![]() | |
![]() ৯ই জুলাই ২০০৯-এ জাকার্তা পোস্টের প্রথম পাতা | |
ধরন | দৈনিক পত্রিকা |
---|---|
ফরম্যাট | ব্রডশিট |
মালিক | পিটি বিনা মিডিয়া তেংগারা |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২৫শে এপ্রিল, ১৯৮৩ (১৫২৫৬টি প্রকাশ) |
সদর দপ্তর | জেআই. পাল্মিরাহ বারাত ১৪২–১৪৩ জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া |
আইএসএসএন | ০২১৫-৩৪৩২ |
ওয়েবসাইট | www.thejakartapost.com |
দ্য জাকার্তা পোস্ট (ইংরেজি: The Jakarta Post) হল ইন্দোনেশিয়ার একটি ইংরেজি ভাষার দৈনিক পত্রিকা। পত্রিকাটির মালিক হল পিটি বিনা মিডিয়া তেংগারা। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় এর সদর দপ্তর অবস্থিত।
পত্রিকাটি দেশটির তথ্যমন্ত্রী আলী মুরতোপো ও রাজনীতিবিদ জুসুফ ওয়ানান্দির পৃষ্ঠপোষকতায় এবং চারটি ইন্দোনেশীয় গণমাধ্যমের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২৫শে এপ্রিল ১৯৮৩-এ প্রথম প্রকাশের পর, এটি বেশ কয়েক বছর সীমিত বিজ্ঞাপন এবং ক্রমবর্ধমান পাঠক নিয়ে অতিবাহিত করে। ১৯৯১ সালে প্রধান সম্পাদকদের মাঝে পরিবর্তন আনার পর, এটি আরও অধিক গণতন্ত্রপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা শুরু করে। ১৯৯৭ সালের এশীয় অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময়ে টিকে থাকা অল্প কিছু ইন্দোনেশীয় ইংরেজি দৈনিকের মাঝে এটি অন্যতম। বর্তমানে এর পাঠক সংখ্যা প্রায় ৪০,০০০।
পত্রিকাটি মূল প্রকাশনার পাশাপাশি রবিবারে পৃথক এবং অনলাইনে বিশদ বিবরণ সংবলিত বিস্তারিত সংস্করণ প্রকাশ করে থাকে। পত্রিকাটির প্রধান লক্ষ্য হল বিদেশী এবং শিক্ষিত ইন্দোনেশীয় পাঠক আকর্ষণ, যদিও এর মধ্যবিত্ত পাঠকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পত্রিকাটি স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র হিসেবে সুপরিচিত। ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক হিসেবে খ্যাত এই পত্রিকাটি একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননার অধিকারী।[১] পত্রিকাটি এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্কের সদস্য।
জাকার্তা পোস্ট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাটি ছিল দেশটির তথ্যমন্ত্রী আলী মুরতোপো এবং রাজনীতিবিদ জুসুফ ওয়ানান্দির মস্তিষ্কপ্রসূত। মুরতোপো ও ওয়ানান্দি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের বিষয়ে হতাশ ছিলেন।[২] সেই সময়ে, ইংরেজি ভাষার দুটি দৈনিক পত্রিকা ছিল, দ্য ইন্দোনেশিয়া টাইমস এবং ইন্দোনেশিয়ান অবজারভার।[৩] প্রচলিত পত্রিকা দুটি সম্পর্কে জনগণের নেতিবাচক ধারণার কারণে তারা একটি নতুন পত্রিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন। পত্রিকার বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিতকরণে, তারা দুজন কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকাকে উক্ত পত্রিকার পৃষ্ঠপোষক হতে রাজি করালেন; এগুলো হল গোল্কার-সমর্থিত সুয়ারা কারেয়া, ক্যাথলিক-মালিকানার কম্পাস, প্রটেস্টান্ট-মালিকানাধীন সিনার হারাপান এবং সাপ্তাহিক টেম্পো)।[২] পত্রিকাটিকে একটি মানসম্মত ইংরেজি-ভাষার পত্রিকা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যাশা করা হয়, যা সিঙ্গাপুরের দ্য স্ট্রেইটস টাইমস, থাইল্যান্ডের দ্য ব্যাংকক পোস্ট, এবং মালয়েশিয়ার নিউ স্ট্রেইটস টাইমস এর সমতুল্য হবে।[৪]
