![]() মূল প্রচ্ছদ | |
লেখক | এল. ফ্র্যাঙ্ক বম |
---|---|
অঙ্কনশিল্পী | উইলিয়াম ওয়ালেস ডেন্স্লো |
প্রকাশনার স্থান | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
ধারাবাহিক | দ্য অজ |
ধরন | কাল্পনিক, কিশোর উপন্যাস |
প্রকাশক | জর্জ এম. হিল কোম্পানি |
প্রকাশনার তারিখ | ১৭ মে ১৯০০ |
ওসিএলসি | ৯৫০৬৮০৮ |
পরবর্তী বই | দ্য মার্ভেলাস ল্যান্ড অব অজ |
দ্য ওয়ান্ডারফুল উইজার্ড অব অজ (ইংরেজি: The Wonderful Wizard of Oz; /ɑːz/; বাংলা অনুবাদ: অজের বিস্ময়কর জাদুকর) হল এল. ফ্র্যাঙ্ক বম রচিত মার্কিন কাল্পনিক কিশোর উপন্যাস। বইটির চিত্রাঙ্কন করেন উইলিয়াম ওয়ালেস ডেন্স্লো। এটি শিকাগো থেকে ১৯৯০ সালের ১৭ মে প্রকাশিত হয় এবং প্রকাশ করে জর্জ এম. হিল কোম্পানি। এরপর থেকে বইটি বিভিন্ন উপলক্ষে বহুবার পুনর্মুদ্রিত হয়েছে, বেশিরভাগই "দ্য উইজার্ড অব অজ" নামে, যা মূলত জনপ্রিয় ১৯০২ সালের ব্রডওয়ের গীতিনাট্যের শিরোনাম ছিল এবং পরে তা ১৯৩৯ সালের সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্রেও গৃহীত হয়।
জর্জ এম. হিল কোম্পানি বইটি প্রকাশ করে। ১৯০০ সালের ১৭ মে বইটির প্রথম কপি প্রেস থেকে বের হয় এবং বম নিজ হাতে তা সমন্বয় করে এবং তার বোন মারি লুই বম ব্রিউস্টারকে উপহার দেন। পাঠক প্রথম বইটি খুঁজে পান শিকাগোর পালমার হাউজ হিল্টনে ৫-২০ জুলাই অনুষ্ঠিত বই মেলায়। বইটির গ্রন্থস্বত্ব রেজিস্টার করা হয় ১ আগস্ট এবং পূর্ণ পরিবেশনা শুরু হয় সেপ্টেম্বর মাসে। বইটির প্রথম সংস্করণের ১০,০০০ কপি মুদ্রণ করা হয়েছিল এবং ১৯০০ সালের ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অগ্রিম বিক্রি হয়েছিল।[১] ১৯০০ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে বইটির প্রথম সংস্করণ বিক্রি শেষ হয়ে যায় এবং দ্বিতীয় সংস্করণে আরও ১৫,০০০ কপি বের করা হয়।[২]
হিল্স পাবলিশিং কোম্পানি ১৯০১ সালে দেউলিয়া ঘোষিত হয়, ফলে বম এবং ডেন্স্লো উপন্যাসের প্রকাশনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইন্ডিয়ানাপোলিস ভিত্তিক ববস-মেরিল কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।[৩]
বমের পুত্র হ্যারি নিল বম ১৯৪৪ সালে শিকাগো ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে এল. ফ্র্যাঙ্ক কিশোরদের "তার পাঠক হওয়ার পূর্বে খামখেয়ালিপূর্ণ গল্প" বলেছেন। হ্যারি তার পিতাকে "আমার পরিচিত খুবই বড় মনের মানুষ" বলে উল্লেখ করেন।[৪]
১৯৩৮ সালের মধ্যে বইটির ১ মিলিয়ন কপি মুদ্রিত হয়।[৫] দুই দশক পরে ১৯৫৬ সালে এই উপন্যাসের মুদ্রণের সংখ্যা দাঁড়ায় তিন মিলিয়ন।[৩]
