দ্য প্রেল্যুড অর, গ্রোথ অফ আ পোয়েট'স মাইন্ড; অ্যান অটোবায়োগ্রাফিক্যাল পোয়েম হল ইংরেজ কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ কর্তৃক অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত একটি ইংরেজি আত্মজীবনীমূলক কথোপকথন কবিতা।[১] কবিতাটি একটি অধিকতর দার্শনিক রেক্ল্যুজ-এর ভূমিকা রূপে রচিত হয়। এই রেক্ল্যুজ-টি ওয়ার্ডসওয়ার্থ সমাপ্ত করে যাননি।দ্য প্রেল্যুড একটি অত্যন্ত ব্যক্তিগত কবিতা। এই কবিতায় ওয়ার্ডসওয়ার্থের জীবনের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য রয়েছে। ১৭৯৮ সালে ২৮ বছর বয়সে ওয়ার্ডসওয়ার্থ এই কবিতাটি রচনা শুরু করেন এবং সারা জীবন ধরে কবিতাটি রচনা করেছিলেন। তিনি এই কবিতাটির কোনো শিরোনাম দেননি। কবিতাটিকে পোয়েম টু কোলরিজ বলে উল্লেখ করতেন। ডরোথি ওয়ার্ডসওয়ার্থকে লেখা চিঠিপত্রে তিনি কবিতাটিকে দ্য পোয়েম অন দ্য গ্রোথ অফ মাই ওন মাইন্ড বলে উল্লেখ করেছেন। কবিতাটি ১৮৫০ সালে ওয়ার্ডসওয়ার্থের মৃত্যুর তিন মাস পর প্রথম প্রকাশিত হয় এবং এক চূড়ান্ত শিরোনামটি দেন ওয়ার্ডসওয়ার্থের স্ত্রী মেরি।
কবিতাটির তিনটি সংস্করণ পাওয়া যায়:
দ্য প্রেল্যুড ওয়ার্ডসওয়ার্থের সারা জীবনের কীর্তি। তার জীবনের শেষ ভাগে ওয়ার্ডসওয়ার্থ "কাব্যশৈলী পরিমার্জনা করছিলেন এবং প্রকৃতির সঙ্গে সাহচর্যের প্রেক্ষিতে মানুষের মনের দৈব স্বনির্ভরতা বিষয়ে কিছু বিপ্লবাত্মক বক্তব্যের মূল্যায়ন ঘটাচ্ছিলেন।"[২]
দ্য প্রেল্যুড কবিতাটি তিন খণ্ডে বিধৃত বৃহদাকার মহাকাব্যিক ও দার্শনিক কবিতা দ্য রেক্ল্যুজ-এর ভূমিকা হিসেবে রচিত হয়েছিল। যদিও ওয়ার্ডওয়ার্থ ২৮ বছর বয়সে এই কবিতাটির রচনা শুরু করেন, ৮০ বছর বয়সে মৃত্যুর সময় অবধি তিনি শুধুমাত্র দ্য প্রেল্যুড ও মূল কবিতাটির (দ্য এক্সকারশন) দুই খণ্ডের কাজই শেষ করেছিলেন।
১৮৫০ সালের ভূমিকায় ওয়ার্ডওয়ার্থ মূল ধারণাটির পরিচয় দেন। "প্রিয় বন্ধু" কোলরিজের অনুপ্রেরণায় তিনি একটি দার্শনিক কবিতা রচনা করতে চেয়েছিলেন, যাতে মানুষ, প্রকৃতি ও সমাজ সম্পর্কে তার বক্তব্য ধরা থাকবে। এই কবিতাটির নাম তিনি দিতে চেয়েছিলেন রেক্ল্যুজ। কারণ, কবিতাটির মূল উপজীব্য অবসর জীবন যাপন করা এক কবির অনুভূতি ও মতামত।[৩] ১৮৫০ সালের সংস্করণেও ওয়ার্ডসওয়ার্থ কোলরিজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, "এই কবিতাটি তাঁর এক প্রিত বন্ধুকে সম্বোধন করে লেখা, যিনি তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞার জন্য প্রসিদ্ধ এবং কবি যাঁর বোধের কাছে গভীরভাবে ঋণী।"[৩]
মনিক আর. মরগান তার ন্যারেটিভ মিনস টু লিরিক্যাল এন্ডস ইন ওয়ার্ডসওয়ার্থ'স প্রেল্যুড গ্রন্থে লিখেছেন, "কবিতাটির অধিকাংশ স্থান জুড়ে রয়েছে প্রকৃতির সঙ্গে ওয়ার্ডওয়ার্থের যোগ যা তাঁর 'কাব্যিক লক্ষ্যটিকে অনুমোদন জানিয়েছে'। কবিতাটির লক্ষ্য হল তাঁর মহান কবিতা রচনার দক্ষতাকে বর্ণনা করা। দ্য প্রেল্যুড এই দক্ষতারই সাক্ষাৎ প্রমাণ।"[৪] কবিতাটিতে প্রকৃতি ও মানুষের জগতের মধ্যে পারস্পরিক সচেতনতা ও আধ্যাত্মিক যোগাযোগের ব্যাপারে কবির মানসিক বিকাশের বর্ণনা পাওয়া যায়।
এই কবিতাটিকে ওয়ার্ডসওয়ার্থের কবিকৃতি-সংক্রান্ত নিজস্ব বোধ ও মতামতের প্রতিফলন ঘটেছে। এই প্রতিফলন তার সারা জীবন ধরে গড়ে ওঠা মতামতের প্রতিফলন। এই কবিতার কেন্দ্রবিন্দু ও শৈলী থেকে বোঝা যায় নব্য-ক্ল্যাসিক্যাল ধারা থেকে কবিতাটি রোমান্টিক ধারার দিকে ঝুঁকেছে। জন মিলটন (প্রথম খণ্ডের ১৮১ পঙ্ক্তিতে তার নাম উল্লিখিত হয়েছে) প্যারাডাইস লস্ট কাব্যে ঈশ্বরের সৃষ্টিবৃত্তান্ত ও মানুষের পতনের গল্পটিকে পুনরায় রচনা করে "মানুষের প্রতি ঈশ্বরের ব্যবহারের যাথার্থতা প্রদর্শনের জন্য।" ওয়ার্ডসওয়ার্থ নিজের মন ও কল্পনাকে মহাকাব্যের উপযুক্ত বিষয় বলে স্থির করেন।
এই আধ্যাত্মিক আত্মজীবনীটির কেন্দ্রীয় ধারণাটি হল ওয়ার্ডওয়ার্থের "বারংবার ব্যবহৃত রূপক [যে জীবন হল] একটি চক্রাকার যাত্রাপথ যার শেষটি হল 'আমরা যেখানে শুরু করেছিলাম সেখানে উপস্থিত হওয়া / ও প্রথমবার সেই স্থানটিকে জানা।' (টি. এস. ইলিয়ট, লিটল গিডিং, পঙ্ক্তি ২৪১-৪২) ওয়ার্ডসওয়ার্থের প্রেল্যুড হল সেই সাহিত্যিক যাত্রাপথ [পূর্ণবয়সে] যার নির্বাচিত লক্ষ হল [...] গ্রাসমেয়ারের উপত্যকা। কবিতায় পরে আরও কয়েকটি যাত্রাপথের উল্লেখ আছে। যার মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ষষ্ঠ খণ্ডে আল্পস পার হওয়া এবং সর্বশেষ খণ্ডের চূড়ান্ত ক্ষণে স্নোডনের নেমে আসা। কবিতাটিকে সাহিত্যের যাত্রাপথ আধ্যাত্মিক যাত্রাপথের রূপক হয়ে উঠেছে। এই যাত্রা চলেছে কবির মনে [...]।"[২]