দ্বিতীয় বিগ্রহপাল | |
---|---|
পাল রাজা/সম্রাট | |
রাজত্ব | ৯৬০ – ৯৮৮ |
পূর্বসূরি | ২য় গোপাল |
উত্তরসূরি | ১ম মহীপাল |
বংশধর | ১ম মহীপাল |
রাজবংশ | পাল |
পিতা | ২য় গোপাল |
রাজা দ্বিতীয় বিগ্রহপাল (৯৬০–৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন পাল রাজবংশের দশম রাজা। তিনি ছিলেন পাল রাজা দ্বিতীয় গোপালের পুত্র এবং পিতার মৃত্যুর পর তিনি পিতার স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি মোট ২২ বছর রাজত্ব করেন। পাল রাজবংশের হারানো গৌরব ও প্রতিপত্তি পুনরুদ্ধারকারী খ্যাতিমান ১ম মহিপাল ছিলেন তার পুত্র এবং উত্তরসূরি।[১]
তার রাজত্বকালে পাল সাম্রাজ্য গৌড়, রাঢ়, অঙ্গ ও বঙ্গ প্রভৃতি ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভাজিত হয়ে যায়। ফলে তার রাজত্ব শুধু মগধ ও অঙ্গ তথা বর্তমান বিহার অঞ্চলে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। তার সিংহাসনে আরোহণের পূর্ব থেকেই পাল রাজ্যসীমার মধ্যে উত্তর-পশ্চিম বাংলায় প্রভাব বিস্তার করে স্বাধীন ভাবে রাজত্ব করতে থাকে। এই রাজবংশের শাসকেরা নামের শেষে ‘-পাল’ উপসর্গটি ব্যবহার করতেন (যেমন রাজ্যপাল, নারায়ণপাল ও নয়পাল)। এই রাজবংশের উৎস অজ্ঞাত। তবে এই ব্যাপারে সর্বাধিক যুক্তিগ্রাহ্য মতটি হল, কোনও এক পাল আধিকারিক রাজধানী সহ পাল সাম্রাজ্যের একটি বৃহৎ অংশের ক্ষমতা হস্তগত করে এই রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[২] [৩] রাজা দ্বিতীয় বিগ্রহপালকে চান্দেল ও কলচুরি আক্রমণও সহ্য করতে হয়। হরিকেলের (পূর্ব ও দক্ষিণ বাংলা) কান্তিদেব ‘মহারাধিরাজ’ উপাধি গ্রহণ করেন এবং একটি পৃথক রাজ্য স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে চন্দ্র রাজবংশের কল্যাণচন্দ্র পাল রাজত্বের অনেকাংশ শাসন করে। তবে তার পুত্র ১ম মহীপালের আমলে পাল সাম্রাজ্য বেশিরভাগ হারানো অঞ্চল ফিরে পায়।
পূর্বসূরী রাজ্যপাল |
পাল সম্রাট ৯৬০–৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দ |
উত্তরসূরী ১ম মহীপাল |