দ্য পারসুইট অব হ্যাপিনেস | |
---|---|
পরিচালক | গ্যাব্রিয়েল মুচ্চিনো |
প্রযোজক | |
চিত্রনাট্যকার | স্টিভেন কনরাড |
উৎস | দ্য পারসুইট অব হ্যাপিনেস by ক্রিস গার্ডনার কুইন্সি ট্রুপ |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
বর্ণনাকারী | উইল স্মিথ |
সুরকার | আন্দ্রিয়া গুয়েররা |
চিত্রগ্রাহক | ফেডন পাপামাইকেল |
সম্পাদক | হিউজেস উইনবোর্ন |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | সনি পিকচার্স রিলিজিং |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১১৭ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $৫৫ মিলিয়ন[১] |
আয় | $৩০৭.১ মিলিয়ন[১] |
দ্য পারসুট অব হ্যাপিনেস ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি জীবনীধর্মী নাট্য চলচ্চিত্র। গ্যাব্রিয়েল মুচ্চিনো ছবিটি পরিচালনা করেছেন এবং শ্রেষ্ঠাংশে রয়েছেন উইল স্মিথ ও জাদেন স্মিথ। উইল স্মিথ গৃহহীন বিক্রেতা ক্রিস গার্ডনার ও জাদেন স্মিথ ক্রিস গার্ডনার জুনিয়রের চরিত্রে অভিনয় করেন। স্টিভেন কনরাড ছবিটির চিত্রনাট্য রচনা করেন। গার্ডনার ও কুইন্সি ট্রুপের ২০০৬ সালে রচিত আত্মজীবনী অবলম্বনে চিত্রনাট্যটি রচিত হয়েছে। গার্ডনার এক বছর ধরে গৃহহীন অবস্থায় যে সংগ্রামসঙ্কুল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যান, এটি তারই চিত্রায়ন। [২] ছবিটির শুদ্ধ নাম The pursuit of happiness হওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এর নাম হয় The pursuit of happyness. গার্ডনারের ছেলে যে দিবাযত্নকেন্দ্রে পরিচর্যিত হয়, তার বাইরের দেয়ালের ম্যুরালের বানান তাকে এই নাম রাখতে অনুপ্রাণিত করে।
২০০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর কলাম্বিয়া পিকচার্স ছবিটি মুক্তি দেয়। এটি মোটামুটি ইতিবাচক সমালোচনাই লাভ করেছিল। স্মিথের অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়। সেরা অভিনেতা ক্যাটাগরিতে এটি অস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব এর মনোনয়ন পায়। [৩]
১৯৮১ সালে সান ফ্রান্সিসকোর বিক্রয়কর্মী ক্রিস গার্ডনার তার সারা জীবনের সঞ্চয় বহনযোগ্য হাড় শনাক্তকারী যন্ত্রে বিনিয়োগ করেন। তিনি চিকিৎসকদের এটি প্রদর্শনপূর্বক বলেন, এটি সাধারণ এক্স-রে অপেক্ষা অধিক কার্যকর, কারণ এতে কোয়ান্টাম শক্তির ধারণা ব্যবহার করা হয়েছে। এই শনাক্তকারী যন্ত্রগুলো তার জীবনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি এগুলোর অধিকাংশ বিক্রি করতে সক্ষম হলেও বিক্রি করার শ্লথ গতি ও ক্রমবর্ধমান আর্থিক চাহিদা তার স্ত্রী লিন্ডাকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। লিন্ডা হোটেলে ভৃত্যের কাজ করে। তাদের ছেলে ক্রিস্টোফার জুনিয়রের বয়স শীঘ্রই পাঁচ বছর হবে। কিন্তু সাধারণ রঞ্জনরশ্মি যন্ত্র অপেক্ষা এগুলো অপেক্ষাকৃত অধিক দামি হলেও সামান্য ভালো ছবি তৈরি করতে পারে। এতে দ্রুতই ক্রিস সমস্যার সম্মুখীন হন। জীবনধারণের জন্য তিনি পর্যাপ্ত অর্থ রোজগার করতে পারেন না। লিন্ডাকেও দুই বেলা কাজ করতে হয়।
তার সাথে ডিন উইটারের ব্যবস্থাপক জে টুইস্টলের দেখা হয়। ক্রিস তার কাছে স্টকব্রোকারের চাকরির আবেদন করেন। ট্যাক্সিতে করে ঘোরার সময় রুবিকস কিউব সমাধান করে জে-কে ক্রিস মুগ্ধ করেন। জে চলে যায়। কিন্তু ক্রিসের কাছে কোনো অর্থ নেই। তাই সে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। গার্ডিনারকে ক্রুদ্ধ গাড়িচালক বার্ট (বে এরিয়া র্যাপিড ট্রানজিশন) স্টেশন পর্যন্ত ধাওয়া করে। গার্ডিনার একটি ট্রেনে চড়ে বসলেও এ প্রক্রিয়ায় সে একটি শনাক্তকারী যন্ত্র হারিয়ে ফেলে।