জর্জ এম. হিল ১৯০২ সালে দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর, এই বইয়ের স্বত্ত্ব চলে যায় ববস-মেরিল কোম্পানির কাছে। তাদের প্রকাশিত সংস্করণে লেখার রঙ এবং রঙের উপাদানের অভাব লক্ষ্য করা যায়। বইটি ১৯৫৬ সালে পাবলিক ডোমেইনে প্রবেশ করার পূর্ব পর্যন্ত এরকমই ছিল এবং পরে এর নতুন সংস্করণে মূল সংস্করণের রঙ ও নতুন ছবি যোগ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংস্করণসমূহ হল ব্যারি মসার কর্তৃক অঙ্কিত ১৯৮৬ সালের পেনিরয়েল সংস্করণ, যা পরে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া প্রেস থেকে পুনর্মুদ্রিত হয়, এবং ২০০০ সালের মাইকেল প্যাট্রিক হার্ন সম্পাদিত অ্যানোটেটেড উইজার্ড অব অজ, যা ডব্লিউ. ডব্লিউ. নর্টন থেকে প্রকাশিত হয় ও মূল সংস্করণের রঙ ও ছবি ছিল, এবং উইলিয়াম ওয়ালেস ডেন্স্লোর শিল্পকর্ম ছিল। অন্যান্য শতবার্ষিকী সংস্করণের মধ্যে রয়েছে মাইকেল ম্যাককুর্ডির চিত্রসহ ইউনিভার্সিটি প্রেস অব কানসাস এর কানসাস শতবার্ষিকী সংস্করণ, এবং রবার্ট সাবুডার পপ-আপ বই।
ফ্র্যাঙ্ক বম দ্য ওয়ান্ডারফুল উইজার্ড অব অজ বই লেখার সময় অনুবর্তী পর্ব লেখার কথা ভাবেন নি। উপন্যাসটি পড়ার পর হাজার হাজার কিশোর অজকে নিয়ে আরেকটি গল্প লেখার জন্য তার নিকট চিঠি লিখেন। ১৯০৪ সালে জনগণের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে তিনি এই উপন্যাসের প্রথম অনুবর্তী পর্ব দ্য মার্ভেলাস ল্যান্ড অব অজ রচনা করেন।[৬] পরে তিনি ১৯০৭, ১৯০৮ ও ১৯০৯ সালে আরও অনুবর্তী পর্ব রচনা করেন। ১৯১১ সালে তিনি দ্য এমারেল্ড সিটি অব অজ বইতে লিখেন যে তিনি অনুবর্তী পর্ব লিখন চালিয়ে যেতে পারবেন না কারণ অজল্যান্ড বাকি বিশ্বের সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে। কিশোররা এই গল্প গ্রহণ করে নি, ফলে বম ১৯১৩ সালে এবং ১৯১৯ সালে তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পরের প্রতি বছরে একটি করে মোট ১৩টি অনুবর্তী পর্ব রচনা করেন। ১৯১৯ সালে বমের মৃত্যুর পর তার প্রকাশকেরা আরও অনুবর্তী পর্ব লেখার জন্য রুথ প্লামলি থম্পসনের সাথে চুক্তি করেন, যিনি আরও ২১টি উপন্যাস রচনা করেন।[৭] ১৯১৩ থেকে ১৯৪২ সালের ক্রিসমাসে প্রতি বছর একটি করে মূল উপন্যাস প্রকাশিত হত।[৮] ১৯৫৬ সালের মধ্যে অজ বইয়ের ইংরেজি ভাষার পাঁচ মিলিয়ন কপি প্রকাশিত হয় এবং আরও আটটি ভাষায় লক্ষাধিক কপি প্রকাশিত হয়।[৩]
দ্য ওয়ান্ডারফুল উইজার্ড অব অজ বইয়ের গল্প অন্যান্য মাধ্যমে বহুবার গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল জুডি গারল্যান্ড, রে বলজার, জ্যাক হ্যালি ও বার্ট লার অভিনীত ১৯৩৯ সালের সঙ্গীতধর্মী দ্য উইজার্ড অব অজ। এই চলচ্চিত্র সংস্করণ মুক্তির পূর্ব পর্যন্ত এই উপন্যাস অবলম্বনে ব্যবসাসফল ১৯০২ সালের ব্রডওয়ের গীতিনাট্য ও তিনটি নির্বাক চলচ্চিত্রসহ বেশ কিছু মঞ্চ ও চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে, যা বর্তমানে খুব পরিচিত নয়। ১৯৩৯ সালের চলচ্চিত্রটিকে এর গান, বিশেষ ইফেক্টস, এবং টেকনিকালারের ব্যবহারের প্রচলনের জন্য সৃজনশীল বিবেচনা করা হয়।[৯]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Delaney
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি