দ্বিতীয় জয়সিংহ | |
---|---|
পশ্চিম চালুক্য রাজা দ্বিতীয় জয়সিংহের প্রাচীন কন্নড় শিলালিপি, আনু. ১০৩৫ খ্রিস্টাব্দ | |
পশ্চিম চালুক্য রাজা | |
রাজত্ব | ১০১৫-১০৪৩ খ্রিস্টাব্দ (২৮ বছর) |
চালুক্য রাজবংশ |
---|
দ্বিতীয় জয়সিংহ (রাজত্বকাল: ১০১৫ – ১০৪৩ খ্রিস্টাব্দ)[১] (অপর নাম প্রথম জগদেকমল্ল বা মল্লিকামোদ) তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা পঞ্চম বিক্রমাদিত্যের পরে পশ্চিম চালুক্য সিংহাসনে আরোহণ করেন। নিজ রাজ্যকে রক্ষা করতে তিনি দক্ষিণে তঞ্জাবুরের চোল এবং উত্তরে পরমারদের বিরুদ্ধে অনেকগুলি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।[২][৩] তাঁর রাজত্বকাল যদিও কন্নড় সাহিত্যের বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে পরিচিত। ব্রাহ্মণ কন্নড় লেখক দুর্গাসিংহ (যিনি তাঁর মন্ত্রীও ছিলেন, পঞ্চতন্ত্র রচয়িতা, ১০৩১), দ্বিতীয় চবুন্দরায় (বিশ্বকোষ, লোকোপাকর, আনু. ১০২৫) ও কবিতাবিলাস তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন। দ্বিতীয় জয়সিংহের অধীনস্থ সামন্ত শাসক মচিরাজার রাজসভায় ছিলেন ব্রাহ্মণ লেখক চন্দ্ররাজ, যিনি কামসাহিত্য-সংক্রান্ত মদনতিলক (কন্নড় ভাষার প্রাচীনতম কামসাহিত্য-মূলক গ্রন্থ, আনু. ১০২৫) রচনা করেন। জৈন সংস্কৃত পণ্ডিত বদীরাজ দ্বিতীয় জয়সিংহের রাজসভা অলংকৃত করতেন। তিনি দু’টি মহাকাব্য, যুক্তিশাস্ত্র এবং একটি প্রাচীনতর জৈন ধর্মগ্রন্থের টীকা রচনা করেন। দ্বিতীয় জয়সিংহের রানি সুগ্গলদেবী ছিলেন কন্নড় সন্ত-কবি দেবর দেসিময়ের (আদিতম বীরশৈব কবিদের অন্যতম) শিষ্যা।[৪][৫][৬][৭]
ইতিহাসবিদ চোপরা ও অন্যান্যদের মতে, এই যুগে বেঙ্গি অঞ্চলে চোলদের প্রভাব দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বেঙ্গির পূর্ব চালুক্যদের সঙ্গে চোলদের সামরিক সম্পর্কে এবং সামগ্রিকভাবে বেঙ্গির উপর চোল প্রভাবের বিস্তার পশ্চিম চালুক্য সাম্রাজ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করে।[৮] যদিও ইতিহাসবিদ সেন মনে করেন যে, এই সমস্যা সত্ত্বেও এই যুগে দাক্ষিণাত্যে পশ্চিম চালুক্যদের ক্ষমতা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা দ্বিতীয় জয়সিংহের উত্তরসূরি প্রথম সোমেশ্বরের রাজত্বকালে সাম্রাজ্যের সমৃদ্ধির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে।[৯]
পূর্বসূরী পঞ্চম বিক্রমাদিত্য |
পশ্চিম চালুক্য ১০১৫–১০৪২ |
উত্তরসূরী প্রথম সোমেশ্বর |