পত্রিকাটিকে পৃষ্ঠপোষণ করার লক্ষ্যে" পিটি বিনা মিডিয়া তেংগারা" প্রতিষ্ঠার পর,[৫] ওয়ানান্দি বিভিন্ন উদ্দিষ্ট পত্রিকায় প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যোগাযোগে বেশ কয়েক মাস ব্যয় করেন। তাদের পারস্পারিক সহায়তা পেতে, "কম্পাস" নতুন পত্রিকাটির ২৫% শেয়ার দাবি করে, যার বিনিময়ে এটি মুদ্রণ, বিপণন ও প্রচারণার মত দৈনিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। "টেম্পো" ১৫% শেয়ারের বিনিময়ে ব্যবস্থাপনায় সহায়তার প্রস্তাব দেয়, অপর দিকে "সিনার হারপান"কে স্টক দেয়ার বিনিময়ে সিনার হারপানের সাবাম সিয়াগিয়ানকে প্রথম প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। দেশটির পরবর্তী তথ্যমন্ত্রী হারমোকোও পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন, যিনি লাইসেন্স প্রদানে ভূমিকা রাখার জন্য ৫% লভ্যাংশ পান। সব মিলিয়ে, এর প্রাথমিক প্রতিষ্ঠা খরচ ছিল ৫০০ মিলিয়ন ইন্দোনেশিয়ান রুপি, (তৎকালীন ইউএস$৭০০,০০০)।[৬] মুহাম্মাদ চৌধুরী, জাকার্তা পোস্টের একজন সহপ্রতিষ্ঠাতা যিনি পূর্বে অন্তরা নিউজ এজেন্সির সাংবাদিক ছিলেন, তিনি পত্রিকার প্রথম মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব নেন।[৭]
১৯৮৩ সালের মার্চে ওয়ানান্দির অফিসের এক বৈঠকে সিনার হারাপানের স্টক শেয়ার, প্রকাশক সহ আরও অনেক বিষয়ের সিদ্ধাত গৃহীত হয়।[৮] পরের মাসের, ২৫শে এপ্রিলে, প্রথম সংস্করণ — ৮ পৃষ্ঠাসহ — প্রকাশিত হয়।[৯] পত্রিকাটির প্রথম নিউজরুম ছিল "কম্পাস" পত্রিকার প্রাক্তন লন্ড্রি ঘর, একটি একতালা গুদামঘর; প্রথমদিকের কর্মচারীদেরকে মুদ্রণযন্ত্র ব্যবহার করে হাতেই এর নমুনা তৈরি করতে হতো।[১০] প্রথম কয়েক মাস ব্যাপী, লেখকগণ ইন্দোনেশীয় গণমাধ্যমে পূর্বপ্রকাশিত সব খবরাখবর ভাষান্তর করে ছাপাতেন, যা এরপর বিদেশী টেলিগ্রাম প্রতিষ্ঠানগুলো কিনে নিত। সম্পাদকদের মাঝে প্রকৃত সাংবাদিকতা বিরল ছিল কারণ সম্পাদকগণ প্রথম দিকে সুহারতোর সরকারের নিউ অর্ডারের ছাড়পত্র জটিলতায় জড়াতে চান নি।[১১]
প্রকাশনার শুরুর দিকে, জাকার্তা পোস্ট বিজ্ঞাপনদাতাদের সহজে আকৃষ্ট করতে পারেনি, ফলে কিছু সংস্করণ বিজ্ঞাপন ছাড়াই প্রকাশিত হয়েছিল।[১২] যাই হোক, এর পাঠকসংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়, ১৯৮৩ সালে ৮,৬৫৭ থেকে ১৯৮৮ সালে ১৭,৪৮০ তে। প্রথম ৩ বছরের মাথায় পত্রিকাটি লাভের মুখ দেখবে বলে আসা করলেও, বাস্তবে ১৯৮০-এর মন্দার কারণে পূর্বের জমানো তহবিলও শেষ হয়ে যায়। ফলে, ১৯৮৫ সালে পত্রিকাটি এর মালিকদের কাছ থেকে ৭০০ মিলিয়ন রুপি সুদবিহীনভাবে ধার নেয়। পরবর্তীতে বিজ্ঞাপন বৃদ্ধি পাবার পর, অবশেষে ১৯৮৮ সালে পত্রিকাটি লাভের মুখ দেখে,[১৩] এবং ইন্দোনেশিয়ার "অন্যতম বিশ্বাসযোগ্য পত্রিকা" হিসেবে বিবেচিত হয়।[১৪]
সিয়াগিয়ান অস্ট্রেলিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত নির্বাচিত হওয়ার পর, সুশান্ত পুদজমারতোনো, টেম্পোর প্রাক্তন প্রধান সম্পাদক, ১৯৯১ সালের ১লা আগস্ট জাকার্তা পোস্টের দ্বিতীয় প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পান।[১৫] পুদজমারতোনোর নেতৃত্বে, পত্রিকাটি অনূদিত সংবাদের পরিবর্তে মৌলিক সংবাদে অধিক মনোযোগ দেয়; সাংবাদিকদেরও পত্রিকার দৈনিক কার্যক্রমে আরও মনযোগী ভূমিকা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।[১৬] রাজনীতির বিষয়েও পত্রিকাটি "টেম্পো"র ন্যায় গণতন্ত্রপন্থী অবস্থান নেয়ার মাধ্যমে আরও স্পষ্টভাষী হয়ে ওঠে।[১৬][১৭] শিঘ্রই, পত্রিকাটি কম্পাস পত্রিকার পেনসন তহবিলকে কাজে লাগিয়ে পুরাতন অফিস বদলে নতুন দুইতলা দালানে কার্যক্রম শুরু করে[১৮] এবং পৃষ্ঠা সংখ্যা ১২তে বৃদ্ধি করে।[১৯]
১৯৯৪ সালে, জাকার্তা পোস্ট ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এবং মার্কিন ডায়লগ ইনফরমেশন সার্ভিস এর সাথে একটি বিপণন চুক্তি সাক্ষর করে, যাতে পত্রিকাটির সংবাদসমূহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়।[২০] ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি, এটি এর নতুন বিদেশী কর্মচারীদের জন্য স্থানীয় সংস্কৃতি শেখানোর একটি কার্যক্রম হাতে নেয়।[২১] ১৯৯৮ এর ডিসেম্বরের মধ্যে, জাকার্তা পোস্টের পাঠক সংখ্যা ৪১,০৪৯ এ গিয়ে দাড়ায়,[২০] এবং ১৯৯৭-এর এশিয়ান অর্থনৈতিক সঙ্কট এরপর ইন্দোনেশিয়ার সাতটি ইংরেজি পত্রিকার মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে নেয়।[২২][২৩] একই বছর, পত্রিকাটি এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক-এর সদস্যপদ লাভ করে।[২৪]
২০০৮ এর নভেম্বরে, ধনাঢ্য ব্যবসায়ী জেমস রিয়াডির পৃষ্ঠপোষকতায় জাকার্তা গ্লোব পত্রিকা প্রতিষ্ঠার পর,[২৩] জাকার্তা পোস্ট এক তুমুল প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়। জাকার্তা পোস্টের বহু সাংবাদিক জাকার্তা গ্লোবে যোগদান করেন, এবং এরপর এর পাঠকসংখ্যা কমে ৪০,০০০ গিয়ে ঠেকে। ২০১১-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], বর্তমানে পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক হলেন মেইদ্যাতামা সূর্যদনিংরাত।[২৪]
১৯৯৪ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর জাকার্তা পোস্টের রবিবার সংস্করণ প্রথম প্রকাশিত হয়। উক্ত সংস্করণে বিনোদন, কল্পকাহিনীসহ আরও অধিক বিশদ-বিবরণ সংবলিত রচনা অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা সাপ্তাহিক সংখ্যাগুলোতে প্রকাশিত হয় না।[২৫]
জাকার্তা পোস্টের অনলাইন সংস্করণে মুদ্রিত সংস্করণ এবং বিস্তারিত সংস্করণ উভয়ই বিনামূল্যে পড়া যায়। এখানে তাৎক্ষনিক হালনাগাদকৃত সদ্য সঙ্ঘটিত সংবাদসমূহও পাওয়া যায়। পত্রিকাটির লক্ষ্য হল পূর্বে প্রকাশিত সকল সংখ্যার সংবাদ অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা। ইতোমধ্যেই ১৯৯৪ সালের জুন পর্যন্ত সকল সংখ্যা অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে গেছে।[২৬]
২০১২ সালের ৯ই এপ্রিল পত্রিকাটি বালি উপদ্বীপে তাঁদের ৪,৯০০ নিয়মিত পাঠকের উদ্দেশ্যে "বালি ডেইলি" নামক বালিতে নির্মিত চার পাতার একটি পত্রিকার প্রকাশনা শুরু করে।[২৭]
জাকার্তা পোস্টের মূল লক্ষ্য হল ইন্দোনেশীয় ব্যবসায়ী, উচ্চ-শিক্ষিত এবং বিদেশি পাঠকদেরকে ঘিরে।[১][৯] ১৯৯২ সালে, পত্রিকাটির ৬২% পাঠক ছিল প্রবাসী ইন্দোনেশিয়ান। পুদজমারতোনোর নেতৃত্বে পত্রিকাটি আরও পাঠক বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করে।[১৮] ২০০৯-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], এর ৪০,০০০ পাঠকের মধ্যে অর্ধসংখ্যকই হল মধ্যবিত্ত ইন্দোনেশিয়ান।[২৩]
জাকার্তা পোস্ট একটি ব্রডশিট গঠনপ্রণালী অনুসরণ করে। শুরুর দিকে, এটি প্রথম পাতায় একটি সংবাদসূচিপত্র প্রদান করত,"This Odd World" শিরোনামের একটি কলামে অপ্রধান খবরগুলো প্রকাশিত হতো। লাইফস্টাইল বিভাগে আটটি কমিক স্ট্রিপ অন্তর্ভুক্ত থাকতো, এবং পত্রিকাটি অন্যান্য ইন্দোনেশীয় পত্রিকার তুলনায় অধিকসংখ্যক স্থিরচিত্র ও গ্রাফিক্স ব্যবহার করত। তবে এর সম্পাদকীয় অংশটি ছিল অন্যান্য পত্রিকার তুলনায় অনেক ছোট।[১১]
জাকার্তা পোস্ট তাদের সংবাদ তৈরিতে ইনভার্টেড পিরামিড নামক শৈলী ব্যবহার করে থাকে, যাতে সংবাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সংবাদের শুরুতে উল্লেখিত থাকে;[১৪] যদিও ১৯৮০র দশকের সময় থেকে, অনেক ইন্দোনেশীয় পত্রিকা মূল অনুচ্ছেদটি খবরের আরও শেষের দিকে রাখত।[৯] বিল ট্যারান্ট দুই ভাষার এই ভিন্ন শৈলীর লেখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন, যেখানে ইংরেজি ভাষায় কর্তৃবাচ্যে এবং প্রত্যক্ষ উক্তিতে লেখার প্রচলন ছিল, এবং সম্ভ্রান্ত ইন্দোনেশীয় ভাষায় কর্মবাচ্য ও পরোক্ষ উক্তির রচনা অধিক পছন্দনীয় ছিল।[২১] এ প্রসঙ্গে, ওয়ানান্দি বলেছেন যে, "আপনি ইংরেজিতে চাইলেও জাভানিজ শৈলীর মত করে আজেবাজে কথা বলতে পারবেন না।"[১৪]
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার পিটার গেলিং উদ্ধৃত করেন, জাকার্তা পোস্টকে স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং যা তাদেরকে শিক্ষানবিশ কার্যক্রম প্রদান করে। ২০০৯ সালে, জাকার্তা পোস্টের ৬ জন প্রাক্তন সাংবাদিক ব্লুমবার্গ পত্রিকায় কাজ শুরু করেন।[২৩] ২০১৪ সালে, অনলাইন পাঠকসংখ্যার দিক দিয়ে পত্রিকাটি দ্বিতীয় স্থানে ছিল।[২৮]
২০০৬ সালে, "দ্য রিপোর্টার্স ইউনিয়ন অব ইন্দোনেশিয়া" জাকার্তা পোস্টকে সাংবাদিকতার মূলনীতি ও আদর্শ শ্রেষ্ঠভাবে অনুসরণকারী অন্যতম ইন্দোনেশীয় পত্রিকা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়; অন্যান্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পত্রিকাগুলো ছিল "কম্পাস" এবং "জাওয়া পোস"।[২৯] ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে পত্রিকাটি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সুলিখিত, বিস্তারিত ও নির্ভুলতর সাংবাদিকতার জন্য অ্যাডাম মালিক পদক লাভ করে।[৩০] পরের বছর পত্রিকাটির তিনজন সাংবাদিক সংস্কৃতি, আইন এবং রাজনীতি বিষয় চমৎকার আলোকচিত্র ধারণের জন্য সাম্পোরনা থেকে আদিওয়ারতা পদক লাভ করে।[৩১] ২০১৪ সালে আরেক সাংবাদিক আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত তথ্যসংবলিত সংবাদ প্রদান করে মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করার জন্য অ্যাডাম মালিক পদক লাভ করেন।[৩২]