দ্য উইজার্ড অব অজ | |
---|---|
পরিচালক | |
প্রযোজক | মারভিন লেরয় |
চিত্রনাট্যকার | |
উৎস | এল. ফ্র্যাঙ্ক বম কর্তৃক দ্য ওয়ান্ডারফুল উইজার্ড অব অজ |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | হারবার্ট স্টোথার্ট |
চিত্রগ্রাহক | হ্যারল্ড রোসন |
সম্পাদক | ব্লাঞ্চ সেওয়েল |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | লুয়েস ইঙ্ক.[১] |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১০১ মিনিট[২] |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $২.৮ মিলিয়ন[৩][৪] |
আয় |
দ্য উইজার্ড অব অজ (ইংরেজি: The Wizard of Oz, বাংলা অনুবাদ: অজের জাদুকর) হল ১৯৩৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মার্কিন সঙ্গীতধর্মী কাল্পনিক চলচ্চিত্র। মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন ভিক্টর ফ্লেমিং, কিং ভিডর, জর্জ কুকর, ও নরম্যান টরোগ। চলচ্চিত্র ইতিহাসের সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রের[৫] একটি হিসেবে স্বীকৃত ছবিটি ফ্র্যাঙ্ক বমের ১৯০০ সালে রচিত দ্য ওয়ান্ডারফুল উইজার্ড অব অজ বইয়ের সবচেয়ে সফল উপযোগকরণ হিসেবেও স্বীকৃত।[৬] এতে ডরোথি গেল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জুডি গারল্যান্ড, জাদুকরের ভূমিকায় ফ্র্যাঙ্ক মরগ্যান, এবং অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রে বলজার, বার্ট লার, জ্যাক হ্যালি, বিলি বার্ক, মার্গারেট হ্যামিলটন, চার্লি গ্রেপউইন, প্যাট ওয়ালশ ও ক্লারা ব্ল্যান্ডিক।
টেকনিকালারের ব্যবহার, কাল্পনিক গল্পকথন, সঙ্গীতের সুর, ও স্মরণীয় চরিত্রের জন্য চলচ্চিত্রটি উল্লেখযোগ্য এবং মার্কিন জনপ্রিয় সংস্কৃতির দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে। চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ ছয়টি বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে। ছবিটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারের দৌড়ে গন উইথ দ্য উইন্ড ছবিটির কাছে হেরে যায়। তবে ছবিটি শ্রেষ্ঠ মৌলিক সুর ও শ্রেষ্ঠ মৌলিক গানের জন্য একাডেমি পুরস্কার অর্জন করে, এবং জুডি গারল্যান্ড সম্মানসূচক একাডেমি শিশুশিল্পী পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৩৯ সালের আগস্টে মুক্তির পর ছবিটি সমালোচক কর্তৃক প্রশংসিত হলেও ছবিটি মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারকে মুনাফা এনে দিতে পারে নি। মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের সেই সময়ের সর্বোচ্চ বাজেটের চলচ্চিত্র দ্য উইজার্ড অব অজ ২,৭৭৭,০০০ মার্কিন ডলারের বিপরীতে মাত্র ৩,০১৭,০০০ মার্কিন ডলার আয় করতে সমর্থ হয়।[৩][৭][৮]
দ্য উইজার্ড অব অজ চলচ্চিত্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৩৭ সালে জনপ্রিয় শিশুতোষ গল্প ও রূপকথার গল্প অবলম্বনে ডিজনির স্নো হোয়াইট অ্যান্ড দ্য সেভেন ডোয়ার্ফ্স ছবিটি ব্যবসাসফল হওয়ার পর।[৯][১০] ১৯৩৮ সালের জানুয়ারি মাসে মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের স্যামুয়েল গোল্ডউইন অত্যন্ত জনপ্রিয় উপন্যাসের স্বত্ব ক্রয় করেন, এবং এডি ক্যান্টরের সাথে চলচ্চিত্র নির্মাণের ব্যাপারে আলোচনা করেন। ক্যান্টর তখন গোল্ডউইন স্টুডিওর সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিল এবং গোল্ডউইন চেয়েছিলেন তিনিই কাকতাড়ুয়া চরিত্রে অভিনয় করবেন।[১০]
