দ্বিতীয় নাগবর্মা (খ্রিস্টীয় মধ্য-একাদশ বা মধ্য-দ্বাদশ শতাব্দী) ছিলেন কন্নড় ভাষায় পণ্ডিত এবং পশ্চিম চালুক্য রাজসভার এক বৈয়াকরণ। তিনি ছিলেন প্রাচীন-কন্নড় ভাষার সর্বপ্রথম তিন সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ও প্রামাণ্য বৈয়াকরণদের অন্যতম (অপর দু’জন হলেন আনুমানিক ১২৬০ খ্রিস্টাব্দের কেশীরাজ ও আনুমানিক ১৬০৪ খ্রিস্টাব্দের ভট্টকলঙ্ক দেব)।[১] দ্বিতীয় নাগদত্তের খ্যাতি ছন্দ, অলংকার শাস্ত্র, কাব্যতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও শব্দকোষ সহ কন্নড় সাহিত্যের বিভিন্ন বর্গে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য।[২] গবেষক আর. নরসিংহাচার্যের মতে, এই দিক থেকে বিচার করলে সমগ্র প্রাচীন কন্নড় সাহিত্যে দ্বিতীয় নাগবর্মার স্থান স্বতন্ত্র। তাঁর রচনাবলি এখনও সুলভ এবং সেগুলিকে কন্নড় ভাষা ও তার বিকাশ-সংক্রান্ত গবেষণার কাজে প্রামাণ্য গ্রন্থ বলে গণ্য করা হয়।[২][৩]
চালুক্য রাজা জগদেকমল্ল দ্বিতীয় নাগবর্মাকে ‘কটকাচার্য’ (‘রাজকবি’) ও ‘কটকোপাধ্যায়’ (‘সামরিক শিক্ষক’) উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন।[৪][৫][৬] তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থগুলি হল ব্যাকরণ, ছন্দ ও কাব্যতত্ত্ব-সংক্রান্ত কাব্যালোকন', ব্যাকরণ-সংক্রান্ত কর্ণাটক-ভাষাভূষণ, শব্দকোষ বাস্তুকোষ (বা অভিধানবাস্তুকোষ) এবং বর্ধমানপুরাণ নামে একটি জৈন পুরাণ (মহাকাব্য)।[৪][৫][৬][৭] দ্বিতীয় নাগবর্মার ব্যাকরণের আদর্শটি সংস্কৃত ব্যাকরণের কতন্ত্র ধারা-ভিত্তিক। লেখকও জনৈক শালিবাহন রাজার বিশিষ্ট সংস্কৃত বৈয়াকরণ সর্ববর্মার নামানুসারে নিজেকে ‘অভিনব সর্ববর্মা’ (‘আধুনিক সর্ববর্মা’) নামে অভিহিত করেছেন।[৭][৮]
- ↑ Sahitya Akademi (1987), p. 476
- ↑ ক খ Narasimhacharya (1988), p. 65
- ↑ Pollock (2006), p. 340, p. 349
- ↑ ক খ Narasimhacharya (1988), pp. 64–65, p. 19
- ↑ ক খ Shastri (1955), p. 358
- ↑ ক খ Kamath (2001), p. 115
- ↑ ক খ Sahitya Akademi (1988), p. 1475
- ↑ Nagaraj (2003), p. 327
- Bhat, Thirumaleshwara (১৯৯৩) [1993]। Govinda Pai। Sahitya Akademi। আইএসবিএন 81-7201-540-2।
- Kamath, Suryanath U. (২০০১) [1980]। A concise history of Karnataka : from pre-historic times to the present। Bangalore: Jupiter books। এলসিসিএন 80905179। ওসিএলসি 7796041।
- Mugali, R.S. (২০০৬) [2006]। The Heritage of Karnataka। Lightning Source Inc। আইএসবিএন 1-4067-0232-3।
- Nagaraj, D.R. (২০০৩)। "Critical Tensions in the History of Kannada Literary Culture"। Sheldon I. Pollock। Literary Cultures in History: Reconstructions from South Asia। Berkeley and London: University of California Press। পৃষ্ঠা 323–383। আইএসবিএন 0-520-22821-9।
- Narasimhacharya, R (১৯৮৮) [1934]। History of Kannada Literature। Mysore: Government Press. Reprinted by Asian Educational Services, New Delhi। আইএসবিএন 81-206-0303-6।
- Pollock, Sheldon (২০০৬)। The Language of Gods in the World of Men: Sanskrit, Culture and Power in Pre-modern India। Berkeley and London: University of California Press. Pp. 703। আইএসবিএন 0-520-24500-8।
- Rice, B.L. (২০০১) [1897]। Mysore Gazetteer Compiled for Government-vol 1। New Delhi, Madras: Asian Educational Services। আইএসবিএন 81-206-0977-8। [১]
- Rice, E.P. (১৯৮২) [1921]। A History of Kanarese Literature। New Delhi: Asian Educational Services। আইএসবিএন 81-206-0063-0।
- Sastri, K.A. Nilakanta (২০০২) [1955]। A history of South India from prehistoric times to the fall of Vijayanagar। New Delhi: Indian Branch, Oxford University Press। আইএসবিএন 0-19-560686-8।
- Singh, Nagendra K R (২০০১)। Encyclopaedia of Jainism। Anmol Publications। আইএসবিএন 978-81-261-0691-2।
- Various (১৯৮৭) [1987]। Encyclopaedia of Indian literature – vol 1। Sahitya Akademi। আইএসবিএন 81-260-1803-8।
- Various (১৯৮৮) [1988]। Encyclopaedia of Indian literature – vol 2। Sahitya Akademi। আইএসবিএন 81-260-1194-7।
- Various (১৯৯২) [1992]। Encyclopaedia of Indian literature – vol 5। Sahitya Akademi। আইএসবিএন 81-260-1221-8।