দ্য ট্যুরিস্ট | |
---|---|
![]() | |
পরিচালক | ফ্লোরিয়ান হেঙ্কেল ভন ডানের্সমার্ক |
প্রযোজক | গ্র্যাহাম কিং টিম হেডিংটন রজার বার্নবাম গ্যারি বার্বার জোনাথন গ্লিকম্যান |
চিত্রনাট্যকার | ফ্লোরিয়ান হেঙ্কেল ভন ডানের্সমার্ক ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়ারি জুলিয়ান ফেলোয়েজ |
শ্রেষ্ঠাংশে | জনি ডেপ অ্যাঞ্জেলিনা জোলি পল বেটানি টিমোথি ডালটন স্টিভেন বার্কোফ রাফাস সিউয়েল ক্রিস্টিয়ান ডি সিকা |
সুরকার | জেমস নিউটন হাওয়ার্ড |
চিত্রগ্রাহক | জন সিলি |
সম্পাদক | জো হাটশিং প্যাট্রিসিয়া রোমেল |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | কলাম্বিয়া পিকচার্স (যুক্তরাষ্ট্র) অপটিমাম রিলিজিং (যুক্তরাজ্য) স্টুডিও ক্যানাল (ফ্রান্স) |
মুক্তি | ১০ ডিসেম্বর, ২০১০ |
স্থিতিকাল | ১০৩ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $১০০ মিলিয়ন[১] |
আয় | $৫,৩০,৯১,০০০[২] |
দ্য ট্যুরিস্ট (ইংরেজি: The Tourist) হচ্ছে ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি থ্রিলার চলচ্চিত্র। ফ্লোরিয়ান হেঙ্কেল ভন ডানের্সমার্ক পরিচালিত এই চলচ্চিত্রের মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনি ডেপ ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। চলচ্চিত্রটি মূলত ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ফরাসি চলচ্চিত্র অ্যান্থনি জিমার-এর পুনঃনির্মাণ।
এলিস (অ্যাঞ্জেলিনা জোলি) নামের প্যারিস ভ্রমণরত একজন নারীকে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কিছু গোয়েন্দা অনুসরণ করা শুরু করে। পরবর্তীতে একটি ক্যাফেতে অবস্থান করার সময় তার কাছে, প্রাক্তন প্রেমিকা আলেকজান্ডার পিয়ার্সের কাছে থেকে একটি চিঠি আসে। চিঠিতে তাকে ইতালির ভেনিসের উদ্দেশ্যে একটি নির্দিষ্ট ট্রেনে যাত্রা করতে বলে। চিঠিতে দেওয়া নির্দেশনায় আরও বলা হয়ে যে, যাত্রাপথে পুলিশের ঝামেলা থেকে বাঁচতে সে যেনো কোনো ছেলেকে সাথে রাখে, এবং পুলিশ প্রশ্ন করলে তাকে আলেকজান্ডার পিয়ার্স হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। এদিকে পুলিশের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন একজন অদ্ভুত ব্যক্তি এলিসকে অনুসরণ করা শুরু করে। চিঠি পাওয়ার পর এলিস ভেনিসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে চিঠিটি পুড়িয়ে ফেলে ও ট্রেন যাত্রা শুরু করে।
ট্রেনে এলিসের সহযাত্রী হয় ফ্র্যাংক (জনি ডেপ)। ফ্যাংক একজন মার্কিন পর্যটক, এবং সে গোয়ান্দা উপন্যাস পড়তে পছন্দ করে। এলিসকে দেখা মাত্রই ফ্র্যাংক তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। ভেনিসে এসে রেলভ্রমণ শেষ হলে তারা দুজনে এলিসের হোটেলের যাবার জন্য একটি নৌকা ভাড়া করে। রাতের খাবারের সময় এলিস ফ্র্যাংকে অন্য একটি মানুষের প্রতি তার ভালোবাসার আকর্ষণের কথা ব্যক্ত করে। ধারণা করা হয় সেই ব্যক্তিটি হচ্ছে আলেকজান্ডার পিয়ার্স। দুজন ব্যাপারটিকে সহজভাবে নিতে পরস্পরকে চুমু খায়, এবং এই দৃশ্যটি দেখে ফেলে এলিসকে অনুসরণ করা সেই অদ্ভুত ব্যক্তিটি।
পরের দিন, ফ্র্যাংক ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় যে, এলিস চলে গেছে। কিছু মানুষ হোটেল রুমে আসে তাদেরকে ধরার জন্য, কিন্তু ফ্র্যাংক পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ফ্র্যাং ইতালীয় পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। সহমর্মী একজন গোয়েন্দা পুলিশকে ফ্র্যাংক সবকিছু খুলে বলে, এবং এও বলে যে, সে জানে না কেনো ঐ লোকগুলো তাকে ধরতে এসেছিলো। পরবর্তীতে সেই গোয়েন্দা পুলিশটি এলিসের হোটেল রুমে আক্রমণকৃত ঐ লোকগুলোকে ধরার উদ্দেশ্যে ফ্রাংককে জেল থেকে মুক্ত করে।