্যায়া হো গয়া" | মোহাম্মদ রফি | |
২. | "সালামত রহে দোস্তানা হামারা (১ম খণ্ড)" | কিশোর কুমার, মোহাম্মদ রফি | |
৩. | "সালামত রহে দোস্তানা হামারা (১ম খণ্ড)" | কিশোর কুমার, মোহাম্মদ রফি | |
৪. | "বহুত খুবসুরত এক লড়কি" | কিশোর কুমার | |
৫. | "দিল্লাগি নে দি হাওয়া" | কিশোর কুমার, আশা ভোসলে | |
৬. | "কিতনা আসান হি কহনা ভুল যাও" | লতা মঙ্গেশকর |