![]() | |
লেখক | জুল ভার্ন |
---|---|
মূল শিরোনাম | লেজ আন্দ নোয়া |
অনুবাদক | ডাব্লিউ.এইচ.জি. কিংস্টন |
অঙ্কনশিল্পী | জুল ফেহা |
প্রকাশনার স্থান | ফ্রান্স |
ভাষা | ফরাসি |
ধারাবাহিক | দ্য এক্সট্রাঅর্ডিনারি ভয়েজেস #১৬ |
ধরন | আডভেঞ্চার উপন্যাস |
প্রকাশক | পিয়েরে জুল হেতজেল |
প্রকাশনার তারিখ | এপ্রিল ১৮৭৭ |
ইংরেজিতে প্রকাশিত | ১৮৭৭ |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রণ (হার্ডব্যাক) |
পূর্ববর্তী বই | অফ অন আ কমেট |
পরবর্তী বই | ডিক স্যান্ড, আ ক্যাপ্টেন অ্যাট ফিফটিন |
লেজ আন্দ নোয়া (আক্ষরিক অর্থে দ্য ব্ল্যাক ইন্ডিস) হল ফরাসি লেখক জুল ভার্নের লেখা একটি উপন্যাস যা ১৮৭৭ সালের মার্চ ও এপ্রিলে লে টেম্পস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। এর পরপরই পিয়েরে-জুল হেতজেল উপন্যাসটি প্রকাশ করেন।[১] স্যাম্পসন লো, মার্সটন, সার্ল ও রিভিংটন ১৮৭৭ সালের অক্টোবর মাসে দ্য চাইল্ড অফ দ্য ক্যাভার্ন, বা স্ট্রেঞ্জ ডুইংস আন্ডারগ্রাউন্ড নামে বইটির প্রথম ইউকে সংস্করণ প্রকাশ করে। উপন্যাসটির অন্যান্য ইংরেজি শিরোনামের মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাক ডায়মন্ডস ও দ্য আন্ডারগ্রাউন্ড সিটি।[২]
স্কটল্যান্ডের স্টার্লিংয়ের নিকটে অবস্থিত অ্যাবেরফয়েল গ্রামের খনিশ্রমিক সম্প্রদায়ের ভাগ্য নিয়ে রচিত এই উপন্যাসে প্রায় দশ বছরেরও বেশি সময়ের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। প্রাক্তন সহকর্মীর কাছ থেকে চিঠি পেয়ে খনি প্রকৌশলী জেমস স্টার অ্যাবেরফয়েল খনির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। পুরনো এই খনিটির খননকাজ দশ বছর আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে বলে ভাবা হত। স্টার দেখতে পায় খনির তত্ত্বাবধায়ক সাইমন ফোর্ড তার পরিবার নিয়ে খনির গভীরে একটি কুটিরে বাস করছে। ফোর্ড একটি বড় কয়লার শাখার উপস্থিতি খুঁজে পেয়েছে জানতে পেরে সে বিস্মিত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সাইমন ফোর্ডের সঙ্গী তার স্ত্রী ম্যাজ ও প্রাপ্তবয়স্ক পুত্র হ্যারি।
কাহিনীর শুরু থেকেই প্রধান চরিত্রগুলোকে ঘিরে রহস্যময় ও ব্যাখ্যাতীত ঘটনা ঘটতে শুরু করে। প্রথমদিকে এর পেছনে গবলিন ও ফায়ারমেইডেনদের দায়ী করা হয়।
কয়লার নতুন শাখাটি আবিষ্কারের কিছুদিনের মধ্যেই লক ম্যালকম নামক ভূগর্ভস্থ হ্রদের চারদিক ঘিরে গড়ে উঠে একটি নতুন শহর ও সম্প্রদায়টি পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠে।
অমঙ্গলকারী কোন শক্তির প্রভাবে সব ঘটছে এরূপ সন্দেহে হ্যারি খনির ভিতরে তার অনুসন্ধান অব্যাহত রাখে। খনির গভীরে একটি খাদে সে নেল নামক এক অল্পবয়সী অনাথ মেয়েকে খুঁজে পায়। পরবর্তী কয়েক বছরের বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সাইমন ও ম্যাজ নেলকে দত্তক নেয়। খনির বাইরে কখনো সে যায়নি, এ তথ্যটি ছাড়া নেল নিজের অতীত সম্পর্কে কিছুই প্রকাশ করে না।
অবশেষে হ্যারি ও নেল তাদের বিয়ের ঘোষণা দিলে রহস্যময় ঘটনাগুলোর সমাপ্তি ঘটে। সবগুলো ঘটনাই খনির আরেক সাবেক কর্মচারী সিলফ্যাক্স ঘটিয়েছে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়। সিলফ্যাক্স ও তার প্রশিক্ষিত তুষার প্যাঁচা খনিটি বন্ধ হওয়ার সময় থেকে এতে বাস করছিল।
ভার্নের লেখা আরও অনেক চরিত্রের মতই রয়্যাল ইন্সটিটিউশানের একজন সম্মানিত সদস্য জেমস স্টার তৎকালীন শিক্ষিত "অভিজাত সম্প্রদায়ের" সদস্য ছিল।