তৈলপ | |
---|---|
অহবমল্ল | |
পশ্চিম চালুক্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা | |
রাজত্ব | আনু. ৯৭৩ – আনু. ৯৯৭ (২৪ বছর) |
পূর্বসূরি | দ্বিতীয় কর্ক |
উত্তরসূরি | সত্যশরায় |
বংশধর | সত্যশরায়, দশবর্মণ |
রাজবংশ | চালুক্য |
দ্বিতীয় তৈলপ (রাজত্বকাল: আনুমানিক ৯৭৩-৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ; অপর নাম: দ্বিতীয় তৈল; উপাধি: অহবমল্ল) ছিলেন দক্ষিণ ভারতের পশ্চিম চালুক্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। তৈলপ নিজেকে পূর্ববর্তী বাতাপির চালুক্যদের বংশধর বলে দাবি করতেন[১] এবং প্রাথমিকভাবে তারদাবাদি-১০০০ প্রদেশ (অধুনা কর্ণাটক রাজ্যের বিজয়পুর জেলা) থেকে রাষ্ট্রকূট সম্রাটের অধীনস্থ সামন্ত শাসক হিসেবে রাজ্য শাসন করতেন।[২] পরমার রাজা সিয়কের আক্রমণে রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্য পর্যুদস্ত হলে[৩] তৈলপ রাষ্ট্রকূট রাজা দ্বিতীয় কর্ককে সিংহাসনচ্যূত করে নতুন রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন।[৪]
নর্মদা ও তুঙ্গভদ্রা নদীর মধ্যবর্তী পশ্চিম দাক্ষিণাত্য ভূখণ্ডে নিজ নিয়ন্ত্রণ সুদৃঢ় করতে তৈলপকে বহু বছর ব্যয় করতে হয়েছিল। ক্রমে শিলাহর সহ একাধিক পূর্বতন রাষ্ট্রকূট সামন্ত রাজবংশ তৈলপের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নেয়।[৫] তৈলপ সফলভাবে চোল ও পরমার বহিরাক্রমণকে প্রতিরোধ করেন এবং আক্রমণকারী পরমার রাজা মুঞ্জকে বন্দী ও হত্যা করেন।[৬] তৈলপের সেনাধ্যক্ষ বরপ অধুনা গুজরাত রাজ্যের অন্তর্গত লাট অঞ্চল জয় করে লাট চালুক্য শাসক বংশের প্রতিষ্ঠা করেন।[৭] তৈলপের উত্তরসূরিরা দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত পশ্চিম দাক্ষিণাত্য ভূখণ্ডে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রেখেছিলেন।