![]() দ্য টরেন্টস অব স্প্রিং-এর প্রচ্ছদ | |
লেখক | আর্নেস্ট হেমিংওয়ে |
---|---|
মূল শিরোনাম | The Torrents of Spring |
প্রকাশনার স্থান | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
ধরন | উপন্যাস |
পটভূমি | মিশিগান |
প্রকাশিত | মে ১৯২৬[১] |
প্রকাশক | স্ক্রিবনার্স |
মিডিয়া ধরন | শক্তমলাট |
আইএসবিএন | ০৬৮৪৮৩৯০৭৫ |
দ্য টরেন্টস অব স্প্রিং (ইংরেজি: The Torrents of Spring) হল আর্নেস্ট হেমিংওয়ে রচিত উপন্যাসিকা। এটি ১৯২৬ সালে প্রকাশিত হয়। "আ রোম্যান্টিক নভেল ইন অনার অব দ্য পাসিং অব আ গ্রেট রেস" উপ-শিরোনামে লেখা বইটিকে হেমিংওয়ে লেখকদের জগতকে ব্যঙ্গ করতে ব্যবহার করেছেন। এটি হেমিংওয়ের প্রথম দীর্ঘ কাজ এবং তিনি এটি শেরউড অ্যান্ডারসনের ডার্ক লাফটার-এর ব্যঙ্গ হিসেবে রচনা করেছেন।
ধারণা করা হয় হেমিংওয়ে দ্য টরেন্টস অব স্প্রিং রচনা করেছিলেন তার প্রকাশক বনি অ্যান্ড লিভরাইটের সাথে তার চুক্তি থেকে বের হয়ে আসার লক্ষ্যে, যদিও হেমিংওয়ে তা অস্বীকার করেন।[২] এই বইটি প্রত্যাখ্যান করার মধ্য দিয়ে বনি অ্যান্ড লিভরাইট তাদের চুক্তি বাতিল করেন। তার চিঠিতে হেমিংওয়ে তার উপন্যাসিকার জন্য খুবই দরদ প্রদর্শন করেন। তিনি ১৯২৬ সালের মে-জুলাই মাসে শেরউড অ্যান্ডারসনের কাছে প্রতিবেদন পাঠান যে তার প্রথম দীর্ঘ কাজের অনুপ্রেরণা ছিল তার "পুল পাঞ্চ"গুলো প্রত্যাখ্যান করা এবং অ্যান্ডারসনের কাজ থেকে উদ্যম লাভ এবং বনি অ্যান্ড লিভরাইটের সাথে তার চুক্তি বাতিল না করা।[৩]
দশ দিনে রচিত দ্য টরেন্টস অব স্প্রিং ছিল দাম্ভিক লেখকদের নিয়ে ব্যঙ্গ-রচনা। হেমিংওয়ে ১৯২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বইটির পাণ্ডুলিপি জমা দেন এবং মাসের শেষভাগে কাজটি প্রত্যাখ্যাত হয়। ১৯২৬ সালের জানুয়ারি মাসে ম্যাক্স পারকিন্স স্ক্রিবনার্স থেকে দ্য টরেন্টস অব স্প্রিং এবং তার অনাগত কাজগুলোও প্রকাশ করতে সম্মতি জানান।[৪] দ্য টরেন্টস অব স্প্রিং বইটি ১৯২৫ সালের মে মাসে স্ক্রিবনার্স থেকে প্রকাশিত হয়। প্রথম সংস্করণের ১২৫০ কপি মুদ্রণ বের হয়।[৫]
উপন্যাসিকাটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া লাভ করে, যদিও এটি অন্য লেখকদের প্রতি সমালোচনামূলক। সমালোচকদের কাছে কাজটি প্রত্যাখ্যাত হয় এবং তারা এই কাজটিকে একই বছর তার প্রকাশিত দ্য সান অলসো রাইজেস-এর তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখেন। তার সে সময়ের স্ত্রী হ্যাডলি রিচার্ডসন মনে করেন অ্যান্ডারসনের চরিত্রায়ন খুবই নোংরা ছিল; জন ডস প্যাসস বইটিকে মজাদার বিবেচনা করেন, কিন্তু তা প্রকাশিত হোক তা চাননি। অন্যদিকে এফ. স্কট ফিট্জেরাল্ড উপন্যাসিকাটিকে শ্রেষ্ঠকর্ম বলে বিবেচনা করেন।[৬] খুব কম সমালোচনাই বইটির পক্ষে ছিল এবং বইটিকে হেমিংওয়ের পরবর্তী কাজের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হয়।[৫]