দ্য পিঙ্ক প্যান্থার | |
---|---|
The Pink Panther | |
পরিচালক | ব্লেক এডওয়ার্ডস |
প্রযোজক | মার্টিন জুরো |
চিত্রনাট্যকার |
|
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | হেনরি মানচিনি |
চিত্রগ্রাহক | ফিলিপ লাথ্রপ |
সম্পাদক | রাফ ই. উইন্টার্স |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | ইউনাইটেড আর্টিস্ট্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১১৩ মিনিট |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
আয় | $১০.৯ মিলিয়ন (মা.যু./কানাডা)[১] |
দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ব্লেক এডওয়ার্ডস পরিচালিত ১৯৬৩ সালের মার্কিন হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র। এটি রচনা করেছেন মরিস রিচলিন ও ব্লেক এডওয়ার্ডস এবং পরিবেশনা করেছে ইউনাইটেড আর্টিস্ট্স। এটি দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম কিস্তি। এতে দেখা যায় ইনস্পেক্টর জাক ক্লুজো "দ্য ফ্যান্টম" নামে এক দুর্ধর্ষ মণি চোরকে মহামূল্যবান হীরক "দ্য পিঙ্ক প্যান্থার" চুরির পূর্বে ধরতে রোম থেকে কর্টিনা দাম্পেৎজোতে যায়। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন ডেভিড নিভন, পিটার সেলার্স, রবার্ট ওয়েগনার, কাপুচিনে এবং ক্লাউদিয়া কার্দিনালে।
মার্টি জুরো প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি ১৯৬৩ সালের ১৮ই ডিসেম্বর ইতালিতে মুক্তি পায় এবং ১৯৬৪ সালের ১৮ই মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায়। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় $১০.৯ মিলিয়ন আয় করে।[২] পাশাপাশি এটি সমালোচকদের নিকট থেকে ইতিবাচক পর্যালোচনা লাভ করে। ২০১০ সালে লাইব্রেরি অব কংগ্রেস চলচ্চিত্রটিকে "সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও নান্দনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ" বিবেচনায় জাতীয় চলচ্চিত্র রেজিস্ট্রিতে সংরক্ষণের জন্য নির্বাচন করে।[৩][৪]
দ্য পিঙ্ক প্যান্থার চলচ্চিত্রের সুর করেন হেনরি মানচিনি। এই সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবামটি ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয় এবং বিলবোর্ড ম্যাগাজিনের পপ অ্যালবামের তালিকায় ৮ম স্থানে পৌঁছায়। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট দ্য পিঙ্ক প্যান্থার অ্যালবামটিকে তাদের ১০০ বছরের চলচ্চিত্রের সুর তালিকায় ২০তম স্থান প্রদান করে। ২০০১ সালে এই অ্যালবামটিকে গ্র্যামি হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৫]
চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে ব্যবসাসফল ঘোষিত হয় এবং উত্তর আমেরিকার প্রেক্ষাগৃহ থেকে আনুমানিক $৬ মিলিয়ন আয় করে।[৬]
চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের নিকট থেকে ইতিবাচক পর্যালোচনা লাভ করে। পর্যালোচনা ভিত্তিক ওয়েবসাইট রটেন টম্যাটোসে ৩৪টি পর্যালোচনার ভিত্তিতে ৭.৩৩/১০ গড়ে এর রেটিং ৮৮%। ওয়েবসাইটটির সমালোচনামূলক ঐকমত্যে বলা হয়, "পিটার সেলার্স দ্য পিঙ্ক প্যান্থার-এ তার সেরাটা দিয়েছেন।"[৭]
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর বসলি ক্রাউদার লিখেন, "কদাচিৎই কোন কৌতুকাভিনেতা দুর্বল উপাদানের সাথে সহিংসভাবে মজাদানের চেষ্টা করার জন্য এত অবিচল এবং কঠোর পরিশ্রম করেছেন।"[৮] ভ্যারাইটি চলচ্চিত্রটিকে "তীব্র মজার" বলে উল্লেখ করেন এবং "সেলার্সের ক্ষুরধার সময়জ্ঞান ... চরম" বলে প্রশংসা করেন।[৯]
২০০৪ সালে দ্য পিঙ্ক প্যান্থার চলচ্চিত্র সংবলিত ডিভিডির সংকলন দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ফিল্ম কালেকশন নিয়ে দি এ.ভি. ক্লাব লিখে, "যেহেতু পরবর্তী চলচ্চিত্রগুলো ক্লুজোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, তাই তিনি প্রথমে নিভন, কাপুচিনে, রবার্ট ওয়েগনার এবং ক্লাউদিয়া কার্দিনালের সাথে পর্দায় সময় ভাগাভাগি করেছেন তা সহজেই ভুলে যাওয়া যায়।"[১০]
পুরস্কার | বিভাগ | মনোনীত | ফলাফল | সূত্র. |
---|---|---|---|---|
একাডেমি পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ মৌলিক সুর | হেনরি মানচিনি | মনোনীত | [১১] |
গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার | সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | পিটার সেলার্স | মনোনীত | [১২] |
গ্র্যামি পুরস্কার | চলচ্চিত্র বা টিভি অনুষ্ঠানের জন্য রচিত শ্রেষ্ঠ মৌলিক সুর | হেনরি মানচিনি | মনোনীত | |
বাফটা পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ অভিনেতা | পিটার সেলার্স | মনোনীত | [১৩] |