মূল চিত্রগ্রহণ শুরু হওয়ার পূর্বে পাণ্ডুলিপিটি বেশ কয়েকজন লেখক পরীক্ষা করেন এবং সংশোধনী আনেন।[১১] মারভিন লেরয়ের সহকারী উইলিয়াম এইচ. ক্যানন চার পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রূপরেখা জমা দেন।[১১] সেই সময়ের পূর্বে নির্মিত কাল্পনিক চলচ্চিত্রসমূহ খুব ভাল ব্যবসা করতে পারে নি, ফলে তিনি গল্প থেকে যাদুর উপাদানসমূহে পরিবর্তন আনতে বা বাদ দেওয়ার উপদেশ দেন। তার রূপরেখায় কাকতাড়ুয়া চরিত্রটি এতই বোকা ছিল যে তার একমাত্র কাজই হল শস্যক্ষেত্রে কাকদের ভয় দেখানো, এবং টিন ম্যান খুবই হৃদয়হীন অপরাধী যে তাকে আজীবন টিনের পোশাকে আবদ্ধ থাকার সাজা দেওয়া হয়, এই সাজা তাকে ভদ্র ও দয়ালু করে তোলে।[১১] ক্যাননের এই রূপরেখার মত ল্যারি সেমনের এই গল্পের ১৯২৫ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রেও যাদুর উপদান অনুপস্থিত ছিল।
লেরয় পরবর্তীতে চিত্রনাট্যকার হারমান জে. মাঙ্কিউইজের সাথে চিত্রনাট্যের উন্নয়নের জন্য চুক্তি করেন। তিনি অল্প দিনের মধ্যে কানসাস দৃশ্যের ১৭ পৃষ্ঠার পাণ্ডুলিপি জমা দেন এবং কয়েক সপ্তাহ পরে আওর ৫৬ পৃষ্ঠার পাণ্ডুলিপি জমা দেন। নোল ল্যাংলি ও কবি ওগডেন ন্যাশের সাথে এই গল্পের ভিন্ন সংস্করণ লেখার জন্য চুক্তি করা হয়। তিনজনের কেউ কাউকে চিনত না এবং এটি ব্যতিক্রমধর্মী কোন কৌশলও ছিল না। ন্যাশ চার পৃষ্ঠার রূপরেখা জমা দেন, ল্যাংলি ৪৩ পৃষ্ঠার এবং চলচ্চিত্রের পূর্ণ পাণ্ডুলিপি জমা দেন। লেরয় পরে আরও তিনজনের সাথে চুক্তি করেন, এবং এইবার তিনি গানসহ লেখার জন্য হ্যারল্ড আর্লেন ও ইপ হারবার্গের সাথে চুক্তি করেন। ফ্লোরেন্স রায়ারসন এবং এডগার অ্যালান উল্ফ একটি পাণ্ডুলিপি জমা দেন এবং লেখনীতে সংশোধনী আনার জন্য বোর্ডের অধীনে নেওয়া হয়। তারা বমের বইয়ের কথিত বর্ণনার সাথে চলচ্চিত্রের কাহিনীর মিল রাখার দায়িত্ব নেন। প্রযোজক আর্থার ফ্রিড তাদের কাজে খুশি ছিলেন না এবং পুনরায় ল্যাংলিকে এই দায়িত্ব দেন।[১২] চিত্রগ্রহণকালী ভিক্টর ফ্লেমিং ও জন লি মাহিন পুনরায় পাণ্ডুলিপিটিতে কিছু দৃশ্য সংযোজন ও বিয়োজনের মাধ্যমে সংশোধনী আনেন। পাশাপাশি জ্যাক হ্যালি এবং বার্ট লার কানসাস দৃশ্যের জন্য তাদের নিজস্ব কিছু সংলাপ রচনা করেন।
বেশ কয়েকটি সংশোধনীর পর ১৯৩৮ সালের ৮ অক্টোবর চূড়ান্ত পাণ্ডুলিপি গৃহীত হয়।[১৩] সর্বোপরি, এটি কয়েকজন সৃষ্টিশীল মননের মিশ্রণ, কিন্তু এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকার হিসেবে পর্দায় ল্যাংলি, রায়ারসন এবং উল্ফের নাম দেখা যায়। পূর্বে উল্লেখিত অবদানকারীদের পাশাপাশি অন্যান্য যারা এই চিত্রনাট্য উন্নয়নে সাহায্য করেন কিন্তু যাদের নাম উল্লেখিত হয় নি তারা হলেন আরভিং ব্রেচার, হারবার্ট ফিল্ড্স, আর্থার ফ্রিড, ইপ হারবার্গ, স্যামুয়েল হফেনস্টাইন, জ্যাক মিনৎজ, সিড সিলভার্স, রিচার্ড থর্প, জর্জ কুকর ও কিং ভিডর।[১০]
আয়োজনের তারিখ | বিভাগ | মনোনীত | ফলাফল | সূত্র |
---|---|---|---|---|
২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ার | মনোনীত | [১৪] |
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণ, রঙিন | হ্যারল্ড রোসন | |||
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশনা | সেড্রিক গিবন্স ও উইলিয়াম এ. হর্নিং | |||
শ্রেষ্ঠ ইফেক্টস, বিশেষ | এ. আর্নল্ড গিলেস্পি ও ডগলাস শিয়ারার | |||
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত, মৌলিক সুর | হারবার্ট স্টোথার্ট | বিজয়ী | ||
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত, মৌলিক গান | "ওভার দ্য রেইনবো" সঙ্গীত হ্যারল্ড আর্লেন; গীত ইপ হারবার্গ | |||
একাডেমি শিশুশিল্পী পুরস্কার | জুডি গারল্যান্ড (যৌথভাবে বেবস ইন আর্মস ও দ্য উইজার্ড অব অজ ছবিতে তার অভিনয়ের জন্য)। |
সম্মানসূচক |
আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট (এএফআই) এর নিম্নোক্ত তালিকায় দ্য উইজার্ড অব অজ স্থান পেয়েছে।
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Harmetz
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি