দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর مطار الدوحة الدولي Maṭār al-Dawḥah al-Duwalī | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() | |||||||||||
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | পাবলিক/সামরিক | ||||||||||
পরিচালক | কাতার সিভিল এভিয়েশন অথরিটি | ||||||||||
অবস্থান | দোহা, কাতার | ||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ৩৫ ফুট / ১১ মিটার | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ২৫°১৫′৪০″ উত্তর ০৫১°৩৩′৫৪″ পূর্ব / ২৫.২৬১১১° উত্তর ৫১.৫৬৫০০° পূর্ব | ||||||||||
ওয়েবসাইট | www.dohaairport.com | ||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
| |||||||||||
পরিসংখ্যান (২০১৬) | |||||||||||
| |||||||||||
দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আরবি: مطار الدوحة الدولي) হচ্ছে কাতারের দোহায় অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ২০১৪ সালের ২৭ মে তারিখে হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন করার আগ পর্যন্ত এটি ছিল কাতারের বাণিজ্যিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। যদিও সকল নির্ধারিত বাণিজ্যিক বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়, বিমানবন্দর ওয়েবসাইট এবং বিদ্যমান রানওয়ে এখনও কাতার এমিরী এয়ার ফোর্স, রিজোন জেট এবং গল্ফ হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়।
বিমানবন্দরটি অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বিভিন্নভাবে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে যার ফলে বন্দরটিকে প্রসারিত করা হয়েছে। নতুন বিমানবন্দর খোলার আগে প্রতিবছর ১২ মিলিয়ন যাত্রী এখানে জমায়িত হয়।[৪] এটি ছিল অন্যতম দীর্ঘ একটি বেসামরিক বিমানবন্দর যার আয়তন ৪,৫৭০-মিটার (১৪,৯৯৩-ফুট)। এটি কাতার বিমানবন্দরের মূল ভিত্তি ছিল। অতীতে বিমানবন্দরটি বেশিরভাগক্ষেত্রে কাতার হলিডে মেকার্স কর্তৃক ব্যবহৃত হয় এবং তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের জন্য বিদেশী শ্রমিকরা আগমন করে থাকে। ২০১০ সালে এটি বিশ্বের ২৭তম ব্যস্ততম মালবাহী বিমানবন্দর ছিল। কন্ট্রোল টাওয়ার এবং সহায়ক ভবন ক্রিটিস ডব্লিউ ফারেন্রেস, এফএআইএ, ফেটার্রেস আর্কিটেক্টের রিবা স্থপতিগণ কর্তৃক নকশা করা হয়।
২০১৪ সালের ২৭ মে তারিখে এই বিমানবন্দরটি সমস্ত নির্ধারিত বাণিজ্যিক বিমান চলাচল নতুন হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত করা হয়।[৪] নতুন বিমানবন্দরটি ৪ কিলোমিটার (২.৫ মাইল) পূর্বে অবস্থিত। এটি ২,২০০ হেক্টর (৫,৪০০ একর) জমি জুড়ে অবস্থান করছে এবং উদ্বোধনী দিন থেকে শুরু করে প্রতি বছর ২৯ মিলিয়ন যাত্রী পরিচালনা করতে সক্ষম।[৫] পুরনো বিমানবন্দরটি ধ্বংস করা হবে এবং আল শাহান সিটি নামে নতুন একটি শহুরে প্রকল্প হিসেবে পুনঃনির্ধারণ করা হয়।[৬]
এটা ছিল দোহার প্রধান বিমানবন্দর এবং কাতার বিমানবন্দর কর্তৃক পরিচালিত সবচেয়ে সুলভমূল্যে ভ্রমণের জন্য অন্যতম একটি বিমান। এছাড়াও বিমানবন্দরটি অন্যান্য বিমানের ব্যবহারউপযোগী। প্রতিবছর বিমানবন্দরটি যাত্রীদের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির জন্য যথাযথভাবে সেবা প্রদানের স্বার্থে এই টার্নিনালকে বেশ কয়েকবার সম্প্রসারিত করা হয়। টার্মিনালটি ৪৪টি স্যাটেলাইট প্রবেশপথ এর সাথে বসার স্থান এবং একটি বৃহৎ শুল্কমুক্ত এলাকা রয়েছে।
২০১৪ সালের ২৭ মে তারিখে বিমানবন্দরটি বাণিজ্যিক যাত্রার জন্য বন্ধ হয়ে যায় যেখানে সকল বিমানবন্দর উত্তরাধিকারীকে স্থানান্তরিত করে দেয়। ২৮ মে তারিখে দুপুর ১২:৩০ মিনিটের সময় দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সর্বশেষ ফ্লাইটটি লুথানেসা থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট যাত্রা করেছিল।
১৯৯৮ সাল থেকে যাত্রীদের সংখ্যা এবং মোট পণ্যসম্ভার লোড উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায় যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
বছর | মোট যাত্রী | মোট কার্গো (টন) | মোট কার্গো (১০০০ পাউন্ড) | বিমান গতিবিধি |
---|---|---|---|---|
১৯৯৮ | ২,১০০,০০০ | ৮৬,৮৫৪ | ||
১৯৯৯ | ২,৩০০,০০০ | ৬২,৫৯১ | ||
২০০২ | ৪,৪০৬,৩০৪ | ৯০,৮৭৯ | ২০০,৩৫১ | ৭৭,৪০২ |
২০০৩[৭] | ৫,২৪৫,৩৬৪ | ১১৮,৪০৬ | ২৬১,০৩৭ | ৪২,১৩০ |
২০০৪[৭] | ৭,০৭৯,৫৪০ | ১৬০,০৮৮ | ৩৫২,৯৩০ | ৫১,৮৩০ |
২০০৫[৭] | ৯,৩৭৭,০০৩ | ২০৭,৯৮৮ | ৪৫৮,৫৩০ | ৫৯,৬৭১ |
২০০৬[৭] | ১১,৯৫৪,০৩০ | ২৬২,০৬১ | ৫৭৭,৭৩৯ | ১০৩,৭২৪ |
২০০৭[৮] | ৯,৪৫৯,৮১২ | ২৫২,৯৩৫ | ৫৫৭,৬২৬ | ৬৫,৩৭৩ |
২০০৮[৮] | ১২,২৭২,৫০৫ | ৪১৪,৮৭২ | ৯১৪,৬৩৬ | ৯০,৭১৩ |
২০০৯[২] | ১৩,১১৩,২২৪ | ৫২৮,৯০৬ | ১,১৬৬,০৩৮ | ১০১,৯৪১ |
২০১০[২] | ১৫,৭২৪,০২৭ | ৭০৭,৮৩১ | ১,৫৬০,৪৯৮ | ১১৮,৭৫১ |
২০১১ | ১৮,১০৮,৫২১ | ৭৯৫,৫৫৮ | ১,৭৫৩,৯০৫ | ১৩৬,৭৬৮ |
২০১২ | ২১,১৬৩,৫৯৭ | |||
২০১৩ | ২৩,২৬৬,১৮৭ |
উইকিমিডিয়া কমন্সে দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।