"দ্য বিস্ট ইন দ্য কেভ" | |
---|---|
লেখক | এইচ. পি. লাভক্র্যাফট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
বর্গ | ভৌতিক ছোটোগল্প |
প্রকাশিত হয় | দ্য ভ্যাগরেন্ট |
প্রকাশনার তারিখ | জুন, ১৯১৮ |
"দ্য বিস্ট ইন দ্য কেভ" (ইংরেজি: "The Beast in the Cave") হল মার্কিন ভৌতিক কথাসাহিত্যকার এইচ. পি. লাভক্র্যাফটের লেখা একটি ছোটোগল্প। গল্পটির প্রথম খসড়া লেখা হয়েছিল ১৯০৪ সালের বসন্তে, চূড়ান্ত খসড়াটি প্রস্তুত করা হয় ১৯০৫ সালের এপ্রিল মাসে। সেই সময় লাভক্র্যাফটের বয়স ছিল মাত্র চোদ্দো।[১] অপেশাদার সাংবাদিকতার প্রকাশনা দ্য ভ্যাগরেন্ট-এর জুন ১৯১৮ সংখ্যায় গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয়।[১][২][৩] উল্লেখ্য, এই পত্রিকাটি ছিল বর্তমান কালের সুসম্পাদিত ফ্যানজাইনগুলির সমতুল একটি পত্রিকা। এই আখ্যানটিকে লাভক্র্যাফটের শৈশবের রচনার একটি উদাহরণ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং তাঁর রচনার অনুরূপ সংকলনগুলিতেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৯৩০-এর দশকে লাভক্র্যাফট কখনও কখনও টাইপ করা প্রতিলিপির একটি কপি নিজের প্রতিশ্রুতিমান অল্পবয়সী পত্রলেখকদের পাঠাতেন, তাদের বয়সে তিনি কী লিখেছিলেন এবং পুনর্লিখনের প্রথম অনুশীলনের উদাহরণ হিসেবে। এইভাবে তাদের কল্পনাশক্তিকে বিচার করতেন তিনি।
বিস্তীর্ণ ম্যামোথ কেভে ঘুরতে ঘুরতে গাইডের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পথ হারান এক ব্যক্তি। তাঁর টর্চের ব্যাটারি ফুরিয়ে যায়। ঘন অন্ধকারে তিনি পথ খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন, এমন সময় শুনতে পান অদ্ভুত অমানুষিক পদধ্বনি তাঁর দিকে এগিয়ে আসছে। সেটিকে কোনও পথ-হারানো পাহাড়ি সিংহ বা ওই জাতীয় জন্তু ভেবে তিনি একটি পাথর তুলে নিয়ে যে দিক থেকে শব্দটি আসছিল সেই দিকে ছুঁড়ে মারেন। পাথরটি জন্তুটির গায়ে গিয়ে লাগে এবং সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গাইড সেই ব্যক্তিকে খুঁজে পায়। দু’জনে মিলে গাইডের টর্চের সাহায্যে পড়ে যাওয়া জন্তুটাকে পরীক্ষা করে দেখে। তারা তার মুখের দিকে তাকানোর সময় সেটিও শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। তারা দেখে যে সে আসলে জন্তু নয়, বহু বছর আগে গুহায় পথ হারানো একটি বিবর্ণ বিশীর্ণ একটি মানুষ।